Call

লেখাপড়া করে কি লাভ!

এরকম প্রশ্ন তোলাটা আসলে আশ্চর্য।  কারণ যারা প্রকৃত লেখা পড়া করে তারা কখনো কোথাও পিছিয়ে থাকে না। অশিক্ষিতদের থেকে একটু হলেও আলাদা পার্ফর্মেন্স আছে। অশিক্ষিতরা যা করতে পারে শিক্ষিতদের জন্য আরও বেশি করা সম্ভব হয়। 


আপনি হয়ত ভাবতেছেন যে আপনার এলাকায় যারা লেখাপড়া করেনি তারাই নেতা আর যারা লেখাপড়া করেছে তারা নেতা হতে পারে নি। আসলে সেটা আপনার ভুল ধারণা। আর এটাও আপনার ভুল যে সামান্য এতটুকুর জন্য আপনি শিক্ষিতদেরকে মুল্যহীন করলেন। সেটা কিন্তু ঠিক না। 

নেতৃত্ব দেওয়ার ব্যাপারটা একদম ভিন্ন। নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য কতগুলো এক্সট্রা পারফর্মেন্স এর দরকার হয়। আর এইই সমস্ত পারফর্মেন্স যাদের মাঝে আছে তারাই সাধারণত নেতৃত্বাধীন থাকেন। হয়ত আপনার গ্রাম/এলাকায় বিশেষ পারফর্মেন্স ওয়ালা মানুষ শিক্ষিতদের মাঝে নাই বা থাকলেও তারা কোনো ভুমিকা রাখেনি যার কারণে মানুষ তাদের মেধার ব্যাপারে অবগত না। অপরদিক এ যারা অশিক্ষিত তাদের মাঝে এরকম পারফর্মেন্স হয়ত আছে, তারা হয়ত সব সময় একটিভ থাকে। 

আর দুর্ঘটনার কথা বলতেছেন! এটা পুরোটাই ভিন্ন একটা ব্যাপার। সব শিক্ষিতরা দুর্ঘটনা র কবলে পড়েনা।


যাই হোক, কোনো কিছু পরিচালনা করার ক্ষমতা আছে যার হোক সে অক্ষরজ্ঞানহীন,  তাতে কোনো যায়-আসে না। আমার দৃষ্টিতে তারাও কোনো এক সাইটে শিক্ষিত। অক্ষরজ্ঞান নাই বলে অশিক্ষিত বলে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

লেখা-পড়া শেখার লাভ আসলে এতই বেশি যে সেগুলো আপবাকে বোঝাতে গেলে আমার নিজের আর লেখাপড়া করা হবে না। সারাজীবন শুধু আপনাকে বোঝাতেই হবে। 

লেখা-পড়া শুধুমাত্র ভালো চাকরির জন্য, অর্থের জন্য যদি কেউ করে তার পরিণতি ভালো হতেও পারে। আবার আপনার বলা মতে দুর্ঘটনার মাধ্যমে শেষও হতে পারে। যারা ভালো চাকরি পাওয়ার জন্য লেখা পড়া করে তারা মূলত কিছু শিখে না, একটা প্রতিযোগিতায় নেমে দৌঁড়ে চলে যায়। সেসব মানুষের কথা আলাদা। তারা লেখা-পড়া না করেও অনেক কিছু করতে পারে। গ্রামের নেতাদের দেখেই বুঝে নিতে পারেন। তারা লেখাপড়া করলেও একই স্থানে থাকত, না করেও আছে। 

আর এবার আসি প্রকৃত লেখা পড়ার দিকে। আসলে লেখা-পড়া বলতে দিনভর পাঠ্য বই ঝাড়া মুখস্থ, সকাল-বিকাল ৫টা কোচিং, পরীক্ষায় প্রথম হওয়ার জন্য লাফালাফি করা নয়। লেখা পড়া হচ্ছে নিজেকে শিক্ষিত করে তোলা, নিজের পরিধি অনুসারে জ্ঞানকে নিজের মাঝে অন্তর্ভুক্ত করা। এই লেখাপড়ার বেনিফিটস বলা শুরু করলে শেষ হবে না। 

যারা প্রকৃত লেখাপড়া করেন তারা কেউ কেউ ভালো স্থানে যান। যেমন- নাসা, মাইক্রোসফট, গুগল, ফেসবুক ইত্যাদির কর্মকর্তা; নিজস্ব সফটওয়ার কম্পানি; অ্যাব্রড ডক্টর; ইত্যাদি ইত্যাদি। আবার কেউ কেউ ভালো স্থানে যেতে পারেন না। সামান্য স্থান পেয়েই সন্তুষ্ট থাকেন। যেমন- সাহিত্যিক, বিজ্ঞানী, উদ্ভাবক ইত্যাদি। 

মূল কথা হচ্ছে যারা ভালো চাকরির আশায় লেখাপড়া করে তাদের তেমন লাভ নেই। তারা বড়জোর দুয়েকটা মোটা বেতনের চাকরি পেয়ে যেতে পারে। বিসিএস ক্যাডার হয়ে যেতে পারে। আর যারা আপনার ভাবনা ভেবে লেখাপড়া ছেড়ে দেয় তাদের দৌঁড় থাকে গ্রামের নেতা পর্যন্ত। 

তাহলে আমরা শিক্ষাকে তিন ভাগ করি। অশিক্ষা, শিক্ষা ও স্বশিক্ষা। গ্রামের নেতারা অশিক্ষিত, কিন্তু কিছু মানুষের চোখে সফল। বিসিএস ক্যাডার, মোটা বেতনে চাকরি করা ব্যক্তিরা শিক্ষিত এবং সমাজে মোটামুটি সফল হিসেবে পরিচিত। স্বশিক্ষিত কারা তারা নিশ্চয়ই বুঝেছেন। তারা আমাদের সমাজে খুব একটা পরিচিত না। কিন্তু পৃথিবীতে আরো অনেক স্থান আছে যেখানে তাদের কদর অনেক বেশি। 
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ