পৃথিবী সৃষ্টির মূল রহস্য হলো। এ জগত সৃষ্টি করে মহান আল্লাহ তাআলা তার বান্দার নিকট আপন ক্ষমতা ও শক্তি বিষয়টিকে স্পষ্ট করেছেন। অর্থাৎ তিনি তাঁর বান্দাকে জানাতে চেয়েছেন যে, তিনি কত বড় ক্ষমতার অধিকারী। প্রমাণ- সূরা ফুসসিলাত : আয়াত নং ৯-১৩
মহান আল্লাহ তাআলা তার অনন্ত-অসীম মহিমা প্রকাশের লক্ষ্যে এ মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেন। আসমান জমিন এবং এর মধ্যস্থিত যত কিছু আছে এসব কিছু সৃষ্টি করার রহস্য হলো, আল্লাহ মহানের সত্তা ও গুণাবলী এবং মারিফতের প্রকাশ ঘটানো। গোটা সৃষ্টি যেন তাঁর তাসবীহ তাহলীল ও ইবাদত-বন্দেগীতে নিয়োজিত হয়ে তাঁর মহাত্ত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশ করে এটাই মূল উদ্দেশ্য। আসমান-জমিন রয়েছে, রয়েছে পাহাড়-পর্বত, নদী- নালাসহ অসংখ্য-অগণিত সৃষ্টি। হাজার-লক্ষ-কোটি মাখলুকাত। আল্লাহ তাআলা ভাসমান চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, নক্ষত্র ও অসংখ্য তারকা দ্বারা আসমানকে সুসজ্জিত করেছেন। এই সুসজ্জিত আসমান আল্লাহ্ তাআলার অসীম কুদরতের এক বিশেষ অনন্য নিদর্শন। বিস্তৃত ও বিশাল পৃথিবীকে তিনি বৈচিত্র্যময় পাহাড়-পর্বত, খাল-বিল, নদী- নালা, সাগর-মহাসাগর ও সারি সারি বৃক্ষ ও তৃণলতার সমারোহে বিন্যাস করেছেন। এতে রয়েছে মানুষসহ হাজারো রকমের জীব- জন্তু ও পশুপাখি। মানুষের পুষ্টি ও তৃপ্তির জন্য আল্লাহ তাআলা এই স্থলভূমিতে হরেক রকমের খাদ্যশস্য ও সবজির আবাদযোগ্যতা দান করেছেন। এইভাবেই তিনি পৃথিবীকে করেছেন মানুষের বসবাস উপযোগী- সুন্দর এক জগৎ। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ নিশ্চয় আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টিতে এবং রাত ও দিনের পরিবর্তনে জ্ঞানী লোকেদের জন্য নিদর্শন রয়েছে। যারা দাঁড়িয়ে, বসে এবং শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টি সম্বন্ধে চিন্তা করে এবং বলে, হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি এ নিরর্থক সৃষ্টি করনি। তুমি পবিত্র। (আল ইমরানঃ ১৯০ -১৯১) জাল যঈফ হাদিস থেকে পাওয়া যায়, আপনাকে তথা রাসুল (সাঃ) সৃষ্টি না করলে আমি আসমান সমূহ কোন কিছুই সৃষ্টি করতাম না। এটি একটি ভিত্তিহীন রিওয়ায়াত, মিথ্যুকদের বানানো কথা। রাসুল(সাঃ)-এর হাদীসের সাথে এর সামান্যতম মিল নেই।