মোটা/স্বাস্থবান হওয়ার জন্য নিয়মিত সুষম খাদ্য তালিকার সকল খাবার পরিমাণমত খাওয়ার চেষ্টা করুন । শর্করাযুক্ত খাবারটা একটু বেশী খাবেন । যেমনঃ ভাত, আলু, আটার রুটি ইত্যাদি । অল্প চর্বিও খেতে পারেন । পর্যাপ্ত ঘুমান । এছাড়াও সবসময় পরিপাটি থাকুন । পরিষ্কার জামা-কাপড় পড়ুন । চুল আঁচড়ে রাখুন । চেহারা নিয়মিত ধোবেন । আশা করি হ্যান্ডসাম/স্মার্ট দেখাবে । বাকিটা নিজের উপর ।
স্মার্ট হবেন যেভাবে : মনে রাখবেন...সাধারন ভাবে যে বেচে থাকে তার বেচে থাকার অধিকারও বড় সাধারন। নিজের তাপমাত্রা বাড়াতে হবে এটাই মূল কথা। আর একটা গুরুত্বপুর্ন কথা...আমরা স্মার্ট হওয়ার পেছনে আমরা টাকা খরচ করবো খুব কম।কারন আমরা প্রকৃত স্মার্ট হতে চাই। কথা বলাঃ কথা বলায় পরবর্তন আনুন।সবার সাথে শুদ্ধ ভাষায় কথা বলতেই হবে।লজ্জা পাওয়া চলবে না। আঞ্চলিকতা পরিহার করুন। কথা বলার মাঝে স্টাইল আনুন।কিন্তু ইয়ো,আজিব,চরম জাতীয় শব্দ নিজের ডিকশনারি থেকে মুছে ফেলুন। ইংরেজি বলার চেষ্টা করুন।অর্ধেক ইংরেজি বলবেন না।ইংরেজি না পারলে Wow, Exactly, Thats right জাতীয় ওয়ার্ড গুলো সুযোগ মত মেরে দেন। আকর্শনীয় প্রবাদ,আন কমন জোকস মাথায় রাখুন।চলতি নিউসের ডিটেইলস মাথায় রাখবেন। যাতে আড্ডায় আপনাকে শ্রোতা হয়ে না থাকতে হয়। বেশি কথা বলবেন না।বেশি বেশি শুনবেন।হালকা পাতলা Economics,পলিটিকস,Women Tenis,recent Technology এর ব্যাপার স্যাপার মাথায় রাখবেন। এক বার রপ্ত করলে এটি দিয়ে অনেক দিন চালিয়ে দিতে পারবেন। হাসিমুখে কথা বলুন।গাম্ভীর্য বজায় রাখুন। পরিচিত কারো সাথে দেখা হলে এমন ভাবে আলাপ চালিয়ে যান যাতে করে ব্যাটা বোঝে যে আপনি আসলেই একটা মাল। কিন্তু যে বিষয় নিয়ে কথা বলবেন অবশ্যই সে ব্যাপারে আপনার বিস্তর নলেজ থাকা চাই। কথা বলার সময় আই কন্ট্যাক্ট খুব কাজের।এটি ঠিক থাকলে আপনাকে কনফিডেন্স দেখায়।চাইলে টি এস সি তে একটা শুদ্ধ উচ্চারনের কোর্স করে নিতে পারেন।৬০০-৭০০ টাকার কোর্স টা সত্যিই কাজের। মনে রাখবেন আপনি কৌশলে যত নিজের সেলফ ব্র্যান্ডিং বা মার্কেটিং করতে পারবেন ততো আপনার দাম বাড়তে থাকবে। আপনার কিছু থাকুক বা না থাকুক কথা কিন্তু হওয়া চাই নিঃশব্দ আগুন। কথা বলা সম্মন্ধে ইতিমধ্যে অনেক কিছু লিখে ফেলেছি। এবার লিখবো পার্সোনালিটি বিল্ডিং নিয়ে। উইদ আউট মাচ এডু...চলুন সরাসরি দেখে নেয়া যাক যেটি আপনার কাজে লাগবে। • বাংলা ভাষায় বলতে গেলে বলতে হয় আপনার পার্সোনালিটি হতে হবে ইস্পাত ভারী।অন্যের অবর্তমানে তার নামে অন্য ব্যক্তির নিকট কান পড়া দিয়ে সাময়িক মজা নিতে গিয়ে পার্সনালিটি হারাবেন না। • চান্স পেলেই অন্যের প্রশংসা করুন।আপনি প্রশংসা করলে আপনি একদিন না একদিন অবস্যই সেটা ফেরত পাবেন। • নারীদের সাথে যেচে কথা বলতে যাবেন না। উনারা কথা বলতে আসলে মুচকি হেসে জবাব দিন।তাদের সাথে দয়া করে সস্তা জোকস মারবেন না।নতুন পরিচয়ে পঁচানোর রিস্ক নিবেন না। তাদের সাথে ইন্টেমেসি গড়ার চেয়ে নিজের পারফর্মেন্সের দিকে জোর দিন। ধীরে ধীরে কথা বলবেন,শুদ্ধ ভাষায়। এতে আপনার স্টাইল ফুটে উঠবে।মনে রাখবেন আপনার সুরতের চেয়ে আপনার স্টাইল,কথা বলা,হাসি,চাহনী আপনাকে অধিক গুরুত্বপুর্ন করে তুলবে। • দয়া করে এক জনের কথা আর একজন কে লাগাবেন না।
স্বাস্থ্যবান হওয়ার কিছু পদ্ধতি ও উপায়:
১। চার ঘণ্টার বেশি না খেয়ে থাকবেন না:
আপনার শরীর নিয়মিত খাবারের সাপ্লাই চায়। যা শরীরকে পর্যাপ্ত শক্তির যোগান দিবে। বেশি সময় খাবার না খেয়ে থাকলে শরীরে খাদ্য ঘাটতি দেখা দিতে পারে ফলে ওজন বাড়ার বদলে উল্টো কমে যেতে পারে । খালি পেটে তো কিছুতেই থাকবেন না বরং সময়মত বেশি করে খাবার খেয়ে শরীরে খাদ্য ঘাটতি পুষিয়ে ফেলুন।
২। ক্যালরি যুক্ত খাবার বেশি করে খান:
প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি যুক্ত খাবার গ্রহণ করুন। যেমন: বাদাম এবং শস্যদানা, বাদামের মাখন, ডিম, সয়াবিন, কিসমিস, খেজুর, নারকেল দুধ, বাদামী চাল, ওটমিল, বাটার বা তাহিনি, দই, কলা, অলিভ অয়েল, আঙুরের জুস, আনারস, আপেল, কমলা। দুগ্ধজাত খাবার এবং উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যথা মাছ, মাংস ইত্যাদি থাকতে হবে প্রতি বেলার খাদ্য তালিকায়। ড্রিংক হিসাবে কলা, খেজুর এর সাথে একটু মাখন, দুধ অথবা আম, পেস্তা বাদাম, স্ট্রবেরি, কমলা ইত্যাদি শ্রেষ্ঠ পুষ্টিকর উপাদান দিয়ে জুস তৈরি করে হাতের কাছে রাখুন। এগুলো আপনার শরীরের মাংস পেশীগুলোকে সুগঠিত করতে যথেষ্ট প্রোটিন সরবরাহ করবে।
৩। ঘুমাবার ঠিক আগেই দুধ ও মধু খান:
রাতের বেলা ঘুমাবার আগে অবশ্যই বেশ পুষ্টিকর কিছু খাবেন। ঘুমাবার আগে প্রতিদিন এক গ্লাস ঘন দুধের মাঝে বেশ অনেকটা মধু মিশিয়ে খেয়ে নিবেন।
৪। নিয়মিত ব্যায়াম শুরু করুন:
আমাদের সবার ধারণা ব্যায়াম শুধু ওজন কমানোর জন্যই কাজ করে। কিন্তু এটি ঠিক নয়। ব্যায়াম করলে শরীর একটিভ হয় এবং পুষ্টি উপাদানগুলো ঠিক মতো কাজে লাগে। ঠিক সময়ে ক্ষুধা লাগে, এবং তখন খাদ্য গ্রহণের রুচিও বৃদ্ধি পায়। প্রতিদিন হালকা কিছু ব্যায়ামই এর জন্য যথেষ্ট।
৫। পর্যাপ্ত ঘুমান ও দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকুন:
আপনার খাদ্যাভ্যাস আর শরীর চর্চার পাশাপাশি যেই জিনিসটা লাগবে তা হলো পর্যাপ্ত ঘুম এবং দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকা। দৈনিক ৮-৯ ঘণ্টা ঘুম এবং অন্যান্য বিষয়গুলো মেনে চললে আশা করা যায় আপনার ওজন বাড়ানোর লক্ষ্য পূরণ হবেই। ব্রেনের উপর কোনো চাপ নেবেন না।
৬। প্রচুর শাক সবজি ও ফল খান
অনেক ফল আর সবজি আছে যারা কিনা উচ্চ ক্যালোরি যুক্ত। যেমন- আম, কাঁঠাল, লিচু, কলা, পাকা পেঁপে, মিষ্টি কুমড়া, মিষ্টি আলু, কাঁচা কলা ইত্যাদি। ফল ও সবজি খেলে স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। আশারাখি অতিদ্রুত হ্যান্ডসাম হয়ে উঠবেন।