আমার সামনে মাসে পরীক্ষা।

এখন আমি বুঝতেছি না কী করবো।

আমার মোটঃ ৬ টা বই।

আমি রুটিন করেছি

প্রতিটা বই এর জন্য ১ 

ঘন্টা করে। কিন্ত তাতে

আমি কভার করতে

পারছি না।

এখন আমি ঠিক কি ভাবে

বই  গুলা সুন্দর ভাবে শেষ

করতে পারি....!?? 


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

আপনি আমার এই উত্তরটা ফলো করুন। আশা করি কাজে আসবে।

------------------

অন্যরা বা আপনি হয়ত টাইমিং রুটিন প্রত্যাশা করতেছেন, কিন্তু আমি টাইমিং রুটিন নিজেও পছন্দ করি না, তাই আপনাকেও সেই পরামর্শ দিব না। কারণ টাইমিং রুটিন মেইন্টেন করে চলাটা বেশ কঠিন কাজ। অনেক সময় দেখা যাচ্ছে সময় শেষ কিন্তু আপনার পড়া এখনো কিছুই হয় নি। তারপরে আবার জরুরি ব্যস্ততা থাকলে পড়া মিস। আমি ট্রাই করব ভিন্ন একটা রুটিনের মডেল সাজেশন করার। যা আমি নিজেই ফিট করেছি।


-----------


★ প্রথমে আপনি হিসেব করে নিন আপনার কয়টা সাব্জেক্ট। আর এই সাব্জেক্টগুলো সর্বোচ্চ কত দিনে শেষ করতে পারবেন। 


★এটা যখন হয়ে গেল এবার একটা ক্যালকুলেশন করে নিন। আপনি যত দিনে বইটা শেষ করতে পারবেন মনে হয় ঠিক তত সংখ্যা দিয়ে আপনার প্রত্যেকটি বইয়ের মোট পৃষ্ঠাকে ভাগ করে দিবেন। ভাগফলে যেটা আসবে সেটাই হবে আপনার দৈনন্দিন পড়ার সিলেবাস বা রুটিন। 


 *ধরেন আপনি ত্রিশ দিনে বই শেষ করতে পারবেন বলে মনে হয়, তখন আপনার বইয়ের মোট পেজকে ত্রিশ দিয়ে ভাগ না করে ২৫ দিয়ে ভাগ করবেন। ৫ দিন গ্যাপ। একমাসে শুধুমাত্র ৫ দিন স্টাডি ফাঁকা দিতে পারেন। কারণ আমরা দৈনন্দিন জিবনে নানা রকম ঝামেলায় পড়তেও পারি। যার কারণে সেদিন আপনার স্টাডি গ্যাপ থাকতে পারে। এতে কোনো সমস্যা নাই।


মনে করেন আপনার বইয়ের পেজের সংখ্যা যথাক্রমে ১০০, ১৩০, ৭০, ১১০। এ সমস্ত পেজের সংখ্যাকে ২৫ দিয়ে ভাগ করলে দেখা যায় প্রত্যেকেটা বইয়ে ৪-৫ পৃষ্ঠা করে ভাগে পড়ে। মানে আপনার এগুলই ডেইলি পড়া।



এই রুটিনকে টাইমিং রুটিনের চাইতে বেশি সাপোর্ট করি এর কারণ হল এই রুটিনে সুবিধা পাওয়া যায় বেশি। কারণ ♠টাইমিং রুটিনে সারাদিনে যে সময়টা আপনি বেঁধে দিবেন সেই সময়ে পড়তে হবে। টাইম মিস হলে সেই সাব্জেক্টা আর পড়া হবে না। কিন্তু এই রুটিনে এমনটা হওয়ার কোনো সুযোগ নাই। আপনি দিনের বেলা হোক আর রাতের বেলা হোক যখনই টাইম পাবেন তখনই বইটা নিয়ে পড়তে বসবেন, আপনার ভাগে যে পেজগুলো পড়েছে সেটা মেকাপ করার চেষ্টা করবেন। এতে দেখা যাবে রাত জেগে পড়ার ভয়ে দিনের বেলায়ই আপনি পড়াটা অনেকটা এগিয়ে নিয়েছেন। যার কারণে বেশিক্ষণ রাত জেগে থাকতে হবে না।


♠টাইমিং রুটিনে কোনো প্রকার ছুটি নাই, মানে প্রত্যেক দিনই পড়তে হবে। যার কারণে বিভিন্ন ঝামেলায় পরলে তখন যদি মিস হয় তাহলে অনেকটা পড়া পিছিয়ে যায়। আমার দেওয়া রুটিনটাতে এমনটা মোটেও হবে না। কারণ সেখানে মাসে ৫ দিন গ্যাপ রাখা হয়েছে। মাঝে মাঝে ঝামেলায় পরলে স্টাডি ওইদিনের জন্য ফাঁকা রাখলেও কোনো প্রব্লেম হবে না। শুধু খেয়াল রাখবেন মাসে যাতে ৫ দিনের বেশি ফাঁকা না থাকে। 


♠টাইমিং রুটিনে আপনার বইগুলো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ হতেও পারে নাও হতে পারে। কিন্তু আমার দেওয়া রুটিনে এমনটা হওয়ার কোনো সন্দেহ নাই। ১ মাসে আপনার বই শেষ হবেই সেই সাথে ৫ দিন ছুটি তো থাকছেই। 


♠দিনের বেলায় যখনই সময় পাবেন তখনই পড়াটা এগিয়ে নিলে আমার রুটিন অনুযায়ী পড়ার চাপটা অনেকাংশে কমে যাবে যার কারণে রাতে আর বেশি পড়তে হবে না। রাতের বেলায় আপনি অনলাইন, খবর, টিভি ইত্যাদির সাথে জড়িত হওয়ারও সুযোগ পাবেন। টাইমিং রুটিনে এর কোনো চান্স নাই।



সর্বোপরি বলি আপনি টাইমিং রুটিন বাদ দিয়ে আমার সিস্টেমে রুটিনটা করে নিতে পারেন। আনন্দে আনন্দে পড়বেন, বই শেষ হওয়ার ব্যাপারে কোনো টেনশন নাই। কারণ হিসেব অনুযায়ী একক মাসে বই শেষ হবেই। দিনে কোন বই কত পেজ পড়তে হবে তা অই বইয়ের কোথাও লিখে রাখতে পারেন। তাই বলে আপনি শুধু পৃষ্ঠা গুলো পার করে দিবেন তা কিন্তু হবে না। যেটা পড়বেন একেবারে ভালকরে পড়বেন। বইয়ের গোড়া থেকে শুরু করবেন। কত পেজ থেকে কত পেজ পড়লেন তা চিহ্নিত করে রাখবেন। ইনশাল্লাহ! !! কাজে আসতে উপকারে আসতে বাধ্য। 




 বিঃদ্রঃ যেহেতু এটা একটা ভিন্ন টাইপের রুটিন তাই কোথাও অস্পষ্ট থাকাটা অস্বাভাবিক না। এমন কিছু অস্পষ্টতা থেকে থাকলে মন্তব্য করবেন। সলভ করার চেষ্টা করব।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ