দই ত্বক নরম ও নমনীয় রাখে আর বেসন ত্বকের অতিরিক্ত তেল শুষে নিয়ে ত্বকের উজ্জলতা ধরে রাখে। এবং এই দুই উপাদান একসাথে হয়ে তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ সারাতে ভালো কাজ করে। দুই টেবিল চামচ বেসন ও এক টেবিল চামচ দই নিয়ে একটি পাত্রে চামচের সাহায্যে পেস্ট বানান। পেস্ট হয়ে আসলে এতে দুই ফোটা মধু ও এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে নিন। এবার প্যাকটি আপনার মুখে ও গলায় সুন্দর করে লাগিয়ে নিন এবং শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর এটি শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানি হাতের সাহায্যে লাগিয়ে প্যাকটি ত্বক থেকে লুজ করে নিন। এবার হালকা ঘষে প্যাকটি মুখ থেকে ঝরিয়ে ফেলুন। এতে করে ত্বকের ডেড সেল উঠে আসার সাথে ত্বকের অতিরিক্ত তেল শুষে আসবে। সবশেষে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ দিয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করুন।
সবার সাজেশন গুলো যদি বৃথা যায় তবে শেষে আমার কথা গুলো পালন করতে চেষ্টা করুন দেখুন কি হয়, তবে দু এক দিনে হবে না। এক মাস বা দু মাস ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করতে হতে পারে, যদি ধৈর্য্য থাকে তবে......... সকল প্রকার ক্রিম তেল, ঔষধ সব বাদ দিন। ভুলেও মুখে হাত দেবেন না, মানে ব্রন টিপবেন না, যতই মনে হোক ভেতরে পেকে গেছে বা শক্ত হয়ে গেছে। গোসল বা অন্য যেকোন সময় মুখ পরিষ্কারের জন্য লাইফবয় গোল্ড( আসলে সাবানের রং লাল বা গোলাপি যেটা) সাবান ব্যবহার করুন অন্য কোন সাবান বা যতই দামী হোক ব্যবহার করবেন না তবে মুখ মন্ডল বাদে শরীরে অন্য জাগায় যেটা খুশী ব্যবহার করুন, তবে মুখে সাবান দেবার পর অনেকক্ষন পানি দিয়া ধুবেন এমনকি সম্ভব হলে খালি হাতে মুখ মন্ডল চেপে (টেপা নয়, গা ডোলার মত) পরিষ্কার করবেন । পানি দেবেন বেশি। গোসলের পর তৈলাক্ত চলে যাবে, খসখসে লাগলেও কিছু মাখবে না। তবে যদি ত্বক টান টান বেশি লাগে তবে খুবই হাল্কা নারকেল তেল লাগাতে পারেন।বেশি পানি খাবেন তবে বেশি খেলে বেশি ভাল মনে করে আবার অতিরিক্ত খাবেন না এতে অন্য অন্য ক্ষেত্রে সমস্যা আছে। ্মনে রাখবেন এক সপ্তাহ পর হয়তো কোন ফল দেখতে পাবেন না, বা বেশি হতে পারে, ভয়ের কিছু নাই। বেশি হয়ে পরে কমা শুরু করবে আর সেরে যাওয়া শুরু হবে। তবে ভাই আবারও বলছি আমার কথা গুলো সবার শেষে দেখবেন আর যদি সম্ভব হয় তবে। এমন যেন না হয় যে আমার কথা এক দু সপ্তাহ করলেন তারপর বেশি দেখে টিপলেন বা একদিন এক বেলার জন্য আবার অন্যের কোন সাশেষন পেয়ে কোন দামী ক্রিম লাগালেন, ভাবলেন যে একদিন বা এক বারে কিছু হবে না। এবার বলি কেন আমি এত সতর্কতা দিচ্ছি, কারন কেউ কেউ বা ডাক্টারও ব্রনকে দু পর্যায়ে ভাগ করে, হরমোনজনিত এবং বাহ্যিক । কিন্তু আসলে প্রায় অধকাংশ ক্ষেত্রে ব্রন হয় অন্য কারনে, বিষয়টা হচ্ছে আমাদের মুখের ত্বকে ওয়েল গ্লান্ড থেকে সর্বদা তেল বের হয়, এখন এই তেল পরিষ্কার না করলে তাতে সুক্ষ ধুলা বালি আটকে লোম কুপ গ্লান্ড কূপ বন্ধ হয়ে যায়, আবার রুপ চর্চার জন্য ক্রিম বা যায়ই যত দামী হোক না কেন তা মুখের ওপর একটি আস্ত্রন পর্দা তৈরি করে লোম কুপ আটকে দেয় ও পরে ধুলা বালি মিশে............... পরে এই লোম কুপের ময়লা বা ব্যকটেরিয়া ধবংস করার জন্য ভেতরের দিক দিয়া রক্ত থেকে শ্বেতকনিকা এসে কূপে আটকে পরে মারা যায়, তখন লোম কূপ ফুলে ওঠে, শ্বেত কনিকা সাদা হওয়ায় তা সাদা দেখানে আর আমরা মনে করি ব্রন পেকে গেছে। পরে ঐ সাদা শ্বতকনিকা পানি রস হারিয়ে শক্ত ব্রনে পরিনত হয়। কাজেই একদিন মাত্র ১০ মিনিট লোম কুপ আটকে দিলে ব্রন হতে পারে। একটি ব্রন টিপলে আসলে উপরের অংশ ফেটে বের হয় কিন্তু একই সাথে চাপে কিছু অংশ লোম কুপের ভেতরে চলে যেয়ে কঠিনভাবে আটকে পরে আর গোড়া চার পাশে ফেটে যেয়ে বেশি ব্রন বের হয়। সমগ্র বিষয় জটিল যা এখানে ব্যাখ্যা করা দুরুহ। তাই আমি এত সতর্কতা দিলাম।