অবশ্য স্ত্রীর স্তন মুখে নেওয়া হারাম নয় হালাল কিন্তু হাদিস অনুযায়ী মানা আছে স্ত্রীর দুধ পান করা কেননা স্ত্রীর দুধ পান করার একমাত্র হক হচ্ছে আপনার বাচ্চার
بسم الله الرحمن الرحيم
নিজের স্ত্রীর দুধ পান করলে স্ত্রী স্বামীর উপর হারাম হয়না। কারণ সর্বোচ্চ ২বছর বয়সে দুধ পান করলে দুধ মায়ের সম্পর্ক স্থাপন হয়। এর পর পান করলে হয়না। তাই স্বীয় স্ত্রীর দুধ পান করার দ্বারা আপনার স্ত্রী আপনার উপর হারাম হয়ে যায়নি। কিন্তু স্ত্রী স্তনের দুধ পান করা একটি মারাত্মক গোনাহের কাজ। একাজ থেকে বিরত থাকুন।
দলিল:
قوله تعالى- وَالْوَالِدَاتُ يُرْضِعْنَ أَوْلاَدَهُنَّ حَوْلَيْنِ كَامِلَيْنِ لِمَنْ أَرَادَ أَن يُتِمَّ الرَّضَاعَةَ (سورة البقرة--233
وفى رد المحتار-( ولم يبح الإرضاع بعد مدته ) لأنه جزء آدمي والانتفاع به لغير ضرورة حرام على الصحيح (الدر المختار مع رد المحتار-كتاب النكاح، باب الرضاع-4/397
প্রামান্য গ্রন্থাবলী
১. সূরা বাক্বারা-২৩৩
২. সূরা আহকাফ-১৫
৩. ফাতওয়ায়ে শামী-৪/৩৯৭
৪. তাফসীরে মাযহারী-১/৩৫৬
৫. কেফায়াতুল মুফতী-৫/১৬২
স্বামীর জন্য বৈধ তার স্ত্রীর স্তনবৃন্ত চোষণ করে উভয়ের যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি করা। সে ক্ষেত্রে যদি স্ত্রীর দুধ তার পেটে চলে যায়, তাহলে তাতে কোন প্রকার ক্ষতি হয় না এবং স্ত্রী তার মা হয়ে যায় না। কারণ দুধ পানের মাধ্যমে হারাম হওয়ার যে সব শর্ত আছে, তা হলঃ ১। দুই বছর বয়সের মধ্যে দুধ পান করতে হবে। সুতরাং তার পরে বড় অবস্থায় দুধ পান করলে হারাম হবে না। ২। পাঁচবার পান করতে হবে। সুতরাং ২/৪ বার পান করলে কোন প্রভাব পড়ে না। আর বড় অবস্থায় ৫ বারের বেশী পান করলেও কোন ক্ষতি হয় না। (ইবনে বায, ইবনে উষাইমীন)
স্ত্রীর স্তনের দুধ স্বামীর জন্য জায়েজ নেই। কুরআন হাদিস দ্বারা বোঝা যায়, কেবল মা কিংবা দুধমা’র দুধ পান করা যায়।; তাও দুধ পান করার বয়সের মধ্যে। তাই বিয়ে করার পর স্ত্রীর দুধ পান করা স্বামীর জন্য জায়েজ নেই। তবে স্ত্রীর স্তন মর্দন করা, (দুধ না আসে পরিমাণ) চোষা ইত্যাদি জায়েজ আছে। আল্লাহ বলেন, { نِسَاؤُكُمْ حَرْثٌ لَكُمْ فَأْتُوا حَرْثَكُمْ أَنَّى شِئْتُمْ} [البقرة:٢٢٣ ] অথাৎ : তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের জন্য শস্যক্ষেত্র। তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদরেকে ব্যবহার কর। (সূরা বাকারা-২২৩) স্ত্রীর স্তন চোষার সময় যদি স্বামীর মুখে দুধ চলে আসে, তাহলে তা ফেলে দিতে হবে। যেহেতু স্বামীর জন্য স্ত্রীর দুধ পান করা জায়েজ নেই। স্ত্রীর মাসিক চলাকালীন স্বামীর জন্য স্ত্রী-সম্ভোগ জায়েজ নেই। আল্লাহ বলেন, فلا تقربوهن حتى يطهرن এছাড়া স্ত্রীর পায়ুপথ স্বামীর জন্য কোনো অবস্থাতেই জায়েজ নেই। পায়ুপথে সঙ্গম করা হারাম ও অভিশপ্তদের কাজ। তাই স্ত্রী ঋতুস্রাবগ্রস্ত অবস্থায় না থাকলে স্তনের দুধ ও পায়ুপথ ছাড়া তার প্রায় পুরো শরীরই স্বামীর জন্য বৈধ।