শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Emranhasmi

Call
জেনে নিন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পর্কে কিছু জানা অজানা তথ্য- 
 
১) সেনাবাহিনীতে কত ধরনের বিভাগ (কোর) রয়েছে ?
 
সেনাবাহিনীর বিভাগ বা কোর গুলোর নাম খুব সংক্ষিপ্ত এবং সহজবোধ্য করে নিচে দেয়া হল :
 
ক। আর্মার্ড – ট্যাঙ্ক বা সাঁজোয়া বাহিনী
 
খ। আর্টিলারি – কামান বা গোলন্দাজ বাহিনী
 
গ। সিগন্যালস – এরা ওয়্যারলেস, টেলিফোন, রাডার ইত্যাদির মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন ও রক্ষা করে
 
ঘ। ইঞ্জিনিয়ার্স – এরা যাবতীয় ইঞ্জিনিয়ারিং কাজ ছাড়াও পদাতিক বাহিনীর কাজও করতে সক্ষম
 
ঙ। ইনফ্যান্ট্রি – পদাতিক বাহিনী
 
চ। আর্মি সার্ভিস কোর – এরা সেনাবাহিনীর ফ্রেশ এবং ড্রাই রেশন, গাড়ি, চলাচলের তেল ইত্যাদি সরবরাহ করে
 
ছ। এএমসি (আর্মি মেডিক্যাল কোর) – সেনাসদস্য ও তার পরিবারের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করে
 
জ। অর্ডন্যান্স – যুদ্ধ ও শান্তিকালীন সময়ে ব্যাবহারের জন্য বিভিন্ন সাজ সরঞ্জাম,পোষাক,নিত্য ব্যাবহারের দ্রব্য সামগ্রী সরবরাহ করে
 
ঝ। ইএমই (ইলেক্ট্রিক্যাল এ্যান্ড মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর) – বিভিন্ন ধরণের যন্ত্র তৈরি ও গাড়িসহ অন্যান্য বিভিন্ন যন্ত্র ও যন্ত্রাংশের মেইন্ট্যানেন্সের কাজ করে
 
ঞ। মিলিটারি পুলিশ – এরা সেনানিবাসের ভেতর পুলিশিং, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রন ইত্যাদি কাজে নিয়োজিত থাকে
 
ট। এইসি (আর্মি এডুকেশন কোর) – সেনাবাহিনীর বিভিন্ন স্কুল ও প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করে
 
এছাড়াও আর্মি ডেন্টাল কোর, রিমাউন্ড ভেটেরেনারী এ্যান্ড ফার্ম কোর , ক্লারিক্যাল কোর ইত্যাদি আরও কিছু ছোটখাট কোর বা বিভাগ রয়েছে ।
 
 
২) সেনাবাহিনীর পদবীসমুহ কি ?
 
সেনাবাহিনীতে মুলতঃ তিনটি ক্যাটাগরি রয়েছে।
 
ক) অফিসার 
খ) জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার (জেসিও)
গ) নন কমিশন্ড অফিসার (এনসিও) ও অন্যান্য পদবী
 
৩) সৈনিক হিসেবে যোগ দিতে কি যোগ্যতা লাগে এবং কি কি পরীক্ষা দিতে হয় ?
 
এসএসসি পাশ করে রিক্রুটিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সৈনিক হিসেবে সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়া যায়।এক দিনের মধ্যেই লিখিত, মৌখিক এবং মেডিক্যাল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ দেরকে এই পদে যোগ দিতে ডাকা হয়। এরা সফলভাবে একবছর ট্রেনিং সম্পন্ন করতে পারলেই কেবল সৈনিক হিসেবে চাকরি প্রাপ্ত হয়। এদের ট্রেনিং কোর, আর্মস বা সার্ভিস ভেদে বিভিন্ন স্থানে হয় ।
 
 
৪) সৈনিক পদে ভর্তি হলে কোন পর্যন্ত পদোন্নতি পাওয়া যায়? ধাপগুলো কি কি ?
 
একজন সৈনিক সফলতার সাথে চাকরি করলে অনারারী ক্যাপ্টেন পর্যন্ত হতে পারে। ধাপগুলো হচ্ছেঃ
 
১) সৈনিক ২) ল্যান্স কর্পোরাল ৩) কর্পোরাল ৪) সার্জেন্ট ৫) ওয়ারেন্ট অফিসার ৬) সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার ৭) মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার ৮) অনারারী লেফটেন্যান্ট ৯) অনারারী ক্যাপ্টেন
 
৫) এনসিও এবং জেসিও কারা ?
 
এনসিও হচ্ছে নন কমিশন্ড অফিসার এবং জেসিও বা জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার, যেখানে সৈনিকদের মধ্য থেকে পদোন্নতি হয়ে ধাপে ধাপে এই পদগুলো প্রাপ্ত হয়। উপরের প্যারার কর্পোরাল ও সার্জেন্ট র্যােঙ্ক দুটি এনসিও এবং ওয়ারেন্ট অফিসার এর পরবর্তী পদগুলো জেসিও হিসেবে বিবেচিত। উল্লেখ্য, জেসিওরা দ্বিতীয় শ্রেণীর সরকারী কর্মচারী।এছাড়াও কোন সৈনিক যদি অসাধারণ নৈপুণ্য প্রদর্শনে সক্ষম হয় সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট যোগ্যতা পূরণ সাপেক্ষে তাকে অফিসার হিসেবে জিএল কমিশনও প্রদান করা হয়।
 
৬) সেনা বাহিনীতে অফিসারদের পদবীগুলো কি কি ? 
 
সেনাবাহিনীতে সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট থেকে জেনারেল পর্যন্ত মোট ১০ টি পদ আছে। 
 
১) সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট ২) লেফটেন্যান্ট ৩) ক্যাপ্টেন ৪) মেজর ৫) লেফটেন্যান্ট কর্নেল ৬) কর্নেল ৭) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ৮) মেজর জেনারেল ৯) লেফটেন্যান্ট জেনারেল ১০) জেনারেল
 
 
৭) অফিসার হতে হলে কি যোগ্যতা থাকতে হয় ?
 
একজন সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট সেনা বাহিনীর সবচে জুনিওর র্যাযঙ্কের কর্মকর্তা। এজন্য তাকে মিলিটারি একাডেমীতে দুই বছরের প্রশিক্ষণ সফলতার সাথে শেষ করার পাশাপাশি সফলতার সাথে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনাল হতে গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করতে হয়। তবেই তার নাম কমিশন্ড অফিসার হিসেবে গেজেটভুক্ত হয়।
 
সাধারণত সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট হতে লেফটেন্যান্ট হতে এক বছর সময় লাগে। যোগ্যতা অর্জন ও পদোন্নতি পরীক্ষায় পাস সাপেক্ষে তিন বছর চাকরি সম্পন্ন হলে ক্যাপ্টেন পদে পদোন্নতি হয়। একইভাবে সাধারণত যোগ্যতা অর্জন ও পদোন্নতি পরীক্ষায় পাস সাপেক্ষে আট বছর চাকরি সম্পন্ন হলে মেজর পদে পদোন্নতি হয়। লেফট্যানেন্ট কর্নেল এবং পরবর্তী পদবী সমূহ মেজর জেনারেল এবং তদূর্ধ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত পদোন্নতি পর্ষদ কর্তৃক অনুমোদিত হয়। অর্থাৎ মেজর থেকে লেফট্যানেন্ট কর্নেল এবং তদূর্ধ পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট যোগ্যতা অর্জন করা ছাড়াও উক্ত বোর্ডের অনুমোদন লাগবে।
 
৮) কারা কিভাবে সেনা অফিসার হয় ? এদের শিক্ষাগত যোগ্যতা কি ? আর কি কি যোগ্যতা লাগে ? 
 
মুলত এইচএসসি পাশের পর একজন সেনা কর্মকর্তা হবার জন্য নির্দিষ্ট যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে আবেদন করতে পারেন। এখানে উল্লেখ্য যে বাংলাদেশের সেনা অফিসারদের মধ্যে গড়ে ৭০-৭৫ ভাগই আসে ক্যাডেট কলেজ থেকে। কিন্তু এর মানে এই না যে ক্যাডেট কলেজে পড়লেই সেনা অফিসার হতে পারবে। বাংলাদেশের ক্যাডেট কলেজ গুলো থেকে প্রতি বছর আনুমানিক কম বেশী ৬০০ (১২ টি ক্যাডেট কলেজে প্রতি ব্যাচে ৫০ জন করে) জন যদি পাশ করে বের হয়, এর মধ্যে আর্মিতে সুযোগ পায় কিন্ত গড়ে মাত্র ৮০- ১০০ জন। কারণ প্রতি ব্যাচে অফিসার হিসেবে বাকি ৫০০ জন কিন্তু অন্য পেশায় চলে যাচ্ছে।সকল ক্যাডেটদের জন্যই সেনা বাহিনীতে যোগদানের পরীক্ষায় অংশ নেয়া বাধ্যতামূলক যদিও একবারে ১০০ ভাগ ক্যাডেট সেনা অফিসার হতে চায় এরকম বলা যাবে না।
 
এই বিষয়ে নিশ্চয়ই কারো দ্বিমত নেই যে ক্লাস সেভেনে লক্ষ লক্ষ মেধাবী কিশোরের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে যাওয়া কিছু ভাগ্যবান এবং অসাধারণ মেধাবী ছেলেই পড়ার সুযোগ পায় ক্যাডেট কলেজগুলোতে (প্রতি কলেজে মাত্র ৫০ জন করে), এদের মধ্যেও প্রতিযোগিতার মাধ্যমে গড়ে প্রায় ছয় ভাগের এক ভাগ মাত্র সুযোগ পায় সেনা অফিসার হওয়ার।
 
এছাড়া বাকি ২৫-৩০ ভাগ অফিসার আসে দেশের অন্যান্য বেসামরিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে যার মধ্যে অগ্রগণ্য হচ্ছে নটরডেম কলেজ, ঢাকা কলেজ, রাজউক কলেজ, বি এ এফ শাহীন কলেজ, আদমজী ক্যান্টঃ কলেজ সহ অন্যান্য সরকারী ও বেসরকারী কলেজ। ক্যাডেট কলেজের পরই সবচেয়ে বেশি অফিসার সম্ভবত নটরডেম কলেজের। এছাড়াও দেশের অন্যান্য কলেজগুলো থেকেও সেনা অফিসার হিসেবে মিলিটারি একাডেমিতে যোগ দেবার সু্যোগ পায়। কাজেই সেনা অফিসার হতে গেলে এই সব মেধাবী ছেলে মেয়েদের সাথে প্রতিযোগিতায় নামতে হবে আপনাকে। এখানে বুয়েট, মেডিক্যাল বা অন্যান্য ভর্তি পরীক্ষার সাথে পার্থক্য এটাই যে শুধুমাত্র মেধার বিচারে সেনা অফিসার নির্বাচন করা হয় না। মেধা অবশ্যই অনেক বড় একটা ফ্যাক্টর কিন্তু এর সাথে আরও অনেক বিষয় বিবেচনা করা হয়।


   
 
  সূত্র : বাংলাদেশ আর্মি

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

আর্মি হতে হলে আপনার মধ্যে কিছু বিষয় অবশ্যই থাকতে হবে । উচ্চতা : 5'7" ওজন : 50 Kg মেডিকেল : ফিটনেস এস.এস.সি + এইচ.এস.সি তে মিলিয়ে GPA 9.00

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

আর্মি (সৈনিক) অনেক ধরণের । যেমনঃ AMC,ASC সহ আরও অনেক ধরণের । AMC হতে হলে কিছুটা ডাক্তারি জানতে হবে । ডাক্তারি বলতে, রোগ,লক্ষণ,ঔষধ ইত্যাদি সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা থাকতে হবে । কোর্সও করতে হবে । তারপর কোন সিএমএইচ (CMH) এ কোন বিভাগে কর্মরত থাকবেন । আবার ASC তে ড্রাইভিং জানতে হবে । তবে প্রাথমিকভাবে ঢুকতে গেলে বিভিন্ন ট্রেনিং করতে হবে । সেগুলো ঢুকলেই বুঝতে পারবেন ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ