ঝর্না হোক, পুকুর হোক বা বালতির পানি
ফরয গোসল এর নিয়ম একই।
আপনাকে কন্ঠনালী পর্যন্ত পানি পৌঁছে কুলি করতে হবে।
নাকের নরম হাড্ডি পর্যন্ত পানি পৌঁছাতে হবে।
সম্পূর্ণ শরীরে পানি দিয়ে ধৌত করতে হবে।
এখন কুলি, নাকে পানি দেয়া ও শরীরে পানি দেয়া বিষয়ে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বিস্তারিত জানতে এখানে দেখুন গোসলের পদ্ধতি
ফরজ গোসলের মাধ্যমে পবিত্র হওয়ার পানির সকল মাধ্যমেই নিয়মে একই
গোসলের সঠিক নিয়মঃ
১. গোসলের জন্য মনে মনে নিয়্যাত করতে হবে। বাড়তি মুখে কোন আরবি শব্দ উচ্চারণ করে নিয়্যাত করা বিদ’আত।
২. প্রথমে দুই হাত কব্জি পর্যন্ত ৩ বার ধুতে হবে।
৩. এরপর ডানহাতে পানি নিয়ে বামহাত দিয়ে লজ্জাস্থান এবং তার আশপাশ ভালো করে ধুতে হবে। শরীরের অন্য কোন জায়গায় বীর্য বা নাপাকি লেগে থাকলে সেটাও ধুতে হবে।
৪. এবার বামহাতকে ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে।
৫. এবার ওজুর নিয়মের মত করে ওজু করতে হবে, তবে দুই পা ধুয়া যাবে না।
৬. ওজু শেষে মাথায় তিনবার পানি ঢালতে হবে।
৭. এবার সমস্ত শরীর ধোয়ার জন্য প্রথমেই তিনবার ডানে তারপর তিন বার বামে পানি ঢেলে ভালোভাবে ধুতে হবে, যেন শরীরের কোন অংশ বা কোন লোমও শুকনো না থাকে। নাভি, বগল ও অন্যান্য কুঁচকানো জায়গায় পানি দিয়ে ধুতে হবে।
৮. সবার শেষে একটু অন্য জায়গায় সরে গিয়ে দুই পা ৩ বার ভালোভাবে ওজুর মতো করে ধুতে হবে।
অবশ্যই মনে রাখতে হবেঃ
১. পুরুষের দাড়ি ও মাথার চুল এবং মহিলাদের চুল ভালোভাবে ভিজতে হবে।
২. এই নিয়মে গোসলের পর নতুন করে আর ওজুর দরকার নাই, যদি ওজু না ভাঙ্গে।
আল্লাহ আমাদের সঠিকভাবে কুর’আন ও সহিহ্ সুন্নাহ মেনে চলার তাওফিক দিক এবং পূর্বের না জেনে করা ভুল ক্ষমা করুক। আমিন