দৈনন্দিন পরিশ্রমের ফলে মাথাব্যাথা হয় । এর জন্য করণীয় হলো :- আদা ও আদা চা মাথা ব্যথা উপশমে আদার জুড়ি নেই। কারণ আদায় রয়েছে ‘প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন সিনথেসিস’ যা অ্যাসপিরিন অ ব্যথানাশক ঔষধে ব্যবহার করা হয়। তাই মাথা ব্যথা শুরু হলে সামান্য আদা ছিলে নিয়ে চিবনো শুরু করুন। এতে মাথা ব্যথা দ্রুত উপশম হবে। এর পাশাপাশি এক কাপ পানি ফুটিয়ে এতে আদা সামান্য ছেঁচে নিয়ে ফুটিয়ে নিয়ে সামান্য মধু দিয়ে পান করতে পারেন আদা চা। এতেও মাথা ব্যথা দ্রুত দূর হবে। আইসব্যাগ বাজারে নানা আকারের অনেক আইসব্যাগ কিনতে পাওয়া ইয়া। একটি আইসব্যাগে বরফ ভরে নিয়ে তা মাথার ওপরে অর্থাৎ ঠিক মাথার তালুতে খানিকক্ষণ ধরে রাখুন। দেখবেন মাথা ব্যথা উপশম হচ্ছে। তবে জাদের হুটহাট ঠাণ্ডা লেগে যাওয়ার প্রবণতা আছে তারা এই পদ্ধতি পালন করবেন না। মিষ্টিকুমড়োর বিচি খান মিষ্টি কুমড়োর বিচি ভেজে খেলে মাথা ব্যথার সমস্যা থেকে দুত মুক্তি পাওয়া সম্ভব। কারণ মিষ্টি কুমড়োর বিচিতে হয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম সালফেট যা মাথা ব্যথা উপশমে কাজ করে থাকে। কাঠবাদাম খাওয়ার অভ্যাস রাখুন অনেক সময় আবহাওয়া, ধুলোবালির কারণে মাথা ব্যথা শুরু হয়ে যায়, আবার অনেক সময় মানসিক চাপের কারণেও মাথা ব্যথা শুরু হয়। এই সকল ধরনের ব্যথা কমানোর জন্য একমুঠো বা দুইমুঠো কাঠবাদাম চিবিয়ে খান। কাঠবাদামে রয়েছে ‘স্যালিসিন’ যা ম্যথা ব্যথা উপশমে কাজ করে রবং দ্রুত ব্যথা নিরাময় করে। মনোযোগ দিয়ে গান শুনুন মন ভালো করার পাশাপাশি মাথা ব্যথা উপশমে সব চাইতে ভালো কাজ হচ্ছে গান শোনা। ‘জার্নাল অফ পেইন’ গবেষণাপত্রে প্রকাশ হয় গান শোনা প্রায় ১৭% ব্যথা কমিয়ে দিতে সহায়তা করে। কারণ গান মনোযোগ দিয়ে শোনার সময় আমাদের লক্ষ্য মাথা ব্যথা থেকে সরে যায় যা আমাদের মাথা ব্যথার কথা অনেক সময় ভুলিয়ে দেয়। এতে করেই সেরে উঠে মাথা ব্যথা।
মাথা ব্যাথা'- খুবই সাধারন অভিযোগ।মাথায় বিভিন্ন কারনে ও বিভিন্ন মাত্রায় ব্যাথা হতে পারে।ব্যাথা যদি খুব তীব্র ও প্রায়ই হয় তবে অবশ্যই ডাক্তারের সাহায্য নিতে হবে।আর যদি কাজের চাপ,দুশ্চিন্তা বা অনিয়ম জনিত কারনে ব্যাথা হয় তবে আমাদের খাবার মেনু কিছুটা পরিবর্তন করলেই এটা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। দেখা যাক তাহলে: ১. কম এসিডিক ও উচ্চ এন্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল যেমন- বেরি জাতীয় ফল, নাশপতি,পেয়ারা, আম,তরমুজ ইত্যাদি ফল যোগ করুন খাবার তালিকায়। ২.আশঁযুক্ত সবজি মাথা ব্যাথা উপশমে বিশেষভাবে কার্যকরী। দৈনিক মেনুতে রাখুন- বাধাকপি,ব্রোকলি,গাজর,চালকুমড়া,মিষ্টি আলু, বিভিন্ন রকমের সবুজ শাক। ৩.লাল চাল, লাল আটা,ওট বিস্কুট ও অন্যান্য whole grain দ্রব্য ব্যবহার করুন। ৪.তাজা মাছ রান্না করুন low-fat cooking methods'এ (যেমন -baking, broiling, steaming and grilling )।সাথে রসুন ব্যবহার করুন। ৫.সয়াবিন থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন সয়া দ্রব্য যেমন- soy milk, tofu,soy nugget ইত্যাদি বেশ কার্যকরী। ৬.কাঠ বাদামে magnesium আছে যা blood vessels'কে relaxকরে,যার ফলে ব্যাথা উপশম হয় সহজেই। ৭. সালাদে তিল আস্ত বা মোটা গুড়া করে সামান্য পরিমানে ব্যবহার করুন, উপকৃত হবেন। ৮.দৈনিক কমপক্ষে ২.৫ লিটার পানি পান করুন।