মায়ের সেবায় নিয়োজিত থাকো, কেননা তাঁর পায়ের নিচেই জান্নাত! তবে কেন তা বাবার পায়ের নিচে নয়?
মুআবিয়া ইবনে জাহিমা আস-সালামী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর সন্তোষ লাভের এবং আখেরাতে জান্নাত প্রাপ্তির আশায় আমি আপনার সাথে জিহাদে যেতে চাই। তিনি বলেনঃ তোমার জন্য দুঃখ হয়, তোমার মা কি জীবিত আছে? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বলেনঃ ফিরে গিয়ে তার সেবা যত্ন করো। এরপর আমি অপর পাশ থেকে তাঁর নিকট এসে বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন এবং আখেরাতে জান্নাত লাভের আশায় আপনার সাথে জিহাদে যেতে চাই। তিনি বলেনঃ তোমার জন্য দুঃখ হয়, তোমার মা কি জীবিত আছে? আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! হাঁ। তিনি বলেন, তুমি ফিরে যাও এবং তার সেবা যত্ন করো। এরপর আমি তাঁর সম্মুখভাগে এসে বললাম, হে আল্লাহর রাসূল। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন এবং আখেরাতে জান্নাত লাভের আশায় আমি আপনার সাথে জিহাদে যেতে চাই। তিনি বলেনঃ তোমার জন্য দুঃখ হয়, তোমার মা কি জীবিত আছে? আমি বললাম, হাঁ, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তিনি বলেনঃ তোমার জন্য আফসোস! তার পায়ের কাছে পড়ে থাকো, সেখানেই জান্নাত।
জগৎ সংসারের শত দুঃখ-কষ্টের মাঝে যে মানুষটির একটু সান্ত্বনা আর স্নেহ-ভালোবাসা আমাদের সব বেদনা দূর করে দেয়, তিনিই হলেন মা। মায়ের চেয়ে আপনজন পৃথিবীতে আর কেউ নেই। দুঃখে-কষ্টে, বিপদে-সংকটে যে মানুষটি স্নেহের পরশ বিছিয়ে দেন, তিনি হচ্ছেন আমাদের সবচেয়ে আপনজন, মা। প্রতিটি মানুষ পৃথিবীতে আসা এবং বেড়ে ওঠার পেছনে প্রধান ভূমিকা একমাত্র মায়ের। মায়ের তুলনা অন্য কারো সঙ্গে চলে না। মায়ের সঙ্গে সন্তানের নাড়ির সম্পর্ক, যা একটু আঘাত পেলেই প্রতিটি মানুষ মা বলে চিৎকার দিয়ে জানান দিয়ে থাকে।
একজন মায়ের সন্তান জন্ম দেয়া, তা লালন পালন থেকে শুরু করে তিনি যে কত কষ্ট সহ্য করেন তা একমাত্র মা-ই ভাল জানেন। এজন্য মায়ের মর্যাদা এত বেশি-ই দেয়া হয়েছে।