কোনো বিষয়ে কসম না করাই উত্তম।কসম করেও যখন কথা বলেছে,এতে স্বাভাবিকভাবে কোন ক্ষতি হবে না।তবে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে হবে।আল্লাহ দয়ালু,তিনি ক্ষমা করে দিতে পারেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

কসম করলে অবশ্যই জায়েজ কোনো কাজের জন্য করতে হবে। হারাম কোনো কাজের জন্য কসম করা জায়েজ নয়, আর করলেও সেই কসম রক্ষা করা যাবেনা। বরং হারাম কসম ভংগ করতে হবে। এখন কেউ যদি কোনো কসম করেন এবং সেটা ভেঙ্গে ফেলেন এর পরিবর্তে তাকে কাফফারা দিতে হবে। আর কাফফারা দিলে তিনি কসম করার আগের অবস্থায় ফিরে যাবেন। যেমন, কেউ যদি কসম করে বলেন, আল্লাহর কসম আমি অমুক জায়গায় যাবো। কিন্তু তিনি পরে আর যেতে চাচ্ছেন না যাওয়া সম্ভব হচ্ছেনা। তখন তিনি যদি কসম ভেঙ্গে ফেলন (ইচ্ছাকৃত অথবা অনিচ্ছাকৃত) – তাহলে তিনি কসম ভাঙ্গার জন্য কাফফারা দেবেন। আর কাফফারা দেওয়ার পর না গেলেও কোনো সমস্যা নেই। কসম ভাঙ্গার জন্য কাফফারা দেওয়ার তিনটা উপায় আছে। যার সামর্থ আছে তার পছন্দ অনুযায়ী যেকোনো একটাকে বেছে নিবেন। আর এই তিনটা না পারলে চতুর্থ আরেকটা আছে সেটা করতে হবে। কিন্তু তিনটার সামর্থ থাকলে তার মধ্য থেকে যেকোনো একটাকেই বেছে নিতে হবে। ১. দশজন মিসকীনকে খাবার দিতে হবে। খাবার এমন মানের দিতে হবে যা তার পরিবারের জন্য ব্যয় করে থাকেন।  ২. অথবা দশজন মিসকীনকে পোশাক দিতে হবে ৩. অথবা একজন দাস মুক্ত করতে হবে ৪. কারো পক্ষে যদি উপরের তিনটা কাজ করার মতো আর্থিক সামর্থ্য না থাকে তাহলে তিনদিন রোজা রাখতে হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ