কোথাও তো ঢালাওভাবে এ কথা বলা হয় নি যে, সকল মানুষের পাপ সমান হবে। যে যেমন অন্যায় করবে তার তেমন পাপ হবে। ৬০ বছর বয়সী একজন মানুষ মানুষ হত্যা করলে তার যেমন পাপ হবে ৩০ বছরের একজন যুবক মানুষ হত্যা করলে তেমনই পাপ হবে। আপনি কি বলতে চান বয়সের ব্যবধানের কারণে পাপের ব্যবধান হওয়া প্রয়োজন। তাহলে তো সেটা বৈষম্য হয়ে যাবে। একজন উন্মাদের অন্যায়ের পাপ একজন সুস্থ মেধার মানুষের অন্যায়ের পাপ এক মাপের নয়। এখানে মানুষ সৃষ্টির ব্যবধানের কারণে তার পাপেও ব্যবধান রাখা হয়েছে। সারকথা, যার অন্যায়ের যেমন পাপ হওয়ার প্রয়োজন আল্লাহ তার অন্যায়ের জন্য তেমন পাপই নির্ধারণ করেন। এক্ষেত্রে তিনি কারো উপর জুলম করেন না। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ এ ঘোষণা দিয়েছেন। কখনো যদি আমাদের বুঝতে সমস্যা হয় সেটা আমাদের জ্ঞান বুদ্ধির স্বল্পতা। আপনার প্রশ্নটা বিস্তৃত হয়ে গেছে। আরো সুনির্দিষ্ট করে প্রশ্ন করা হলে উত্তরও সুনির্দিষ্ট করা যেতো।
আল্লাহ মানুষকে সমানভাবে তৈরি করেননি একথা সঠিক।তিনি কাউকে ধনী আবার কাউকে গরীব করে পাঠিয়েছেন। কিন্ত গরীবকে তার রহমত হতে নিরাশ করেননি। হাদিসে এসেছে, আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) বর্ণিতঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, গরীব মুমিনরা ধনীদের পাঁচশত বছর পূর্বে জান্নাতে প্রবেশ করবে। [রিয়াযুস স্বা-লিহীন, হাদিস নম্বরঃ ৪৯১] জনাব! ছোট সাপ যেমন জীবন ধবসংকারী, আবার বড় সাপও জীবন ধবংসকারী। ঠিক তেমন-ই পাপ, যা ছোট গুনাহ করলেও জাহান্নাম, আবার বড় গুনাহ করলেও জাহান্নাম। যা পাপ ধনী গরীব সবার ক্ষেত্রে সমান ভাবে প্রযোজ্য।