আমি দাড়ি রাখতে চাই, আমার বয়স ২২ বছর। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে  আমি দাড়ি রাখতে চাই এই কথা জানার পর থেকে আমার মা-বাবা বিশেষ করে মা, খুব নারাজ। দেশের পরিস্থিতি সহ আরো কিছু বিষয় চিন্তা করে হয়ত, মা আমাকে দাড়ি কেটে ফেলতে বলছে বলে আমার ধারণা। আমি দাড়ি কাটব না বলার পর থেকে মা ঠিকমত আমার সাথে কথা বলছে না, এবং আমি তাকে দাড়ি রাখার গুরুত্ব ও বুঝিয়েছি, কিন্তু আমার বাবা-মা তা মানতে নারাজ। এমতাবস্থায় আমার করণীয় কি?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

এ মুহূর্তে আপনার করণীয় হলো, যে কোনো মূল্যে আপনার অবস্থানের উপর অটল থাক। কোনো ক্রমেই ভেঙ্গে না পড়া। তবে মা বাবার সাথে  দুর্ব্যবহারও করা যাবে না। সবটুকু শ্রদ্ধা ভালোবাসা দিয়ে আপনার বাবা মা বিশেষত আপনার মাকে বুঝান। তাকে বলুন, মা ! একদিন আমাদের চলে যেতে হবে। পরকালে তুমি এ দাড়ি বিষয়ে মহামহিমের আদালতে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে পারো। তখন তুমি কি জবাব দিবে তা কি প্রস্তুত করেছো ? আল্লাহ রাসূল বলছেন, দাড়ি রাখতে। আর তুমি বলছো দাড়ি কাটতে। এখন তুমিই বলো মা ! আমি কার কথা শুনবো ? তোমার কথা শুনলে আমি আল্লাহর আদালতে অপরাধী হবো। আর আল্লাহর কথা শুনলে তোমার নিকট আমি অপরাধী হবো না। আজকে তোমার কথার কারণে যদি আমি দাড়িতে হাত দেই রোজ হাশরে আমি তোমার বিরুদ্ধে মামলা করবো। আল্লাহ যদি আমাকে দাড়ির ব্যাপারে প্রশ্ন করে তাহলে তোমার কথা বলবো। আমি ছাড়া পাই বা না পাই তুমি কিন্তু মা ছাড় পাবে না। এ জাতীয় কথা বার্তা বলে আপনার মাকে বুঝান। আশা করি বুঝবে। আর আপনার মা যে যুক্তি দিচ্ছেন তা মূলত কোনো যুক্তিই না। তাকে বুঝান, ভাগ্যে বিপদ থাকলে আমার দাড়িহীনতা আমাকে বাঁচাতে পারবে না। বরং আমার দাড়ি আমাকে অনেক বিপদ থেকে উদ্ধার করতে পারে। কারণ সবকিছু আল্লাহর পক্ষ থেকেই হয়। তাই এ নিয়ে টেনশন করার কিছুই নেই।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

দাড়ি রাখলে কি সওয়াব আর কাটলে কি গুনাহ এইসব হাদিস গুলো আপনার মা বাবা কে বলে শুনান আশা করি কাজ হতে পারে। আর ইসলাম ধর্মে ধর্মীয় কোন বিষয় নিয়ে পিতামাতা বারা বারি করলে সে ক্ষেত্রে তাদের কথা অমান্য করা জায়েজ আছে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন পবিত্র কুরআনে এবং তার হাবীব মুহাম্মদুর রাসূল সাঃ একাদিক হাদীসে বলেছেন, তোমরা তোমাদের মা-বাবার কথা মেনে চলবে। তাদের কথার বাহিরে কোন কাজ করবে না। হাদীসে রাসূল সাঃ মা-বাবাকে জান্নাত জাহন্নাম বলেছেন। আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন আল্লাহর পরে তাদের অনুসরণ করতে বলেছেন। আল্লাহ তায়ালা বলেন, তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন যে, তাঁকে ছাড়া অন্য কারও এবাদত করো না এবং পিতা-মাতার সাথে সদ্ব-ব্যবহার কর। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়; তবে তাদেরকে `উহ’ শব্দটিও বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না এবং বল তাদেরকে শিষ্ঠাচারপূর্ণ কথা। (সুরা বনী ইসরাঈলঃ ২৩) এখন কথা হলো, মা-বাবা যদি কোন গুনাহের কাজের কথা বলে তাহলে সেটাও কি মানতে হবে? আসুন দেখি সে বিষয়ে রাসূল সাঃ কি বলেন। রাসূল সাঃ এর হাদীস সমূহ যদি আমরা অধ্যায়ন করি তাহলে আমরা তাতে পাই, কারো অনুসরণ শুধু মাত্র ঐসব জায়গায় করা যাবে যেখানে আল্লাহর কোন নাফরমানী হয় না। যদি কেহ কখনো কোন গুনাহের কাজের কথা বলে তাহলে তা মানা যাবে না। যদিও হুকুম দাতা মা-বাপ হয়। রাসূল সাঃ বলেন, শুধুমাত্র অন্যের অনুসরণ করা যাবে ভালো কাজে। আর যদি গুনাহের কাজের আদেশ করে তাহলে তা শুনাও যাবে না এবং অনুসরন করাও যাবেনা। (জামে তিরমিজীঃ ৪/২০৯ হাদীস নং ১৭০৭) #সংগ্রহ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ