কোরআনের কপি যদি পুরানো হয়, ছিড়ে যায় এবং তার পৃষ্ঠাগুলো ব্যবহার অনুপযোগী হয়, তাহলে এমন জায়গায় রাখা যাবে না, যেখানে ওইসব পাতার অমর্যাদা হয় বা ময়লা-আবর্জনায় পতিত হয়, যেখানে মানুষ বা জীব-জন্তু দ্বারা পিষ্ট হয়। পুরানো ও ব্যবহার অনুপযুক্ত কোরআন পুড়িয়ে ফেলা উত্তম। হজরত উসমান (রাঃ) কোরাইশি হরফের কোরআন রেখে অবশিষ্ট কোরআনের কপিগুলো পোড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এমর্মে একটি বর্ণনায় ইমাম বোখারি (রহঃ) উল্লেখ করেছেন। পুরানো কোরআনের কপি ভালো করে পুড়ে ছাই করা জরুরি, কারণ অনেক সময় পোড়ানোর পরও হরফ অবশিষ্ট থাকে। পুরানো কোরআন দাফন করা অপেক্ষা পোড়ানো উত্তম।
পবিত্র কুরআন যদি অনেক পুরাতন হয়ে যায় এবং পড়ার উপযোগী না হয় তাহলে ফুকাহায়ে কেরাম করণীয় হিসেবে তিনটি পদ্ধতি উল্লেখ করেছেন। ১। সুন্দর পরিস্কার ও পবিত্র একটি কাপড়ে পেঁচিয়ে পবিত্র জায়গায় দাফন করে দেয়া। ২। পবিত্র পানিতে ফেলে দেয়া। যাতে পৃষ্ঠাগুলো ভিজে ভিজে নিঃশেষ হয়ে যায়। ৩। পবিত্র কোনো জায়গায় রেখে আগুন দ্বারা পুড়িয়ে ফেলা। ফাতাওয়ায়ে শামী, ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াসহ অন্যান্য ফতওয়া গ্রন্থে এ পদ্ধতিগুলো উল্লিখিত হযেছে। তবে সেখানে প্রথম পদ্ধতিকে উৎকৃষ্টতর পদ্ধতি হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। সুতরাং আপনার জন্য করণীয় হলো, আপনি পুরাতন কুরআন শরীফটিকে পবিত্র একটি কাপড়ে পেঁচিয়ে সুন্দর একটি জায়গায় দাফন করে দিন।