মানুষের চক্ষু কখনও দেখেনি
মানুষের কান কখনও শুনেনি
মানুষের অন্তরে কখনও কল্পনা হয়নি
মানুষের অন্তর কখনও ধারনা করেনি
চক্ষুশীতলকারী কি সামগ্রী আছে সেথা
কেউ জানেনা কি নেয়ামত আছে রাখা।
আছে স্বচ্ছ পানির নহর ,নির্মল দুধের নহর
পরিশোধিত মধুর নহর ,সুস্বাদু শরাবের নহর
ইচ্ছা রুচি করিবে পানাহার
শুভ্র সমুজ্জ্বল সুস্বাদু নাই কোন ক্ষতিকর।
থাকবে সলজ্জ নম্র আয়তলোচনা তরণী
লুকিয়ে রাখা ডিমের মতো উজ্জ্বল গৌর বর্ণী
একবার যদি উঁকি দিয়ে দেখে দুনিয়ায়
আসমান যমীন আলোকিত হয়ে সুগন্ধে ভরে যায়।
ঝর্ণাধারা প্রবাহীত হবে পদদেশে
অনাদিকাল থাকবে সেখানে বড্ড ভালবেসে।
থাকবে ঝুঁকে গাছের ছায়া
ফলপাকড়াকে আয়ত্বাধীন করে দেয়া।
পরিবেশিত কাঁচ রৌপ্য নির্মিত
স্বচ্চ রুপালী স্ফটিক পাত্র।
অপুর্ব সুরাই মেশানো আছে যানজাবীল
অমিয় ঝর্ণা বয়ে চলেছে সালসাবীল।
চারদিকে ঘুরবে একদল চির কিশোর
এরা বুঝি ছড়ানো ছিটানো মনি ও মুক্তা।
অতি সুক্ষ্ম সবুজ রেশম ও মোটা মখমল
আরো পরানো হবে রুপার কংকন।
পান করানো হবে শরাবান তহুরা
মালিকের সাথে সাক্ষাত করবে বান্দারা।
সেখানে থাকবেনা কোন শীত তাপ
এই হল জান্নাত।(সংক্ষিপ্ত)