হযরত বিলাল রা.-এর আযান অনেক উঁচু কণ্ঠে ও সুমিষ্ট কণ্ঠে হতো এবং খুবই বিশুদ্ধ উচ্চারণে হতো।


আবদুল্লাহ বিন যায়দ রা. স্বপ্নে দেখেছিলেন আযানের বাক্যগুলো। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, এ বাক্যগুলো বিলালকে শিখিয়ে দাও, সে আযান দিক। বিলালের আওয়াজ তোমার চেয়ে উঁচু ও দীর্ঘ।


এভাবে এসেছে, ‘‘... ফাক্বুম মাআ বিলাল, ফা ইন্নাহু আনদা সওতান মিনকা।’’


(অর্থাৎ বিলালকে সাথে নিয়ে দাঁড়িয়ে যাও, কেননা তার আওয়াজ তোমার চেয়ে উঁচু ও দীর্ঘ।)


[সুনানে আবু দাউদ, অধ্যায় কিতাবুস সালাত, অনুচ্ছেদ কাইফাল আযান, হা. ৪৯৯; জামে তিরমিযি, কিতাবুস সালাত, আবওয়াবুল আযান, বাবু মা জা আ ফী বাদইল আযান, হা. ১৮৯; সুনান ইবন মাজাহ, কিতাবুল আযান ওয়াস সুন্নাহ ফিহ, বাদইল আযান, হা. ৭০৬; এছাড়াও মুসনাদে আহমাদ, সহিহ ইবন খুযাইমা, ফাতহুল বারি, নাসবুর রায়াহ ফি তাখরিজিল আহাদিসিল হিদায়া কিতাবে বর্ণিত হয়েছে হাদীসটি।]



আরেকটি কথা  :


হযরত বিলাল ইবন রাবাহ রা.-এর আযান শুদ্ধ হতো। তাঁর আযান খুব সুন্দর ও বিশুদ্ধ উচ্চারণে ছিল। 

‘হযরত বিলাল রা. আযানের সময় তাঁর জিহ্বার কারণে অনিচ্ছাকৃত ভুল উচ্চারণ হতো’-- এ কথার কোনো ভিত্তি নেই। এটি লোকমুখে প্রসিদ্ধ ভুল ও বানোয়াট কথা মাত্র।

ইমাম মোল্লা আলি ক্বারি হানাফি রহ. বলেন, ‘‘এমন কথার কোনো ভিত্তি নেই।’’ --[কাশফুল খাফা, ১ম খণ্ড, পৃ. ২৫৮, রেওয়ায়াত  ৬৯৫]

ইমাম হাফিযুল হাদীস ইবন কাসির রহ. বলেন, ‘‘এর কোনো ভিত্তি নেই। এটি সঠিক নয়।’’ --[কাশফুল খাফা, ১ম খণ্ড, পৃ. ৫৩০, রেওয়ায়াত ১৫২০]

ইমাম শাফেয়ি রহ.-এর ছাত্র ইমাম ইসমাইল আল-মুযানি রহ. বলেন, ‘‘এটি মানুষের মুখে প্রচলিত কথা মাত্র। হাদীস ও সুন্নাহর কিতাবে এমন কিছুই বর্ণিত হয়নি।’’ --[কাশফুল খাফা, ১ম খণ্ড, পৃ. ২৫৮, রেওয়ায়াত ৬৯৫]

মূলত হযরত বিলাল রা. সুমধুর, সুউচ্চ এবং শুদ্ধ উচ্চারণের অধিকারী ব্যক্তি ছিলেন। ইমাম হাফিয আবুল ফিদা ইসমাইল ইবন কাসির রহ. বলেন, 

‘‘একাধিক জীবনীকার লিখেছেন যে, বিলাল রা. খুবই স্পষ্টভাষী, সুমধুর কণ্ঠ ও উঁচু আওয়াজের অধিকারী ছিলেন এবং তিনি শুদ্ধভাবে কথা বলতেন।...’’

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ