পৃথিবীতে পুরুষের চেয়ে মহিলা সংখ্যায় অনেক বেশি কেনো?
সন্তান জন্মদানের জন্য প্রধান ভুমিকা রাখে সেক্স ক্রোমোজোম
সেক্স ক্রোমোজম পুরুষের X এবং Y.
অন্যদিকে নারীদের ক্ষেত্রে X ও X
আমরা জানি যে,
গর্ভের সন্তানটি ছেলে বা মেয়ে হবে কি না তা নির্ভর করে
পুরুষের সেক্স ক্রোমোজমের উপর। কেননা আমরা জানি
যে, নারী ও পুরুষের সমন্বয়ে সন্তান হয়।
XX নিয়ে জন্ম গ্রহণ করলে কন্যা সন্তান হয় এবং XY
নিয়ে জন্মগ্রহণ করলে পুত্র সন্তান হয়।
পুরুষের শুক্রানু হতে X বা Y যে কোনোটি নির্গত হতে
পারে আর নারীদের ক্ষেত্রে তো X বা X যে কোন একটি
হলেই হচ্ছে কেননা দুটিই X X.
স্বাভাবিক দৃষ্টিতেই লক্ষ্য করা যায় যে, X সংখ্যাক ক্রোমজম
বেশি হওয়ার কারণে মেজোরিটি ভাবে XX নিয়েই একজন নারী
প্রেগন্যান্ট হন। তবে এমন কোনো বৈজ্ঞানিক কারণ বা
বাধ্যবাধকতা নেই।
তাহলে জন্মগত ভাবেই পুরুষের সংখ্যা হতে নারীর সংখ্যা
বেশি।
আবার গত কয়েক শতাব্দির রেকর্ড প্রমাণ করে যে একজন
কন্যা সন্তান হতে পুত্র সন্তান শিশু বেশি মৃত্যুবরণ করে বিভিন্ন
রোগের কারণে। তাহলে এখানেও পুরুষের তুলনায় নারীরা
সংখ্যা গরিষ্ঠ।
এসকল কারণে পৃথিবীতে পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা বেশি।
নারীদের সংখ্যা এতোদিনে পুরুষের তুলনায় দ্বিগুন বা তার
থেকে বেশি হয়ে যেত যদি না 'গর্ভে কন্যা সন্তান' হওয়ার
দরুণে গর্ভপাত না করা হতো।
এছাড়াও উইপিকিডিয়ার সুত্র অনুসারে পৃথিবীর সর্বাধিক
দেশ গুলোতেই পুরুষের তুলনায় নারীদের গড় আয়ু বেশি।
সুতরাং, নারী সংখ্যা বেশি থাকাটাই স্বাভাবিক।