আমি একটি গল্প পড়েছিলাম ঠিক আপনার কাহিনী এর মত। তবে ওই লম্পট ছিল মেয়েটির চাচা,,লেখা টা লেখা হয়েছিল একটি ইসলামিক গ্রুপ এ এই জন্য যে আমরা যেন অন্য কাউকে ভরসা না করি এবং বাবা মায়েরা যেন উদাসী না হয়। আপনি তো আপনার মা কে ব্যাপার টা বলতে পেরেছেন কিন্ত মেয়ে টি বলতে পারে নাই। আপনি যা করবেনঃ প্রথমে খুব সুন্দর ভাবে আপনার মাকে এই বিষয় টা বলবেন। উনি যদি বিশ্বাস না করেন তো ছবি টা দেখাবেন। (হয়তো কাজ হবে না কারণ আপনার মায়ের ও কিছু করার নাই) আপনি আপনার নানু বাসার কাউকে ব্যাপার টা বলেন। এবং আপনি নানু বাসাতে চলে জান এটাই ভালো হবে। কারণ উনি যখন ঘুমন্ত অবস্থাতে একটা সুযোগ নিয়েছেন। উনি এই রকম ভাবে সুযোগ খুঁজতেই থাকবেন। এক বার অঘটন ঘটে গেলে আর কিছু করার থাকবে না। আপনি আপনার নানু বাসাতে জান এটাই ভালো হবে। আইন গত ব্যাবস্থা নিলে আপনার নিজের সম্মানের ক্ষতি হবে,,,কেউ বিশ্বাস করতে চাইবে না ব্যাপার টা। সবাই আপনার দোষ দিবে। নানা রকম বাজে কথা বলবে। আপনি রুমে থাকার সময় রুমের দরজা লাগিয়ে রাখবেন। উনার কাছে থাকবেন না। উনার রুমে ভুল করেও প্রবেশ করবেন না। সর্বোপরি আপনার মাকে সব টা খুলে বলুন। এবং চেষ্টা করুন আপনি আপনার নানুর বাসাতে চলে যেতে।
ইতালি হচ্ছে বিকৃত যৌনাচারের দেশ, মানে যৌনাচারের ক্ষেত্রে ধর্মীয় এবং পারিবারিক সম্পর্ক মানা হয়না, অর্থাৎ আপনার সৎ পিতা বিকৃত যৌন মানসিক রোগে ভূগছে! যেহতু আপনার সৎ বাবা ইতালিতে ছিলো আমার ধারণা সে ওখান থেকেই এই ধরনের যৌনতায় অভ্যস্ত হয়েছে! এখন আপনার কাজ হচ্ছে যেভাবেই হোক নিজের পবিত্রতা ধরে রাখা এবং এমন একজন আপন মানুষ খুঁজে নিন যিনি আপনার সৎ পিতার অত্যাচার থেকে আপনাকে রক্ষা করতে পারবে!
এটা খুবই লজ্জাজনক কথা যে,বর্তমান বাংলাদেশের যা অবস্থা নিকটস্থ থানা পুলিশ/মোড়ল আপনার সমস্যার সমাধান করতে পারবে না।কিছুদিন আগে আমি বিদ্যুতের বিনিময়ে দালালদের অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগে কম্পেইন করতে গিয়ে এটি হাতেকলমে শিক্ষা পেয়েছিলাম। নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটলে প্রতিকার ও প্রতিরোধের জন্য ন্যাশনাল হেল্পলাইন সেন্টারে 10921 নম্বর-এ(টোল ফ্রি,২৪ ঘন্টা সার্ভিস)ফোন করুন।-এটাই লেখা আছে আমার ইংরেজী বইয়ের কভার পেজে।আপনার বইয়ের কভার পেজেও হয়তো এটাই লেখা আছে। কিসের ভয় পাচ্ছেন!কাকে ভয় পাচ্ছেন ? শেখ মুজিবের অসমাপ্ত আত্নজীবনী পড়েছেন?পড়লে হয়ত আজকে এই সমস্যাই পড়তেন না। আমার পড়ালেখা করি কিসের জন্য?পরীক্ষায় পাশ করার জন্য?কখনোই না।আপনি যত অন্যায়ের বিরুদ্ধে কঠিন হবেন অন্যায় তত আপনার থেকে দুরে থাকবে।