দেখেন আপনি যেমনটি বললে যদি এমন ই হয় তাহলে আমার মতে ঢাকাই না আসাই ভালো।বাবা মায়ের কথা মত চলা ই উত্তম।
আর আপনি যেমন চিন্তা করছেন পাটটাইম জব করবেন তা এতটা সহজ নয়।হ্যা অনেক এ করে কিন্তু যারা করে তারাই বোঝে কিভাবে করছে।ঢাকায় আসলে কমপক্ষে ১বছর আর খরচ নিয়ে আসা তো লাগবেই কারন আপনি এসেই তো আর জব পাবেন না থাকা খাওয়ার খরচ লাগবে আর সেটা আপনার নেই। এমনিতেও বাবা মায়ের মতের বিরুদ্ধে কাজ করলে সেই কাজে সফলতা পাওয়া অনেক কঠিন।
আর আপনার বন্ধু যে কথা টা বলেছে তা পুরোপুরি সঠিক নয়,সফলতার জন্যে ঢাকায় ই যেতে হবে না হলে পারবেন না এমনটি পুরোপুরি ভুল ধারণা আপনি আপনার স্থান থেকেই চেষ্টা করেন ইনশাআল্লাহ সফলতা আসবেই।
আপনার নিজের ভবিষ্যৎ দেখে তারপরেই যেকোনো কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এক্ষেত্রে বন্ধুদের কথার চেয়ে বাবা-মা এর ইচ্ছাটাকে প্রাধান্য দিন। আপনার যদি বড়কিছু করার ইচ্ছা থাকে তাহলে অবশ্যই ভার্সিটিতে পরীক্ষা দেওয়া উচিৎ হবে। এক্ষেত্রে বাবা-মাকে আপনার বিষয়টি বুঝাতে হবে। তার আগে আপনাকে বাবা-মায়ের ইচ্ছাটা কী। ভার্সিটিতে না পড়ে তাঁরা কী করতে চান সেটি বিবেচনা করে দেখতে পারেন। বাবা-মার ইচ্ছানুযায়ী যেটা করবেন সেটাতে সফলতা কতটুকু আসতে পারে ভেবে দেখবেন। কারণ তাদের ইচ্ছার অনুযায়ী করলে সেটাতে আপনার বাবা-মায়ের দোয়া থাকবে। আপনি ঠান্ডাভাবে ভেবে তারপরেই সিদ্ধান্ত নিন। বাবা-মাকে বুঝিয়ে দেখুন। ঢাবিতে না পারলে আপনার কাছের ভার্সিটিতে চেষ্টা করে দেখুন।
DU তে পড়লেই যে সফল হবেন তা কিন্ত নয়। সফল হতে হলে পরিশ্রম করতে হবে। আমি এক ভাইয়ের গল্প জানি যিনি s.s.cতে জিপিএ ২.৭৫ পেয়েছিলেন। এবং h.s.c তে ৪.২০ পেয়েছিলেন যে কারণে তিনি DU তে ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারেন নাই। সে কারণে তার মন খারাপ ছিল এবং আর কোন ভার্সিটি তে তিনি পরীক্ষা দেন নাই। পরে স্থানীয় এক কলেজে দর্শন নিয়ে অনার্স করেন এবং সাথে ভোগেন হতাশাতে কারণে তিনাকে অনেকে বলতে থাকে যে দর্শন নিয়ে কি লাভ হল...!? কি হবে দর্শন নিয়ে। তোর দ্বারা কিচ্ছু হবে না। পরে সে ভাই ২০১২ তে প্রথম বিসিএস দেন এবং রিটেনে ফেল করেন পরে আবার ৩৬ তম তে পরীক্ষাদেন এবং ভাইবাতে গেল করেন পরে আবার ৩৭ তম তে পরীক্ষাদেন এবং শিক্ষা ক্যাডার এ ৩য় স্থান দখল করেন। তাহলে কি বোঝা গেল,,আপনি যেই খানেই পড়ুন না কেন যদি পরিশ্রম করেন এবং আত্মবিশ্বাসী হন তাহলে অবশ্যয় সফলাতে পাবেন।