দয়া করে কেউ এতেকাফের বিস্তারিত নিয়ম-কানুন বলেন
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

আপনি বিস্তারিত এখানে দেখুন...............

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

দুনিয়াবী সকল কাজ থেকে মুক্ত হয়ে সম্পূর্ণ আল্লাহর ইবাদতের জন্য মসজিদে অবস্থান করাকে ই‘তিকাফ বলা হয়ে থাকে। ইতেকাফ করা সুন্নাত। ইসলামী শরীয়তে ই‘তিকাফ ৩ প্রকার। (ক) ওয়াজিব ই‘তিকাফ: ওলামায়ে কেরামের ঐকমত্যে ওয়াজিব ই‘তিকাফ হলো মানতের ই‘তিকাফ। (খ) সুন্নাত ই‘তিকাফ: রমযানের শেষ ১০ দিনের ই‘তিকাফ। সুন্নাতে মুয়াক্কাদা। (গ) মুস্তাহাব ই‘তিকাফ: উল্লেখিত দু’প্রকার ব্যতীত বাকী সব মুস্তাহাব ইতেকাফ। ই‘তিকাফ অবস্থায় নিষিদ্ধ কাজ হলঃ- (১) স্বামী স্ত্রীর মিলন, স্ত্রীকে চুম্বন ও স্পর্শ করা, (২) মাসজিদ থেকে বের হওয়া। বেচাকেনা, চাষাবাদ, এমনকি রোগীর সেবা ও জানাযায় অংশ গ্রহণের জন্যও মাসজিদ থেকে বের হওয়া জায়েয নয়। বের হলে ইতেকাফ বাতিল হয়ে যাবে। ইতেকাফের গুরুত্বঃ- ২০ রমজানুল মুবারক সূর্যাস্তের কিছুক্ষণ আগে থেকে ২৯ অথবা ৩০ রমজান অর্থাৎ ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখার সূর্যাস্ত পর্যন্ত পুরুষদের জন্য মসজিদে এবং নারীদের জন্য নিজ গৃহে নামাজের নির্ধারিত স্থানে নিয়মিত একাধারে অবস্থান করাকে ইতেকাফ বলে। রমজানের শেষ দশ দিনের এই ইতেকাফ সুন্নতে মুয়াক্কাদায়ে কেফায়া। অর্থাৎ কোনো বস্তি বা মহল্লার একজনকে হলেও এই ইতেকাফ অবশ্যই করতে হবে। যদি অন্তত কোনো এক ব্যক্তি এই ইতেকাফ করে নেন, তাহলে সারা মহল্লাবাসীর পক্ষ থেকে ইতেকাফ আদায় হবে। কিন্তু মহল্লাবাসীর মধ্যে থেকে কেউ যদি ইতেকাফ আদায় না করেন, তবে এই দায়িত্বের প্রতি অবহেলার কারণে মহল্লাবাসী গুনাহগার হবেন। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

✅ মসজিদে অবস্থানের

অভ্যাস গড়া ✅

এতেকাফের মাধ্যমেই বান্দা

স্বীয় হৃদয় মসজিদের সাথে

সম্পৃক্ত করণের উপায় খুঁজে

পায় এবং তা অভ্যাসে পরিণত

করতে সক্ষম হয়। যে সাত

শ্রেণির লোকেরা আরশের

ছায়ার নীচে আশ্রয় পাবে

—তাদের মধ্যে এক শ্রেণি

হচ্ছে


এমন ব্যক্তি যার হৃদয় মসজিদের

সাথে সম্পৃক্ত থাকে।


(বোখারী ও, মুসলিম শরীফ)

দুনিয়ার প্রতি নিরাসক্তি ও

বিলাসিতা পরিত্যাগ করা

এতেকাফকারী তার দুনিয়াবী

ব্যস্ততা থেকে দূরে থাকে এবং

এতেকাফস্থলে দুনিয়ার ভোগ

সামগ্রী থেকে নিরাসক্ত

হয়ে কেমন যেন অপরিচিত

হয়ে যায়

ঐ পথিকের ন্যায় যে

গাছের ছায়ায় কিছু সময় বিশ্রাম

নেয়ার পর তা ত্যাগ করে চলে

যায়। ক্ষতিকর বদ-অভ্যাস ও

কুপ্রবৃত্তি দুরিকরণে নিজেকে

তৈরিকরণ।


✔ এতেকাফকারীর জন্য

নিষিদ্ধ কাজসমূহ ✔

অতিরিক্ত কথা ও ঘুম,

অহেতুক-কাজে সময় নষ্ট, মানুষের

সাথে বেশি বেশি মেলা-মেশা

ইত্যাদি কাজ যা এতেকাফের

মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে ব্যহত করে।


ক্রয় বিক্রয়, কেননা নবী

সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম

মসজিদে ক্রয়-বিক্রয় করতে

নিষেধ করেছেন।


( মুসলিম শরিফ )


তবে একান্ত প্রয়োজন

হলে ভিন্ন কথা। যেমন

এতেকাফকারী নিজের

পরিবারের খাদ্য জোগান দেয়ার

উদ্দেশ্যে মসজিদের বাইরে

ক্রয়-বিক্রয় করলে তাতে

অসুবিধা নেই।


এতেকাফ অবস্তায়

••

কামভাব সহ স্ত্রী আলিঙ্গন,

কেননা তা সর্বসম্মতিক্রমে

হারাম।

..

বায়ু নি:সরণ, এটি

মসজিদের আদবের পরিপন্থী।


তাই

পারতপক্ষে এ কাজ থেকে

বিরত থাকা উচিত।


সুত্র:ইন্টারনেট 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ