Salat-সালাত দশ প্রকারের লোক কাফেরে গণ্য। নবী করিম (সাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমার উম্মতের মধ্য হতে দশ প্রকারের লোক কাফেরে গণ্য হবে। অথচ তাদের ধারণা তারা মু'মিন। তারা হল-- ১/ না হক হত্যাকারী। ২/ যাদুকর। ৩/ দাইয়্যুছ অর্থাৎ যে লোক নিজের স্ত্রীর সাথে বেগানা পুরুষের সংশ্রব দেখেও তার পিত্ত জ্বলে উঠে না ও ঘৃণা করে না। ৪/ যারা যাকাত আদায় করে না। ৫/ মদ্যপানকারী। ৬/ যাদের উপর হজ্ব ফরজ হওয়া সত্ত্বেও হজ্ব আদায় করে না। ৭/ ফাছাদ সৃষ্টিকারী। ৮/ ইসলাম বিরোধীদের কাছে যারা অস্ত্র শস্ত্র বিক্রয় করে। ৯/ যারা স্ত্রীর সাথে পিছনের রাস্তা দিয়ে সঙ্গম করে। ১০/ যে সকল স্ত্রী লোককে শরীয়ত অনুযায়ী বিবাহ করা হারাম তাদের বিবাহ করে। নোটঃ এসকল কর্ম সমূহে যারা হালাল মনে করে লিপ্ত হবে তারা প্রকৃত কাফের। তথ্যসূত্রঃ সিরাত বিশ্বকোষ (দ্বাদশ খন্ড) ও মিনহাজুস সালেহীন (দ্বিতীয় খন্ড) আপনি ৬ নাম্বার পয়েন্ট টা একটু খেয়াল করুন,,বলা হয়েছে যাদের উপর হজ্ব ফরজ হওয়া সত্বেও হজ্ব আদায় করে না। এখন আপনার বন্ধু উপর হজ্ব ফরজ হয় নাই,,কিন্ত সে হজ্ব করার ইচ্ছা পোষণ করে টাকা জমাতে থাকে,,,কিন্ত প্রয়োজন এর জন্য তা খরচ করে ফেলে এই ক্ষেতে তার কোন গুনাহ হবে না। তাকে হলুন আবার টাকা সংগ্রহ করতে।
হজ্ব করার ইচ্ছা করলেই তা আবশ্যক হয়ে যায় না। হজ্ব আবশ্যক হয় যখন তার উপর হজ্ব ফরজ হবে। যদি তার উপর হজ ফরজ হয়ে থাকে তাহলে হজ্ব করার উদ্দেশে টাকা সংগ্রহ করে আবার ব্যয় করার কারণে গুনাহ হবে। এ হজ্ব পরবর্তীতে আদায় করা আবশ্যক হবে। আর যদি ফরজ না হয়ে থাকে তাহলে হজ্ব করতে চেয়ে টাকা সংগ্রহ করে আবার খরচ করে ফেললে গুনা হবে না। এবং তা পরবর্তীতে আদায় করাও আবশ্যক হবে না।