শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

ভাবসম্প্রসারণ: চরিত্র মানবজীবনের অমূল্য সম্পদ। মানুষ ধনসম্পদ, অর্থবিত্ত পরিশ্রমের দ্বারা, বুদ্ধি ও অধ্যবসায়ের দ্বারা একটু কষ্ট হলেও অর্জন করতে পারে। কিন্তু মানবচরিত্রের মহৎ গুণাবলির অধিকারী হতে হলে মানুষকে করতে হয় কঠিন পরিশ্রম ও সাধনা। ধন-সম্পদের দ্বারা একজন মানুষ ধনী হতে পারে, তবে ধনী বা সম্পদশালী ব্যক্তিমাত্রই মানুষের শ্রদ্ধা অর্জন করতে পারে না। চরিত্র মানুষকে যেমন শ্রদ্ধার আসনে নিয়ে যায়, তেমনি মানবজীবনের শ্রেষ্ঠ আসনের গৌরবে দীপ্ত করে। মহৎ মানুষের চরিত্র এক কঠিন বর্মের মতো। কোনো কলুষতা, অন্যায়, অকল্যাণ চরিত্রবান মানুষকে স্পর্শ করতে পারে না। চরিত্র মানুষকে দেয় মানসিক বল, দেয় নীতির ঐশ্বর্য। এই বল ও ঐশ্বর্য রাজমুকুটের চেয়ে কম মূল্যবান নয়। পৃথিবীতে আবির্ভূত মহাপুরুষদের জীবনের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই, তাঁরা কেউ ঐশ্বর্যশালী ছিলেন না, বরং ঐশ্বর্যকে তাঁরা পদধূলিতে লুণ্ঠিত করেছেন। তাঁরা ছিলেন মানবজাতির জন্য অনুসরণীয় মহৎ চরিত্রের অধিকারী। সুতরাং ধন-সম্পদ, অর্থ-প্রতিপত্তি, আত্মঅহংকার কোনো সম্মান আনে না। আমাদের কাম্য হওয়া উচিত মহৎ চরিত্রগুণ অর্জন। কারণ চরিত্রই মানবজীবনের শ্রেষ্ঠ ভূষণ, জীবনের মুকুটস্বরূপ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

এইখানে নাটক করার জায়গা পাচ্ছনা না?ভাবসম্প্রসারন টা বাংলা ব্যাকরণ বইয়ে দেখতে পারিসনা ।বিস্ময়কে অনুরোধ করছি এইসব আলতু ফালতু প্রশ্নকারীর একাউন্ট ব্লক করে দিতে পারেন না।যত্তসব ডং।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

ভাবসম্প্রসারণ :    চরিত্র মানবজীবনের অমূল্য সম্পদ চরিত্র মানবজীবনে মুকুটস্বরূপ। চরিত্রবান ব্যক্তিকে সবাই শ্রদ্ধা করে। চরিত্রহীনকে সকলেই ঘৃণা করে। চরিত্রহীন ব্যক্তির মানুষ হিসেবে কোনো মূল্য নেই।  চারিত্রিক গুণাবলির মধ্য দিয়ে মানুষের জীবনের মহিমা প্রকাশ পায়। চরিত্রবান ব্যক্তি কতকগুলো গুণের অধিকারী হন। সৎ,বিনয়ী, উদার, নম্র, ভদ্র, রুচিশীল, ন্যায়পরায়ণ, সত্যবাদী, নির্লোভ,  পরোপকারী ইত্যাদি গুণ চরিত্রবান ব্যক্তিকে দান করে মহত্ত্ব। এসব গুণ যদি মানুষের মধ্যে না থাকে, তাহলে সে পশুরও অধম বলে বিবেচিত হয়। স্বাস্থ্য, অর্থ ও বিদ্যাকে অামরা মানবজীবনের অপরিহার্য উপ্দান হিসেবে বিবেচনা করি। কিন্তু জীবনক্ষেত্রে এগুলোর যতই অবদান থাক না কেন,  এককভাবে এগুলোর কোনোটিই তাকে সর্বোত্তম মানুষে পরিণত করতে সক্ষম নয়, যদি সে চরিত্রবান না হয়। চরিত্রের মাধ্যমেই ঘোষিত হয় জীবনের গৌরব। যার পরশে জীবন ঐশ্বর্যমণ্ডিত হয় এবং যার বদৌলতে মানুষ জনসমাজে সম্মানের পাত্র হিসেবে অাদৃত হয়, তার মূলে রয়েছে চরিত্র। চরিত্রবান ব্যক্তি তাঁর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের গুণে সমাজে ও জীবনে শ্রদ্ধাভাজন ও সমাদৃত হন। অন্যদিকে, চরিত্রহীন ব্যক্তিকে কেউ ভালোবাসার দৃষ্টিতে দেখে না,  বরং সবাই তাকে ঘৃণা করে। চরিত্রবান ব্যক্তি জাগতিক মায়া-মমতা-লোভ-লালসার বন্ধনকে ছিন্ন করে লাভ করেন অপরিসীম শ্রদ্ধা ও অফুরন্ত সম্মান। বলা হয়েছে,  " When money is lost nothing is lost When health is lost something is lost But if character is lost,  everything is lost''।  অর্থ-বিত্ত-গাড়ি-বাড়ি প্রভৃতির চেয়ে চরিত্র অনেক বড় সম্পদ। অর এ সম্পদ অর্থমূল্যে নয় নৈতিক ও মানবিক পবিত্রতার মানদণ্ডে বিচার করা উচিত। অামাদের সকলেররই চরিত্রবান হওয়ার সাধনা করা উচিত। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ