সনাতন ধর্মের প্রবর্তক কে


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

এর কোন প্রবর্তক নেই । যখন থেকে এর শুরু তখন থেকেই এর বিশ্বাস

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Porimolray

Call

"সনাতন ধর্ম"প্রাচীন ধর্ম অথাৎ যা ছিল, আছে এবং থাকবে। তাই এর কোন প্রবর্তক নেই

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

সনাতন মানে চিরন্তন । যা সৃষ্টির আদি থেকেই আছে ।তাই সনাতন ধর্মের কোন প্রবর্তক নাই। তবে সনাতন ধর্মের প্রথম প্রচার করেন প্রাচীন বৈদিক ঋষিরা ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

সনাতনধর্ম বা হিন্দুধর্ম একাধিক ধর্মীয় ঐতিহ্যের সমন্বয়ে গঠিত। এই ধর্মের কোনো একক প্রতিষ্ঠাতা নেই। লৌহযুগীয় ভারতের ঐতিহাসিক বৈদিক ধর্মে এই ধর্মের শিকড় নিবদ্ধ। সনাতনধর্ম বা হিন্দুধর্মকে বিশ্বের "প্রাচীনতম জীবিত ধর্মবিশ্বাস" বা "প্রাচীনতম জীবিত প্রধান মতবাদ" আখ্যা দেওয়া হয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
RajuDevNath

Call

সনাতন ধর্ম বলতে কোন সাম্প্রদায়িক ধর্মপদ্ধতিকে বোঝায় না। এটি হচ্ছে পরম শ্বাশত জীব সকলের নিত্য ধর্ম। আগেই বলা হয়েছে (গীতা যথাযথ সংস্করণের মুখবন্ধ দ্রষ্টব্য), সনাতন ধর্ম হচ্ছে জীবের নিত্য ধর্ম। শ্রীপাদ রামানুজাচার্য সনাতন শব্দটির ব্যাখ্যা করে বলেছেন, “যার কোন শুরু নেই এবং শেষ নেই”। তাই যখন আমরা সনাতন ধমের কথা বলি, শ্রীপাদ রামানুজাচার্যের নির্দেশানুসারে আমাদের মনে রাখতে হবে যে, এই ধর্মের আদি নেই এবং অন্ত নেই। বর্তমান জগতে (এ পার্থিব বা জড় জগতে) ধর্ম বলতে আমরা যা বুঝি, সনাতন ধর্ম ঠিক তা নয়। ধর্ম বলতে সাধারণত কোন বিশ্বাসকে বোঝায় এবং এ বিশ্বাসের পরিবর্তন হতে পারে। কোন বিশেষ পন্থার প্রতি কারও বিশ্বাস থাকতে পারে এবং সে এ বিশ্বাসের পরিবর্তন করে অন্য কিছু গ্রহণ করতেও পারে। কিন্তু সনাতন ধর্ম বলতে সেই সব কার্যকলাপকে বোঝায়, যা পরিবর্তন হতে পারে না। যেমন, জল থেকে তার তরলতা কখনই বাদ দেওয়া যায় না। আগুন থেকে যেমন তাপ ও আলোককে বাদ দেওয়া যায় না, তেমনই সনাতন জীবের সনাতন বৃত্তি জীবের থেকে আলাদা করা যায় না। জীবের সং্গে তার সনাতন ধর্ম ওতপ্রোতবাবে জড়িয়ে আছে। সূতরাং যখন আমরা ধর্মের কথা বলি, তখন শ্রপাদ রামানুজাচার্যের প্রামাণ্য ভাষ্য মেনে নিতে হবে যে, এর কোন আদি-অন্ত নেই। যার কোন আদি নেই, অন্ত নেই, সে ধর্ম কখনই সাম্প্রদায়িক হতে পারে না। এ ধর্ম সমস্ত জীবের ধর্ম, তাই তাকে কখনই কোন সীমার মধ্যে সীমিত রাখা যায় না। একে কোন সম্প্রদায়ের মধ্যে বদ্ধ রাখাও চলে না। কিন্তু তবুও কিছু সাম্প্রদায়িক লোক মনে করে যে, ‘সনাতন ধর্মও’ একটি সাম্প্রদায়িক ধর্ম। কিন্তু এটি তাদের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্কীর্ণতা ও বিকৃত বুদ্ধিজাত অন্ধতার প্রকাশ। আমরা যখন আধুনিক বিজ্ঞানের পরিপ্রেক্ষিতে সনাতন ধর্মের যথার্থতা বিশ্লেষণ করি, তখন দেখি যে এ ধর্ম পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের ধর্ম-শুধু তাই নয়, এ ধর্ম সমগ্র বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের প্রতিটি জীবের ধর্ম। অসনাতন ধর্মবিশ্বাসের ইতিহাসের সূত্রপাতের ইতিহাস পৃথিবীর ইতিহাসের বর্ষপঞ্জিতে লেখা থাকতে পারে, কিন্তু সনাতন ধর্মের সূত্রপাতের কোন ইতিহাস নেই। কারণ সনাতন ধর্ম সনাতন জীবের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত থেকে চিরকালই বর্তমান। জীব সম্বন্ধেও বলা হয়েছে যে, সে জন্ম-মৃত্যুর অতীত। ভগবদ্গীতাতে বলা হয়েছে যে, জীবের জন্ম নেই, মৃত্যু নেই। সে শাশ্বত ও অবিনশ্বর এবং তার দেহের মৃত্যু হলেও তার কখনই মৃত্যু হয় না। সনাতন ধর্ম বলতে যে ধর্ম বোঝায়, তা আমাদের বুঝতে হবে ধর্ম কথাটির সংস্কৃত অর্থের মাধ্যমে। ধর্ম বলতে বোঝায় যা অপরিহার্য অঙ্গরূপে কোন কিছুর সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত থাকে। যেমন, তাপ ও আলোক এ দুটি গুণ আগুনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। তাপ ও আলোক ছাড়া আগুনের কোনরকম প্রকাশ হতে পারে না। তেমনই, জীবের অপরিহার্য অঙ্গ কি? জীবের অস্তিত্বের প্রকাশ কিভাবে হয়? তার নিত্য সঙ্গীরূপে যা তার সঙ্গে চিরকাল বিদ্যমান তা কি? তার এ নিত্য সঙ্গী হচ্ছে তার শাশ্বত প্রকৃতি এবং এবং এই শাশ্বত প্রকৃতিই হচ্ছে তার সনাতন ধর্ম। সনাতন গোস্বামী যখন শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুকে জীবের স্বরূপ সম্বন্ধে প্রশ্ন করেছিলেন, তখন শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু বলেছিলেন- “জীবের স্বরূপ হয় কৃষ্ণের নিত্য দাস।” শ্রীমন্ মহাপ্রভুর উক্ত উক্তিটি যদি আমরা বিশ্লেষণ করি, তাহলে আমরা সহজেই বুঝতে পারব যে, প্রত্যেক জীব সর্বক্ষণ কোন না কোন জীবের সেবায় ব্যস্ত। এইভাবে অপরের সেবা করার মাধ্যমে জীব নিজস্ব জীবন উপভোগ করে। নিম্নস্তরের পশু, ভৃত্য যেমনভাবে পশুর সেবা কার্য করে, তেমনিভাবে সে মানুষের সেবা করে থাকে। মানুষের মধ্যে আমরা দেখতে পাই যে ‘ক’, ‘খ’ প্রভুর সেবা কার্যে ব্যস্ত; এইভাবে সমস্ত ‘খ’, ‘গ’ প্রভুর সেবা কার্যে ব্যস্ত; ‘গ’, ‘ঘ’ প্রভুর সেবা কার্যে ব্যস্ত; এইভাবে সমস্ত জীব অন্য কোন না কোন এক জীবের সেবা করে চলেছে। আমরা দেখতে পাই যে বন্ধু বন্ধুর সেবা করছে, মা সন্তানের সেবা করছে, স্ত্রী স্বামীর সেবা করছে, স্বামী স্ত্রীর সেবা করছে, রাজনীতিজ্ঞরা জনগণের সেবা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের কাছ থেকে ভোট দাবী করছে। দোকানদার খরিদ্দারের সেবা করে, শিল্পী ধনিক-সম্প্রদায়ের সেবা করে, ধনিক- সম্প্রদায় তাদের পরিবারের সেবা করে, পরিবারের প্রত্যেক সদস্য সমাজ সেবা করে থাকে, এইভাবে আমরা দেখতে পাই যে, কোন এক জীব অন্য কোন এক জীবের সেবা না করে থাকতে পারে না। এ থেকে অনুমিত হয় যে সেবাই হচ্ছে জীবের শাশ্বত ধর্ম। তবুও মানুষ দেশ-কাল-পাত্র অনুসারে হিন্দু, মুসলমান, খ্রীষ্টিয়ান, বৌদ্ধ ইত্যাদি ভিন্ন ভিন্ন বিশ্বাসের সঙ্গে নিজেকে জড়িত করার ফলে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী হয়ে পড়ে। এই ধরণের ধর্ম বিশ্বাস কখনই সনাতন ধর্ম নয়। কোন হিন্দু তার বিশ্বাসের পরিবর্তন করে অন্য ধর্ম গ্রহণ করতে পারে অথবা কোন অন্য ধর্মাবলম্বী মানুষ তার বিশ্বাস পরিবর্তন করে হিন্দু হতে পারে, কিন্তু উক্ত ধর্ম বিশ্বাসের পরিবর্তন হলেও অপরের সেবা করার যে শাশ্বত ধর্ম তা’কে ত্যাগ করে মানুষ কখনই থাকতে পারে না। হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টিয়ান যে কোন ধর্মাবলম্বী হোক না কেন মানুষ প্রত্যেক মুহূর্তে অপরের সেবা করে চলেছে। তা বলে কোনো ধর্ম গ্রহণ করা এবং সনাতন ধর্মের আচরণ করা একার্থ বোধক নয়। সেবা করাই হচ্ছে সনাতন ধর্ম। ভগবানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক হচ্ছে সেব্য-সেবক সম্পর্ক। পরমেশ্বর হচ্ছেন পরম ভোক্তা, এবং আমরা সবাই হচ্ছি তাঁর পরিচারক। ভগবানকে সন্তুষ্ট করার জন্য যদি সর্বদা তাঁর সেবা করে চলি তাহলে আমরা সুখী হতে পারবো। এছড়া অন্য কোন প্রকারে সুখী হওয়া সম্ভবপর নয়। উদরকে বাদ দিয়ে শরীরের কোনো অন্য কোন অঙ্গ যেমন সুখী হতে পারে না, তেমনই ভগবানকে বাদ দিয়ে আমরাও কোনো প্রকারে সুখী হতে পারব না। তাই আমাদের সর্বস্ব দান করে আমাদেরকে ভগবানের সেবা করতে হবে; এই সেবা করাই আমাদের স্থিতির একমাত্র উদ্দেশ্য এবং এই সেবা করার মাধ্যমেই আমরা দিব্যানন্দ আস্বাদন করতে পারবো। -শ্রীল প্রভুপাদ (শ্রীমদভগবদগীতা যথাযথ এর মুখবন্ধ এর অংশ বিশেষ)। সুত্রঃ http://m.somewhereinblog.net/mobile/blog/ratancp/29892376

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

আমরা যদি জনসংখ্যার ভিত্তিতে বিশ্বের অন্যান্য প্রধান ধর্মগুলির দিকে তাকাই, তাহলে দেখব প্রতিটি ধর্মই কোনো না কোনো একক ধর্মপ্রচারকের দ্বারা প্রবর্তিত। গৌতম বুদ্ধ বৌদ্ধধর্ম প্রবর্তন করেছিলেন ; যিশু খ্রিস্ট খ্রিস্টধর্ম এবং হযরত মোহাম্মদ ইসলাম ধর্ম প্রবর্তন করেন। কিন্তু সনাতন বৈদিক ধর্ম কোনো এক জন মাত্র ব্যক্তির দ্বারা প্রবর্তিত হয়নি। এটি সনাতনত্বের তথা চিরন্তন সত্যের একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য। কোনো এক জন নির্দিষ্ট ব্যাক্তির জীবনকথা সনাতন ধর্মের ভিত্তি নয়। তাহলে আমাদের সনাতন ধর্মের ভিত্তিটি কী ; এর প্রামাণিকতাই বা কোথায়? সনাতন ধর্মের ভিত্তি হল সেই পরম সত্য ; এক ও অদ্বিতীয় পরমেশ্বর যাকে নানান নামে সকল ধর্মে উপাসনা করা হয়। ব্রহ্মজ্ঞ ঋষিদের ঈশ্বরদর্শনের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতাই সনাতন ধর্মের প্রামাণিকতা। আমরা সাধারণ মানুষেরা ঈশ্বর সম্পর্কে যা অনুভব করি, তা অসম্পূর্ণ। একমাত্র মহান,সত্যদ্রষ্টা,আপ্তকাম ঋষিদের কাছেই ঈশ্বরের মহান সত্যটি প্রকাশিত হয়েছিল যা প্রাচীন ঋষিগণ এক অদ্বিতীয়,সত্য,পবিত্র জ্ঞানময় গ্রন্থের মাধ্যমে প্রকাশ করেছিলেন আর সেই গ্রন্থ,পবিত্র বেদ ই সনাতন ধর্মের মূলভিত্তি।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ