মাযহাব হচ্ছে School of law. মাযহাবের ইমামগন
কুর'আন হাদিসের ভিত্তিতে গবেষনা করে ইবাদত বন্দেগি
এবং আল্লাহ'র নৈকট্য অর্জনের পদ্ধতি লিপিবদ্ধ করে
গেছেন।
এখন সহিহ হাদিস থেকেই জানা যায় যে- নফল, সুন্নাত ও মুস্তাহাব আমলের ক্ষেত্রে রাসুলুল্লাহ সাঃ এর বিভিন্ন পদ্ধতি ছিল।
এসব পদ্ধতির একেকটা, একেক ইমাম গ্রহন করেছেন। মাযহাবের পার্থক্য এটুকুই।
সুতরাং, যেহেতু মাযহাব কুর'আন ও হাদিসের ভিত্তিতে
তৈরী হয়েছে - তাই কোন একটি বা একাধিক মাযহাব
অনুসরনে কোন দোষ নেই।
তবে কেউ যদি মনে করে - "একজনকেই মানতে হবে" বা "একজনকে মানা ফরজ" তাহলে এটা ভুল হবে। সকল মুজতাহিদ ইমামকে সম্মান করা উচিৎ।
এসব নিয়ে ইদানিং আমাদের সমাজে কিছু ফিতনা দেখা দিয়েছে। তাই কোন দল, মাযহাব, প্রান্তিকতার দিকে
না গিয়ে মধ্যমপন্থা অবলম্বন করা উচিৎ। সকল
মুসলিমের মধ্যে অটুট ভাতৃত্বের বন্ধন থাকতে হবে।
শুধু ফিকহি মাস'আলার কারনে কোন মুসলিমকে
দূরে সরিয়ে দেয়া, ভাই মনে না করা, গীবত করা,
শত্রুতা বা হিংসা পোষন করা কঠিন হারাম কাজ।
আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন।