শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

তাকওয়া কাকে বলে ? ওলামায় কেরাম বলেন তাকওয়ার মানে হল র্নিজনে গোপনে যে গুনাহের কাজ করেনা তাকে তাকওয়া বলে, আর লোক লজ্জায় গুনাহ থেকে বিরত থাকা একে তাকওয়া বলেনা, তাকওয়া মানেই হল একাকী র্নিজনে গোপনে সে গুনাহের কাজ করে না , আর প্রকাশ্যে যে গুনাহের কাজ করে সে বেহায়া নয়, বেহায়া বুঝেনতো? নিলজ্জ বেসরম!!! প্রকাশ্যে যে গুনাহের কাজ করে সে নিলজ্জ বেসরম, বেহায়াত সে যে একাকী গোপনে সে গুনাহের কাজ করে, আর প্রকাশ্যে যে গুনাহের কাজ করে সেতো মানুষ-ই না, সে জানোয়ার, কারন মানুষ কখনও মানুষের সামনে গুনাহের কাজ করতে পারে না, লোক লজ্জায় গুনাহ থেকে বিরত থাকা একে তাকওয়া বলেনা, আর তাকওয়াত গরু,ছাগলে,জানোয়ারে করবেনা, কারন তাকওয়াত মানুষের গুন, মানুষ মুত্তাকি হয়, গরু মুত্তাকি হয়? ছাগল মুত্তাকি হয়? কুকুর মুত্তাকি হয়? যে প্রকাশ্যে গুনাহের কাজ করে সেতো নিলজ্জ ও নয়, নিলজ্জা আবার কি? কুকুরের লজ্জা হয়? ছাগলের লজ্জা হয়? জীব জানোয়ারের লজ্জা হয়? লজ্জাতো মানুষের হয়, আর প্রকাশ্যে যে গুনাহের কাজ করে সে জানোয়ার, হাঁ গোপনে যে গুনাহ করে তাকে বেসরম বলা চলে, বেহায়া বলা চলে কারন যাকে সরম করা দরকার আল্লাহ্ তাকেই সরম করেনা, এজন্য সে বেসরম বা বেহায়া, কারন প্রকাশ্যে মানুষের সামনে বেসরম বা বেহায়া কাজ করেনা কিন্তু গোপনে করে, মানুষ বটে কিন্তু গোপনে গুনাহের কাজ করার কারনে সে বেহায়া বা বেহায়া, কারন ঐ খানে তো আল্লাহ্ কে সরম করা উচিত, কারন আল্লাহ্ নির্জনে গোপনে সব জায়গায় দেখতেছেন, এজন্য তাকওয়া মানে-ই হলো নির্জনে গোপনে গুনাহের কাজ না করা, সে হলো মুত্তাকি. . প্রকাশ্যে মানুষের সামনে গুনাহের কাজ করেনা মানুষে বলে কত মুত্তাকি, আসলে মানুষের সামনে গুনাহের কাজ করেনা এটা কোন বড় কথা না, আর প্রকাশ্যে গুনাহের কাজ করে সে তো মানুষ-ই না, মানুষ থেকে-ই খারেজ হইয়া গেছে, জানোয়ারে পরিনত হয়ে গেছে, হাঁ গোপনে যে গুনাহের কাজ করে না সে হলো মুত্তাকি, প্রকাশ্যে তো গুনাহের কাজ করার প্রশ্ন-ই আসে না

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

তাকওয়ার সংজ্ঞাটি একটু অন্যরকম। প্রথমে বলব তাকওয়ার তিনটি স্তর: প্রথম স্তর: শিরকমুক্ত হয়ে চিরস্থায়ী জাহান্নামের শাস্তি থেকে মুক্তি লাভ করা । এ অর্থের ভিত্তিতেই পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে: অর্থাৎ এবং তাকওয়ার বাণী তাদের জন্য অপরিহার্য করলেন। (ফাতাহ ২৬) দ্বিতীয় স্তর: সকল প্রকার করণীয় ও বর্জনীয় গুনাহ থকে নিরাপদ দূরে থাকা এমনকি সগীরা গুনাহ থেকেও। ইসলামি শরীয়তের পরিভাষায় তাকওয়া বলতে এ প্রকার তাকওয়াকেই উদ্দেশ্য করা হয়ে থাকে। পবিত্র কুরআনের নিম্নের আয়াতটি এ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে: আর যদি জনপদসমূহের অধিবাসীরা ঈমান আনত এবং তাকওয়া অবলম্বন করত তাহলে আমি অবশ্যই আসমান ও যমীন থেকে বরকতসমূহ তাদের উপর খুলে দিতাম। (আরাফ ৯৬) তৃতীয় স্তর: যে সকল কাজ আল্লাহর স্মরণ থেকে অমনযোগী করে দেয় তা থেকে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত হয়ে সরাসরি আল্লাহর দিকে রুজু হওয়া। এটাই হলো প্রকৃত তাকওয়া। পবিত্র কুরআনের নিম্নের আয়াতটি এ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে: হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর,যেভাবে তাঁকে ভয় করা উচিত আর খবরদার! মুসলীম হওয়া ব্যবতী মৃত্যু বরণ করো না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ