আপনি যেহেতু কাপড় দামাদামি করে পেলেছেন সেই অনুযায়ী দোকানদার এর কাছে ১০০০ টাকা ভাংতি না থাকায় সে আপনার কাছ থেকে বিশ টাকা কম রেখে বলেছিল পরে দিয়েন তাই আপনাকে তার টাকা পরিশোধ করতে হবে।২০ টাকা বড় কথা নয় আপনি চাইলে তখন দোকানদার এর ২০ টাকা পরিশোধ করতে পারতেন।যেমন উনি আপনাকে যে ভাংতি দিতে পেরেছিল তার মধ্যে ১০০ টাকার নোট ও ছিল আপনি ইচ্ছা করলে তখন যে কোন দোকান থেকে ১০ টাকার কিছু কিনলেই ভাংতি পেতেন।অতএব আপনি এই টাকা পরিশোধ না করলে অবশ্যই দাবিতে পড়ে যাবেন।
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে দর দাম সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার কারণে দোকানদার আপনার কাছে ৩২০ টাকারই অধিকারী ছিলো। তবে ভাংতি না থাকার দরুণ দোকানদার আপনাকে যে বাক্যটা বলেছে সে বাক্যটাই এখানে মূলত মুখ্য বিষয়। এ বাক্যটা থেকেই বেরিয়ে আসছে আপনি পরবর্তীতে ২০ টাকা না দিলে দায়বদ্ধ থাকবেন কিনা। দোকানদারের ভাষ্য হলো, 'তারপর হেসে বললো অন্যদিন মন চাইলে ২০ টাকা দিয়ে যাবেন।' প্রথমত বাক্যটিতে দোকানদার আপনাকে ইচ্ছাধিকার দিয়েছে। ফিকহের পরিভাষায় যাকে খিয়ার বলা হয়। আর ইচ্ছাধিকারে কোনো কিছু দায়বদ্ধ হয় না। কেউ যদি কাউকে কিছু টাকা দিয়ে বলে, মনে চাইলে পরবর্তীতে পরিশোধ করো, না হয় না করো। এখন এ ব্যক্তি যদি পরবর্তীতে টাকা পরিশোধ না করে তাহলে সে দায়ী থাকবে না। সুতরাং এখানেও যদি আপনি ২০ টাকা দোকানদারকে পরিশোধ না করেন তাহলে আপনি দায়ী থাকবেন না। উপরন্তু দোকানদার হাসি দিয়ে কথাটা বলেছেন। তাতে উপলুব্ধ হচ্ছ, দোকানদারের ঐ টাকার উপর কোনো দাবি নেই। তবে উত্তম হবে, তাকে ২০ টাকা দিয়ে দেয়া। আপনাকে যেমন ইচ্ছাধিকার দিয়ে সে সহযোগিতা করেছে আপনি তদ্রূপ তাকে টাকাটা পরিশোধ করে সহযোগিতা করুন। এতে দেখবেন সে যারপরনাই আনন্দিত হবেন।