৩২০ টাকা দাম ।  আমি ১০০০ টাকা দিলাম। দোকানি বলল ২০ টাকা ভাংতি দাও। আমি বললাম ভাংতি নেই ৩০০ টাকাই রাখেন।।তো দোকানি ৩০০ টাকা রেখে ৭০০ টাকা ফেরত দিল তারপর হেসে বললো অন্যদিন মন চাইলে ২০ টাকা দিয়ে যাবেন।। আমার বাড়ি দোকান থেকে ২৫ কি.মি দূর।।  টাকাটা যদি আমি দেই তাহলে তো দিলাম বাট যদি কোন কারণে না দেই তাহলে কি দাবিতে থাকবো ।  দোকানী এতটা সিরিয়াস হয়েও বলেনি যে ২০ টাকা দিবেন।।  আর আমি বলার সাথে সাথেই ৩০০ টাকা দাম রেখে ফেলেছে ।  তাছাড়া আমি আর ওইখানে বেড়াতে ৩-৪ মাস পরে যাবো । আমার প্রশ্ন হচ্ছে যদি না দেই তাহলে কি দাবিতে থাকবো । 
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

আপনি যেহেতু কাপড় দামাদামি করে পেলেছেন সেই অনুযায়ী দোকানদার  এর কাছে ১০০০  টাকা ভাংতি না থাকায় সে আপনার কাছ থেকে বিশ টাকা কম রেখে বলেছিল  পরে দিয়েন তাই আপনাকে তার টাকা পরিশোধ  করতে হবে।২০ টাকা বড় কথা নয় আপনি চাইলে তখন দোকানদার এর ২০ টাকা পরিশোধ করতে পারতেন।যেমন উনি আপনাকে যে ভাংতি দিতে পেরেছিল তার মধ্যে ১০০ টাকার নোট ও ছিল আপনি ইচ্ছা করলে তখন যে কোন দোকান থেকে ১০ টাকার কিছু কিনলেই ভাংতি পেতেন।অতএব আপনি এই টাকা পরিশোধ না করলে অবশ্যই দাবিতে পড়ে যাবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

আপনার মনের খচখচানি দূর করতে হলেও আবার ঐখানে গেলে 20 টাকা দিয়ে দিয়েন। কারণ আমরা তো কত টাকাই নষ্ট করি অকাজে। 

তাই এটা দিয়ে দিলে দাবী ও মিটল আর আপনার মনের টেনশন ও থাকল না। 

Seriously না বললেও ভেবে দেখুন উনি কিন্তু দাবী ছাড়েন নি। 

আশা করি আপনার উত্তর পেয়েছেন। ধন্যবাদ। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

উক্ত টাকা দেওয়া উওম,যদি কোন কারন বশত ঐ দোকানে গিয়ে না দিতে পারেন,,উক্ত টাকা আল্লাহর ওয়াস্তে কোন গরীব এতিম অসহায় মানুষকে ঐ দোকানদার ব্যক্তির নামে আল্লাহ ওয়াস্তে দিয়ে দিবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে দর দাম সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার কারণে দোকানদার আপনার কাছে ৩২০ টাকারই অধিকারী ছিলো। তবে ভাংতি না থাকার দরুণ দোকানদার আপনাকে যে বাক্যটা বলেছে সে বাক্যটাই এখানে মূলত মুখ্য বিষয়। এ বাক্যটা থেকেই বেরিয়ে আসছে আপনি পরবর্তীতে ২০ টাকা না দিলে দায়বদ্ধ থাকবেন কিনা। দোকানদারের ভাষ্য হলো, 'তারপর হেসে বললো অন্যদিন মন চাইলে ২০ টাকা দিয়ে যাবেন।' প্রথমত বাক্যটিতে দোকানদার আপনাকে ইচ্ছাধিকার দিয়েছে। ফিকহের পরিভাষায় যাকে খিয়ার বলা হয়। আর ইচ্ছাধিকারে কোনো কিছু দায়বদ্ধ হয় না। কেউ যদি কাউকে কিছু টাকা দিয়ে বলে, মনে চাইলে পরবর্তীতে পরিশোধ করো, না হয় না করো। এখন এ ব্যক্তি যদি পরবর্তীতে টাকা পরিশোধ না করে তাহলে সে দায়ী থাকবে না। সুতরাং এখানেও যদি আপনি ২০ টাকা দোকানদারকে পরিশোধ না করেন তাহলে আপনি দায়ী থাকবেন না। উপরন্তু দোকানদার হাসি দিয়ে কথাটা বলেছেন। তাতে উপলুব্ধ হচ্ছ, দোকানদারের ঐ টাকার উপর কোনো দাবি নেই। তবে উত্তম হবে, তাকে ২০ টাকা দিয়ে দেয়া। আপনাকে যেমন ইচ্ছাধিকার দিয়ে সে সহযোগিতা করেছে আপনি তদ্রূপ তাকে টাকাটা পরিশোধ করে সহযোগিতা করুন। এতে দেখবেন সে যারপরনাই আনন্দিত হবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ