আমি দিন দিন শুকিয়ে যাচ্ছি।সিনকারা বা পিউটন জাতীয় সিরাপ সেবন করলে কিছুদিন মুখমণ্ডল মোটা দেখায় তবে শরীরের অন্যান্য অংশ বিশেষ করে হাত দুটো বরাবরই চিকন থাকে,হাতের রগ দেখা যায়।ঔষধ খাওয়া শেষ হয়ে গেলে মুখমণ্ডলও শুকিয়ে যায়।এই সমস্যা থেকে রক্ষার উপায় জানলে বলেন প্লিজ। আমি খুব টেনশনে আছি এই সমস্যা নিয়ে। হাত দুটি এত চিকন যে লজ্জায় হাত দুটি সব সময় ঢেকে রাখি ফুলহাতা জামা পরে।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

পিউটন সিরাপ সেবন করে যে স্বাস্থ তৈরী হয় তাহা স্থায়ী হয় না । আপনি সিনকারা 6 মাস সেবন করতে পারেন। বা আলফালফা ও এভেনা স্যাট মাদার ও ফাইভ ফস সেবন করতে পারেন। আশা করি ভাল রেজাল্ট পাবেন। এবং পুষ্টিকার খাবার খাবেন ও বেশ বেশী পানি পান করবেন। আর বিশেষ করে কোন ক্ষয় রোগ থাকলে মোটা হতে পারবেন না। আরো শুকিয়ে যাবেন। তাই কোন ক্ষয় রোগ থাকলে তার চিকিৎসা আগে নিবেন। বুঝতে সমস্য হলে মন্তব্য করবেন বা ইনবক্স করবেন।

আমার ক্ষয় রোগ আছে কিনা সেটা বুঝবো কিভাবে? আমার স্বাস্থ্য হচ্ছে না কেন খুব চিকন আমি

বিস্তারিত জানতে বিস্সয় এপ এর কলিং সিস্টেম থেকে কল করুন সকাল 10 টা থেকে বিকাল 3 টা পর্যন্ত এই সময়ের ভিতর।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

মানুষের দেহ গঠন হয়ে থাকে বিভিন্ন হরমোন ও জেনেটিক্স কারণে। সব মানুষই স্বাস্থবান হয় না। তাই আপনি অযথা চিন্তা বা টেনশন করে শরীর আরও খারাপ করবেন না এবং লজ্জাও করবেন না মানুষের মাঝে স্বাভাবিকভাবে চলার চেষ্টা করুন। আপনি প্রতিদিন সুষম খাবার গ্রহণ করুন। সুষম খাবার বলতে যেসব খাবারে ভিটামিন, খনিজ লবন, পানি, শর্করা, আমিষ ও স্নেহ বা চর্বি আছে। পরিমানমতো পানি পান করুন। বেশি করে খাওয়ার চেষ্টা করুন। হাঁটা-চলা, খেলাধূলা বা ব্যায়ামের অভ্যাস গড়ে তুলুন। টেনশন বা হতাশা না করে উপরিউক্ত বিষয়গুলো মেনে চলবেন তাহলে দেখবেন এমনিতেই আপনার শরীর ভালো হয়ে গেছে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ



চেহারা খারাপ হলে করণীয় 

বিভিন্ন রোগব্যাধিতে চেহারা খারাপ হয়ে যেতে পারে। বেশকিছু গুরুতর রোগের পূর্বাভাস হিসেবে চেহারা খারাপ হওয়ার লক্ষণ দেখা দিতে পারে। তাই চেহারা খারাপ হওয়া প্রতিকারের পূর্বে এ রোগের লক্ষণ সম্পর্কে কিছুটা ধারণা থাকা আবশ্যক।
যেসব রোগে হঠাৎ কারো চেহারা খারাপ হয়ে যেতে পারে, তার মধ্যে দুটি ফ্যাক্টর প্রধানÑ হঠাৎ করে শরীরের ওজন কমে যাওয়ার ফলে চেহারা খারাপ হয়ে যেতে পারে। শরীরের ওজন কমে যাওয়া রোগগুলোর মধ্যে রয়েছে ডায়াবেটিস, থাইরয়েড গ্লান্ডের রোগ, আনডিটেকটেড ক্যান্সার এবং যক্ষ্মা রোগ। 
যদি শরীরের ওজন স্বাভাবিক ওজনের ১০ থেকে ২০ শতাংশ দু-এক মাসের মাঝে কমে যায়, তাহলে উপরোক্ত রোগগুলোর ব্যাপারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো উচিত।
থাইরয়েড গ্লান্ডের অসুস্থতার শুরুতেই ওজন বেশি কমে যেতে পারে; সাথে বুক ধড়ফড় করা, চুল পড়ে যাওয়া, হাত-পা অত্যধিক ঘামা, শরীরের ত্বকের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া, ক্ষুধা লোপ পাওয়া, শরীর সবসময় গরম থাকা ইত্যাদি ছাড়া ত্বক ও নাক ভেজা থাকতে পারে। সেই সাথে শরীরে অস্থিরতাও থাকতে পারে। 
ডায়াবেটিস রোগে শরীরের ওজন কমে যাওয়া ছাড়া ক্ষুধা, পিপাসা বৃদ্ধি পাওয়া, ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া ইত্যাদি লক্ষণও থাকতে পারে। যক্ষ্মা রোগে প্রথমদিকে শরীর খারাপ লাগা, পরে জ্বর ও কাশি হওয়া, ত্বকের উজ্জ্বলতা হ্রাস পাওয়া ইত্যাদির সাথে ওজন কমে যাওয়া উপসর্গ থাকতে পারে। উপরোক্ত রোগগুলো ছাড়াও অন্য যেসব রোগে চেহারা খারাপ হয়ে যেতে পারে, তার মধ্যে পেটের পীড়াও একটি অন্যতম কারণ।
যেমন ঠিকমতো হজম না হওয়া, পিত্তথলি কার্যক্ষম না থাকা অথবা পিত্তথলিতে পাথর, জন্ডিস, আমাশয়, অন্ত্রের প্রদাহ বা লিভারের প্রদাহ, অন্ত্রের যক্ষ্মা ইত্যাদি চেহারায় রুগ্ণতা ও ক্লান্তির ছাপ পড়তে পারে। অন্যদিকে লিভারের যে কোনো অসুখে ক্লান্তির ছাপ দেখা দিতে পারে। অনেক সময় দীর্ঘদিন থেকে গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় ভুক্তভোগী রোগীদের চেহারার মাঝেও ক্লান্তির ছাপ পরিলক্ষিত হতে পারে। এসব সমস্যার ব্যাপারে ডাক্তারের পরামর্শক্রমে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা করা উচিত।
চেহারা খারাপ হয়ে যাওয়ার পেছনে মানসিক টেনশনমুক্ত না হওয়া বা অপর্যাপ্ত ঘুম ইত্যাদির ভূমিকা রয়েছে। তাছাড়া চেহারা ছিমছাম ও সুঠাম রাখার জন্য পরিমিত ও ব্যালান্সড বা সুষম খাবারেরও প্রয়োজন রয়েছে। কারণ বেশি রোগা হয়ে গেলে চেহারা দেখতে যেমন খারাপ দেখায়, তেমনি মেদবহুল চেহারা দেখতেও আকর্ষণীয় নয় নিশ্চয়ই।
সন্তান প্রসবের ঠিক পরবর্তী পর্যায়ে শরীর হঠাৎ করে খারাপ হয়ে যেতে পারে। এসময় চুল পড়া সমস্যা, চোখের তলায় কালি পড়া ও শরীরের ওজন কমে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারণ সন্তান জন্মের পর এবং সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ানোর ফলে মায়ের অতিরিক্ত ক্যালোরিযুক্ত খাদ্য গ্রহণ অপরিহার্য। 
এ সময় বাচ্চার যত্ন নেয়ার কারণে সঠিক ও পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়ার কারণেও শরীর বা চেহারা খারাপ হয়ে যেতে পারে। তাই এ সময় বেশি পরিমাণে খাবার, পর্যাপ্ত ঘুম এবং বিশ্রাম নিলে এই সমস্যা সহজেই সারিয়ে ওঠা সম্ভব। চেহারা যাতে খারাপ না হয়ে যায়, তার জন্য পর্যাপ্ত ভিটামিনযুক্ত খাবার খাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।
-অধ্যাপক এম ফেরদৌস
ত্বক, সেক্স ও কসমেটিক্স বিশেষজ্ঞ, ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, রোড নং ৯/এ, ধানমন্ডি-১৫। মোবাইল-০১৭৬৩২৮৭৪০১, ০১৭৬৩২৮৭৪০২।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ