শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

ভিবিন্ন কারনে শরীর ও হাত পা  জ্বালা করতে পারে যেমনঃ পানি শূন্যতার কারনে, অতিরিক্ত দুঃশ্চিন্তার কারনে বা আরও অনেক কারনেই হতে পারে। নরমালি বেশি বেশি পানি পান করুন। প্রয়োজনে  নিকটস্থ ডাক্তারের পরামর্শ নিন। প্রাথমিক পর্যায়ে Flupenthixol+melitracen ( tab. Frenxit.) সাথে vitamin B1,B6,B12 (tab. Neobion)খেয়ে দেখতে পারেন। ৭ দিনেই ইনশাল্লাহ ঠিক হওয়ার কথা।


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

বয়স কত জানতে পারলে ভালো হতো। অনেক সময় ক্যালসিয়ামের অভাবে এমন হয়। আপনি Calcium  jayson 5ml ইনজেকশন নিয়ে দেখতে পারেন। এটি সপ্তাহে দুইটি ইনজেকশন করতে পারেন। রাতে অথবা সকালে করতে হবে। শরীর ঠান্ডা অবস্থায় করতে হবে। গরম লাগলে করা যাবেনা। তবে ভালো একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিন। তাহলে আমার মনে হয় বেশী উপকার পাবেন।ধন্যবাদ

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

গাঁ এবং হাত পায়ের তালু জ্বালাপোড়া করা বা বার্নিং ফিট সিন্ড্রোম প্রচলিত একটি রোগ। পুরুষের তুলনায় মেয়েরা এ রোগের শিকার বেশি হয়ে থাকেন। এতে তালু ছাড়াও পায়ের উপরিভাগসহ সম্পূর্ণ পায়ে জ্বালাপোড়া  করতে পারে। এমনকি ব্যথাও হতে পারে।
এ ছাড়া এ ক্ষেত্রে অনেক সময় পায়ের রং পরিবর্তন হয়, অতিরিক্ত ঘাম হয় এবং পা ফুলে যায়। মাঝে মাঝে অস্বাভাবিক অনুভূতি ও অবশভাব হয়। তবে চাপ প্রয়োগ করলে কোনো ব্যথা হয় না। সাধারণত রাতের দিকে জ্বালাপোড়া বেড়ে যায়।


কারণ
★ ভিটামিন বি-এর উপাদান যেমন থায়ামিন (বি-১), পাইরোডোক্রিন (বি-৬), সায়ানোকোবালামিন (বি-১২), নিকোটানিক এসিড ও রাউবোফ্ল্যাভিনের অভাবে পা জ্বালা এবং ব্যথা করে।
★ কিডনি ফেইলর (হেমোডায়ালাইসিস রোগী) হলেও অনেক সময় এই সমস্যা দেখা দেয়।
★ পরিবর্তিত  বিপাকীয় ও হরমোনের সমস্যা (ডায়াবেটিস, হাইপোথাইরোডিসম) কারণে এই সমস্যা হতে পারে।
★ যকৃতের (লিভার) ফাংশন খারাপ হলে সমস্যা হতে পারে।
★  অনেক সময় কেমোথেরাপি নেওয়ার ক্ষেত্রে জ্বালাপোড়া হতে পারে।
★ দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত মদ্যপান করলে হাাত পা জ্বালাপোড়া করে।
★ ত্রুটিপূর্ণ জুতা পরলে পায়ে জ্বালাপোড়া করতে পারে।
★ অ্যালার্জিজনিত কাপড় ও মোজা ব্যবহার করা।
★ বংশানুক্রমিক অসংগত স্নায়ুপদ্ধতির কারণেও অনেক সময়  জ্বালাপোড়া হয়।
★ পায়ের স্নায়ু আহত হলে, অবরুদ্ধ (ইনট্রাপমেন্ট) ও সংকোচন (কমপ্রেশন) হলেও এই সমস্যা হতে পারে।
★ এ ছাড়া মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিরও এমন হতে পারে।

কি করবেন,
★ সঠিক পরিমাপের খোলা ও আরামদায়ক জুতা পরতে হবে। আরামদায়ক সুতার মোজা ব্যবহার করা ভালো।
★ পায়ের আর্চ সাপোর্ট, ইনসোল ও হিল প্যাড ব্যবহারে উপসর্গ অনেকটাই কমবে।
★ পায়ের পেশির ব্যায়াম ও ঠান্ডা পানির (বরফ না) সেঁক নেওয়া যেতে পারে।
★ রোগ প্রতিরোধে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সেবন করতে হবে এবং চিকিৎসায় ভিটামিন ইনজেকশন পুশ করতে হবে।
★ মদ্যপান ও ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রিত রাখতে হবে। 

স্নায়ু ইনজুরি, অবরুদ্ধ (ইনট্রাপমেন্ট) ও সংকোচন (কমপ্রেসন) হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।


উপদেশ দিয়েছেন,
ডাঃ নাফিসা আবেদীন
সহকারী অধ্যাপক, বারডেম হসপিটাল।


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ