আমি দুই জন সাক্ষী নিয়ে কোন সুরা দরুদ পাঠ না করেই কবুল পাঠ করেছি। তাও আবার আমি (ছেলে) আগে কবুল বলেছি। বিয়েটা কি হয়েছে? শুনেছি দরুদ এবং সুরা ফাতিহা ছাড়া বিয়ে হয় না। এবং মেয়ে কে আগে কবুল বলতে হয়। ইসলামে দৃষ্টিতে কি আমার বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Mdnooralo

Call

দুই জন স্বাক্ষীর সামনে ইজাব কবুল পাওয়া গেলেই শরীয়ত সিদ্ধ বিবাহ হয়ে যাবে।ইজাব মানে প্রস্তাব অর্থাৎ ছেলে মেয়ের যে কেউ আগে প্রস্তাব করবে।কবুল মানে গ্রহন করা,যা প্রস্তাবের বিপরিতে অপর জন বলবে।উল্লেখ থাকে যে,ইজাব যে কেউ আগে করতে ছেলে হৌক বা মেয়ে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

ভাই আপনার এই বিয়ে কোনো মতেই ইসলামের শরীয়ত সম্মত হয় নি। ইসলাম আমাদেরকে এরকম কিছু শিক্ষা দেয় নি। (যেমন- মা বাবার অনুমতি ছাড়া বিয়ে করা , কারো সাথে পালিয়ে বিয়ে করা ইত্যাদি) বিয়ে করার কিছু নিয়ম আমাদের সমাজে বা ইসলামে বলা হয়েছে । তা না মেনে বিয়ে করা ঠিক হবে না । আপনি পুনরায় কাজী সাহেবের কাছে গিয়ে বিয়ে করে নিন। তা আপনার জন্যই মঙ্গল। নতুবা আপনি যত দিন ওই মেয়ের সাথে সহবাস করবেন, তত দিন ওই মেয়ের সাথে জিনা করা হবে। *আসা করি বুঝতে পেরেছেন*

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call


বিবাহের শর্ত হলো চারটি। ১। পরস্পর বিবাহ বৈধ এমন পাত্র-পাত্রী নির্বাচন, ২। উভয়ের সম্মতি, ৩। মেয়ের ওয়ালী থাকা এবং ৪। দু’জন ন্যায়নিষ্ঠ সাক্ষী থাকা। 
বিবাহের দু’টি রুকন হলো ঈজাব ও কবূল। (সূরা নিসা : ১৯)
ইজাব ও কবুল বিয়ের মূল উপকরণ।
উক্ত শর্তাবলীর কোন একটি পূরণ না হলে বিবাহ শুদ্ধ হবে না। উল্লেখ্য যে, যে মেয়ের ওলী নেই, তার ওলী হবেন সরকার।
"তোমাদের মাঝে যার কোন (পুত্র বা কন্যা) সন্তান জন্ম হয়, সে যেন তার সুন্দর নাম রাখে এবং তাকে উত্তম আদব কায়দা শিক্ষা দেয়; যখন সে বালেগ অর্থাৎ সাবালক/সাবালিকা হয়, তখন যেন তার বিয়ে দেয়; যদি সে বালেগ হয় এবং তার বিয়ে না দেয় তাহলে, সে কোন পাপ করলে উক্ত পাপের দায়ভার তার পিতার উপর বর্তাবে"
—(বায়হাকি, মিশকাত: হাদীস নং - ৩১৩৮)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ