তিনি তোমাদের কল্যাণের জন্য নিয়োজিত করেছেন সূর্য এবং চন্দ্রকে যারা অবিরাম একই নিয়মে অনুবর্তিত এবং তোমাদের কল্যাণে নিয়োজিত করেছেন রাত ও দিনকে। (সুরা ইব্রাহিম ৩৩)। তিনি সৃষ্টি করেছেন রাত-দিন ও চন্দ্র-সূর্যকে। প্রত্যেকেই নিজ কক্ষপথে বিচরণ করে। (সূরা আম্বিয়া ৩৩) দুটি আয়াত থেকে বোঝা যায় চন্দ্র এবং সূর্য সৃষ্টি করা হয়েছে মানব জাতির কল্যাণের জন্য। যা পৃথীবিকে কেন্দ্র করে ঘোরে।
রেফারেন্স গুলো লক্ষ্য করুন :----- আল্লাহ তাআ’লা বলেন, ﻓَﺈِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻳَﺄْﺗِﻲ ﺑِﺎﻟﺸَّﻤْﺲِ ﻣِﻦْ ﺍﻟْﻤَﺸْﺮِﻕِ ﻓَﺄْﺕِ ﺑِﻬَﺎ ﻣِﻦْ ﺍﻟْﻤَﻐْﺮِﺏِ “আল্লাহ তাআ’লা সূর্যকে পূর্ব দিক থেকে উদিত করেন। তুমি পারলে পশ্চিম দিক থেকে উদিত কর।” (সূরা বাকারাঃ ২৫৮) সূর্য পূর্ব দিক থেকে উঠার মাধ্যমে প্রকাশ্য দলীল পাওয়া যায় যে, সূর্য পৃথিবীর উপর পরিভ্রমণ করে। ২) আল্লাহ বলেনঃ ﻓَﻠَﻤَّﺎ ﺭَﺃَﻯ ﺍﻟﺸَّﻤْﺲَ ﺑَﺎﺯِﻏَﺔً ﻗَﺎﻝَ ﻫَﺬَﺍ ﺭَﺑِّﻲ ﻫَﺬَﺍ ﺃَﻛْﺒَﺮُ ﻓَﻠَﻤَّﺎ ﺃَﻓَﻠَﺖْ ﻗَﺎﻝَ ﻳَﺎﻗَﻮْﻡِ ﺇِﻧِّﻲ ﺑَﺮِﻱﺀٌ ﻣِﻤَّﺎ ﺗُﺸْﺮِﻛُﻮﻥَ “অতঃপর যখন সূর্যকে চকচকে অব্সথায় উঠতে দেখলেন তখন বললেনঃ এটি আমার পালনকর্তা, এটি বৃহত্তর। অতপর যখন তা ডুবে গেল, তখন বলল হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা যেসব বিষয়ে শরীক কর আমি ওসব থেকে মুক্ত।” (সূরা আনআ’মঃ ৭৮) এখানে নির্ধারণ হয়ে গেল যে, সূর্য অদৃশ্য হয়ে যায়। একথা বলা হয়নি যে, সূর্য থেকে পৃথিবী ডুবে গেল। পৃথিবী যদি ঘূরত তাহলে অবশ্যই তা বলা হত। ৩) আল্লাহ বলেনঃ ﻭَﺗَﺮَﻯ ﺍﻟﺸَّﻤْﺲَ ﺇِﺫَﺍ ﻃَﻠَﻌَﺖْ ﺗَﺘَﺰَﺍﻭَﺭُ ﻋَﻦْ ﻛَﻬْﻔِﻬِﻢْ ﺫَﺍﺕَ ﺍﻟْﻴَﻤِﻴﻦِ ﻭَﺇِﺫَﺍ ﻏَﺮَﺑَﺖْ ﺗَﻘْﺮِﺿُﻬُﻢْ ﺫَﺍﺕَ ﺍﻟﺸِّﻤَﺎﻝِ “তুমি সূর্যকে দেখবে, যখন উদিত হয়, তাদের গুহা থেকে পাশ কেটে ডান দিকে চলে যায় এবং যখন অস- যায়, তাদের থেকে পাশ কেটে বাম দিকে চলে যায়।” (সূরা কাহাফঃ ১৭) পাশ কেটে ডান দিকে বা বাম দিকে চলে যাওয়া প্রমাণ করে যে, নড়াচড়া সূর্য থেকেই হয়ে থাকে। পৃথিবী যদিনড়াচড়া করত তাহলে অবশ্যই বলতেন সূর্য থেকে গুহা পাশ কেটে যায়। উদয় হওয়া এবং অস্ত যাওয়াকে সূর্যের দিকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। এটা থেকে বুঝা যায় যে, সূর্যই ঘুরে। পৃথিবী নয়। ৪) আল্লাহ বলেনঃ ﻭَﻫُﻮَ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﺧَﻠَﻖَ ﺍﻟﻠَّﻴْﻞَ ﻭَﺍﻟﻨَّﻬَﺎﺭَ ﻭَﺍﻟﺸَّﻤْﺲَ ﻭَﺍﻟْﻘَﻤَﺮَ ﻛُﻞٌّ ﻓِﻲ ﻓَﻠَﻚٍ ﻳَﺴْﺒَﺤُﻮﻥَ “এবং তিনিই দিবা-নিশি এবং চন্দ্র-সূর্য সৃষ্টি করেছেন। সবাই আপন আপন কক্ষ পথে বিচরণ করে।” (সূরা আমবীয়াঃ ৩৩) ইবনে আব্বাস বলেন, লাটিম যেমন তার কেন্দ্র বিন্দুর চার দিকে ঘুরতে থাকে, সূর্যও তেমনিভাবে ঘুরে।
আমি প্রথমে বলবো সূরা আম্বিয়ার কথা আল্লাহ বলেনঃ ﻭَﻫُﻮَ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﺧَﻠَﻖَ ﺍﻟﻠَّﻴْﻞَ ﻭَﺍﻟﻨَّﻬَﺎﺭَ ﻭَﺍﻟﺸَّﻤْﺲَ ﻭَﺍﻟْﻘَﻤَﺮَ ﻛُﻞٌّ ﻓِﻲ ﻓَﻠَﻚٍ ﻳَﺴْﺒَﺤُﻮﻥَ “এবং তিনিই দিবা-নিশি এবং চন্দ্র-সূর্য সৃষ্টি করেছেন। সবাই আপন আপন কক্ষ পথে বিচরণ করে।” (সূরা আম্বিয়া: ৩৩)। এখানে বলা হয়েছে সবাই আপন আপন কক্ষপথে বিচরণ করে। এখানে যদি শুধু চন্দ্র সূর্যের কথা বলা হতো সবাই বলা হতো না। সবাই ধারা এই মহাভ্রামান্ডে সকল কিছু আপন আপন কক্ষপথে বিচরণের কথা বলা হয়েছে। এবং আপন আপন কক্ষপথে ধারা আলাদা আলাদা কক্ষপথে কে বোঝানো হয়েছে।
تَبَارَكَ الَّذِي جَعَلَ فِي السَّمَاء بُرُوجًا وَجَعَلَ فِيهَا سِرَاجًا وَقَمَرًا مُّنِيرًا
কল্যাণময় তিনি, যিনি নভোমন্ডলে রাশিচক্র সৃষ্টি করেছেন এবং তাতে রেখেছেন সূর্য ও প্রতিফলিত চন্দ্র। [ সুরা ফুরকান ২৫:৬১ ]
এখানে বলা হয়েছে চাঁদের আলো প্রতিফলিত আলো। তবে চাঁদ ও সূর্য যদি পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘুরে তবে চাঁদে আলো প্রতিফলিত হওয়ার সম্ভাব না। তাই বলা যায় পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘোরে।
আমি এখানে অল্প কিছু প্রমাণ দিলাম আরো অকাট্য প্রমাণ রয়েছে পবিত্র কুরআনে।
<!-- /data/user/0/com.samsung.android.app.notes/files/share/clipdata_191114_085023_895.sdoc -->