আমি মাসে আট দিন ১০ হতে সকাল ৬ টা পর্যন্ত রাত জেগে কাজ করি ।এতে কি আমার শরীরের উপর খারাপ প্রভাব পরে বা রাত জাগলে কোনো প্রকার সমস্যা হয় কি না?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

রাতে না ঘুমালে যে সকল সমস্যা হয় তাহলো: চোখের নিচে কালো দাগ পরে, ব্রণ উঠতে পারে, সাস্থ্যহানি হতে পারে। চেহারায় প্রভাব ফেলতে পারে। অরুচিসহ আরো বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখিন হতে পারেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

রাত্র জাগরণ করলে কিডনি ও হার্ড এর উপর প্রভাব পড়ে। মানসিক ভাবেও দূর্বল হয়ে যায়। বিনা কারনে রাত্র জাগরণ ভাল না।যদি কোন কারনে রাত্র জাগরণ করতে হয় তো সেটি দিনে ঘুমিয়ে ঘাটতি পূরণ করতে হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

জীবনে নানা প্রয়োজনে আমাদের প্রায় সবাইকে কখনও না কখনও রাত জাগতে হয়। রাত জাগায় আপনি যদি অভ্যস্ত হয়ে ওঠেন বা অসুবিধা মনে না হলেও এর বেশ কিছু নেতিবাচক দিক রয়েছে। রাত জাগার কুফল: মানসিক সমস্যার আশঙ্কা গবেষণায় দেখা গেছে যারা প্রায়ই রাত জাগেন তাদের উদ্বিগ্নতা, অবসাদ ও বাইপোলার ডিজঅর্ডারে ভোগার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এমনকি রাতে না ঘুমানোর সঙ্গে আত্মহত্মার প্রবণতারও সম্পর্ক রয়েছে। চেহারায় মলিনতা এমনটা কি হয়েছে, নিয়মিত ত্বকের যত্ন নেওয়ার পরও ব্রণ বা চোখের চারপাশে কালো দাগ হচ্ছে। নিয়মিত রাত জাগা এর একটা কারণ হতে পারে। এই একই কারণে অকালে চেহারায় বয়সের ছাপ ও ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। কর্মোদ্যম কমে যাওয়া ডাক্তাররা বলেন, রাতে মানুষের ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন যেন দিনের বেলা দেহ ও মন কর্মক্ষম থাকতে পারে। ঘুমে অনিয়ম মানুষের কাজের উদ্যম কমিয়ে দিতে পারে। এমনকি রাতে ঘুম কম হলে মানুষের ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পায়। রোগ প্রতিরোধে সমস্যা গবেষণায় দেখা গেছে যারা নিয়মিত রাত জাগেন তাদের হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, শারীরিক স্থূলতা এমনকি স্ট্রোকের সম্ভাবনা বেশি থাকে। বেশ কিছু বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে মানুষ যতো বেশি রাত জাগে ততই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে থাকে। দেহ ঘড়িতে বিশৃঙ্খলা মানবদেহ তার অভ্যন্তরীণ নানা কাজ দেহের নিজস্ব সময় অনুযায়ী চলে। যেমন, রাত ২টায় মানুষের ঘুম সবচেয়ে গভীর অবস্থায় থাকে। রাত জাগার ফলে দেহের নিজস্ব ঘড়িতে বিশৃঙ্খলা ও হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। অবশেষে বলা যায়, বিবর্তনগতভাবেই রাত মানুষের ঘুমানোর জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। তাই প্রকৃতির বিরুদ্ধে না যাওয়াতেই মঙ্গল।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Arman

Call

যেসব লোকেরা রাত জাগেন, তাঁদের ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সম্প্রতি মানুষের ঘুমানোর অভ্যাসের ওপর করা একটি গবেষণায় এ তথ্য পাওয়া যায়। ক্লিনিক্যাল এনডোক্রিনোলোজি অ্যান্ড ম্যাটাবোলিজম জার্নালের বরাত দিয়ে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়েব এমডির একটি প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে এই তথ্য। গবেষণাটি করা হয় সাউথ কোরিয়ার এক হাজার ৬০০ লোকের ওপর, যাঁদের বয়স ছিল ৪৭ থেকে ৫৯-এর মধ্যে। গবেষণায় দেখা যায়, যাঁরা সকালে তাড়াতাড়ি ওঠেন, তাঁদের তুলনায় যাঁরা দেরি করে ঘুমাতে যান বা রাত জাগেন, তাঁদের স্বাস্থ্য সমস্যা বেশি হয়। কোরিয়া ইউনিভার্সিটি কলেজ অব মেডিসিনের গবেষক ড. ন্যান হি কিম বলেন, ‘জীপনযাপনের ধরনের জন্য লোকেরা অনেক ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েন। ধূমপান, রাতে দেরি করে খাওয়া, এসবের মতো রাত জাগাও একটি বদ অভ্যাস। এ কারণেও দেহে বিভিন্ন রোগ হতে পারে।’ গবেষণার এক হাজার ৬০০ অংশগ্রহণকারীর মধ্যে ৯৫ জন রাত জাগেন, ৪৮০ জন সকালে ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি ওঠেন। আর কিছু লোক ছিলেন যাঁরা খুব বেশি রাত জাগেন না বা ঘুম থেকে খুব তাড়াতাড়িও ওঠেন না। গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, যাঁরা বেশি পরিমাণে রাত জাগেন, তাঁদের রক্তে চর্বির মাত্রা বেশি থাকে। এ ছাড়া তাঁরা সারকোপেনিয়ায় আক্রান্ত হতে পারেন। এই সমস্যায় শরীরের পেশিশক্তি হারায় এবং কার্যক্ষমতা কমে যায়। গবেষকরা দেখেছেন, যেসব পুরুষ রাত জাগেন তাঁদের ডায়াবেটিস ও সারকোপেনিয়া হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। আর যেসব নারী রাত জাগেন, তাঁদের পেটে মেদ বাড়তে পারে এবং বিপাকীয় সমস্যা হতে পারে। পাশাপাশি ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এবং স্ট্রোক হওয়ারও আশঙ্কা বাড়ে। ড. কিম বলেন, তাই যেসব তরুণ রাত জাগেন, তাঁদের এসব সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বেশি। গবেষণাটিতে রাত জাগলে স্বাস্থ্য সমস্যা হয় এমন কথা উল্লেখ করলেও এর কারণ এবং প্রভাব সম্বন্ধে কিছু বলা হয়নি। সূত্র- ইন্টারনেট!

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ