♦♦নামাজে ইমামের পিছনে হোক বা একাকি হোক সুরা ফাতিহা পড়তেই হবে♦♦ . ♦ঈমান আনার পরেই একজন প্রকৃত মুসলিমের দায়িত্ব হল পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করা।। . ♦দু:খজনক হলেও সত্যি যে আমরা আজকে যে কয় ওয়াক্ত সালাত আদায় করছি তাও সেটা নবী মোহাম্মদ সা: এর পদ্ধতি অনুসারে না। . ♦যদিও সবাই জানি নবী সাঃ বলেছেন "তোমরা সেভাবে নামাজ পড় যেভাবে আমাকে দেখেছো"(আল হাদিস)। আমরা নিজেদের প্রবৃত্তির ও বিভিন্ন ধর্মীও গুরু/ইমাম/ মৌলভীদের অনুসরন করছি। . ♦অথচ নবী মোহাম্মদ সা: এর তরিকা /নিয়ম ব্যাতিত অন্য কোন তরিকায় আমল করলে সে আমল গ্রহনযোগ্য নয়। . ♦আল্লাহ ৩৩:২১(সুরাঃআয়াত) এ স্পষ্ট বলে দিয়েছেন নবী মোহাম্মদ সা: এর জীবনেই রয়েছে মুমিনদের জন্য উত্তম আর্দশ। . ♦৪৯:২ মতে নবী সাঃ এর ওপরে কাউকে স্থান দেয়া যাবে না। নবী র ওপরে কন্ঠস্বর উঁচুও করা যাবে না। নবীজির আদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে। যদি না করেন তবে আপনার সমস্ত আমল নিস্ফল হয়ে যাবে। . ♦৯:২৯,৫৯:৭ মতে আল্লাহর মত নবীজির আদেশ ও মানতে হবে। আর নবীজি বলেছেন.... . ‘উবাদাহ ইব্নু সমিত (রাঃ) বর্ণনা করেছেন রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সালাতে সূরা আল-ফাতিহা পড়ল না তার সালাত হলো না (বুখারী, ৭৫৬)।। . উক্ত হাদিস প্রমান করে সালাতে প্রত্যেক রাকাতেই সুরা ফাতিহা পড়তে হবে হোক সেটা ইমামের পিছনে কিংবা ইমাম হয়ে কিংবা জেহরি অথবা বাতেনি/ নিরবে (জোহর + আছর) সালাতে। . ♦অথচ স্পষ্ট হাদিস থাকা সত্বেও একদল আলেম জোর গলায় বলেই আসছে যে ইমামের পিছনে সুরা ফাতিহা পড়তে হবে না।ইক্তিদাতু বিহাজাল ইমাম,অর্থাৎ ইমামের সবকিছুই মুক্তাদির,শুধু উঠবস করলেই হবে। . ♦কিন্তু সবই যখন ইমামের উপর সঁপে দেয়া হয় তখন সুবহানা রব্বিয়াল আ'লা/আজিম,রুকু সাজদাহ সহ সকল বিষয় গুলো কেন করা হয়? সবই তো ইমাম করেই?? নাকি শুধুই কিরাতের জন্য?? . ♦এই সব আলেম/অনুসারিরা নবীজির কথার চাইতে তাদের মাজহাবি আলেম/ইমামদের গুরুত্ব বেশি দিয়ে থাকে। তাদের মাজহাবে নাকি আছে ইমামের পিছনে নাকি সুরা ফাতিহা পড়া বৈধ নয়। . ♦ইমামের পিছনে সুরা ফাতিহা না পড়ার পিছনে মুলত তারা কুরআনের ৭:২০৪ এর অপব্যাখ্যা করে থাকে। . ♦যারা ৭:২০৪ এর রেফারেন্স দিয়ে বলেন যে কোরআন তেলওয়াতের সময় চুপ থাকতে বলা হয়েছে তাই ইমামের পিছনে মুক্তাদির সুরা ফাতিহা পড়া লাগবেনা। সুরা ফাতিহা পড়লে নাকি ৭:২০৪ মানা হচ্ছে না।। ♦#আচ্ছা...একবার ভাবুনতো.... কোরআন ও হাদীস যদি বিপরীত মূখী কথা বলে, তখন কোনটা মানতে হয়? কোরআনের আদেশ নিষেধ কি কারও জন্য খাস, না কি সকল মুসলিমের জন্য? কোরআনে ইবাদত সংক্রান্ত যেসব নির্দেশ এসেছে, তা কি ঐচ্ছিক, না কি ফরজ? রাসুল সা: কি কোরআন অবমাননা করার নির্দেশ দিতে পারেন? ................................... এই প্রশ্নগুলোর জবাব মনে মনে অবশ্যই ভাবেন!!! ♦এবার আসুন>>>> ﻭَﻻَ ﺗَﺠْﻬَﺮْ ﺑِﺼَﻼَﺗِﻜَﻮَﻻَ ﺗُﺨَﺎﻓِﺖْ ﺑِﻬَﺎﻭَﺍﺑْﺘَﻎِ ﺑَﻴْﻦَ ﺫَﻟِﻚَ ﺳَﺒِﻴﻼ ---- "তোমরা নিজের নামায আদায়কালে স্বর উচ্চ গ্রাসে নিয়ে গিয়ে কিরাত পড়বে না এবং নিঃশব্দেও পড়বে না। এতদুভয়ের মধ্যমপন্থা অবলম্বন করো।" [সুরা বনী- ইসরাঈল ১৭:১১০] . ♦উক্ত আয়াতটি নামাজে কিরাত পড়াকে ফরজ করা হয়েছে, প্রত্যেক নামাজ আদায়কারীর জন্য। কোরআনের কোন আদেশ নিষেধকে হাদীস মনসুখ করতে পারে না, তা যদি হাদীসে কুদসীও হয়। . ♦এখন প্রশ্ন আসে রাসুল সা: এর হাদীসসমুহ তো সহীহ, তাহলে কি রাসুল কোরআনের খেলাপ হুকুম দিয়েছেন? . ♦জ্বী না, রাসুল কোরআনের খেলাপ কোন হুকুম দিতেই পারেন না। আবার কোরআনের আয়াত (কিরআতকালীন চুপ থেকে শোনার) উপরোল্লিখিত আয়াতটির (৭:২০৪)সহিত সাংঘর্ষিকও না। ... ♦আসল কথা হলো অজ্ঞতা ও ফিরকাবাজী সাধারন মুসলিমদের হক্ব হতে বহুদুরে সরিয়ে রেখেছে। ....... ♦আমরা জানি, নামাজ আদায়ের জন্য নুন্যতম কিরাত হলো সুরা ফাতেহা অর্থাৎ কেউ যদি সুরা ফাতেহা পড়েই নামাজ শেষ করে, তাহলে তার কিরাতের ফরজ আদায় হয়ে যায়। . ♦একারনে রাসুল সা: নামাজ আদায়কালে কিয়ামে দুটো সাকতা (বিরতি) দিতেন। একটি সুরা ফাতেহা পাঠের পর আর দ্বিতীয়টি রুকুতে যাবার পূর্বে। এতটুকু পরিমাণ বিরতি দিতেন যেনো মুক্তাদিগণ সুরা ফাতেহা পাঠ করে নিতে পারে। বর্তমানেও হারামাইন শরীফাইনে এভাবেই সাকতা দেয়া হয়।কোথাও যদি এমনটা না হয় তবে এটা ইমামদের ব্যর্থতা। . ♦এতে সকলের কিরাতের ফরজও আদায় হয়ে যায় আর কিরাতকালীন চুপ থেকে শোনার আদেশটিও পালণ করা যায়। . ♦সুরা ফাতেহা পাঠ ব্যাতীত নামাজ অসস্পূর্ণ। অজ্ঞানতা বশত: যারা করে, তাদের বিষয় আল্লাহ মালুম কিন্তু জানার পর কেউ খেলাপ করলে, তার নামাজই হবে না। . .আচ্ছা যদি তাদের কথাই সঠিক ধরে নেয়া যায় মানে ইমামের পিছনে মুক্তাদির সুরা ফাতিহা পড়তে হবে না মানে কোরআন তেলাওয়াতের সময় চুপ থাকতে হবে তাহলে কিছু প্রশ্ন থেকে যায় জ্ঞানী দের কাছেঃ . ♦কারন ১৬:৪৩ মতে আল্লাহ জ্ঞানীদের কাছ থেকে জানতে বলেছেন।। . ♦ধরেন ইমাম সাহেব সালাত শুরু করে দিয়েছেন সুরা ফাতিহা শেষ করে কোরআন হতে অন্য সুরা তেলাওয়াত করছেন ঠিক সেই সময় আপনি মসজিদে প্রবেশ করলেন তখন আপনি কি করবেন??? . ১.জায়নামাযের দোয়া(ইন্নি ওয়াজ্জাহতু ওয়াজহিয়া....... ........৬:৭৯) পড়বেন??? নাকি ২.মুখে উচ্চারন করে নিয়ত করবেন???? ৩.তাকবির দিয়ে সালাত শুরু করবেন??? ৪.সানা পাঠ করবেন???? ৫.নাকি কোন কিছুই না করে চুপ থাকবেন??? . ♦অবশ্যই ৭:২০৪ মাথায় রেখে উত্তর দিবেন কারন ৭:২০৪ তে কিন্তু কোরআন পাঠের সময় চুপপপপপপপ থাকতে বলেছেন। . ♦উল্লেখ্য যে ইমাম সাহেব কিন্তু কোরআন তেলাওয়াত করছেন সেটা খেয়াল রাখবেন।। .. ♦সত্যি বলতে যে দিন থেকে #মাজহাবে সৃষ্টি হয়েছে ঠিক সেই দিন থেকে সহজ সরল দ্বীন ইসলাম এর মধ্যে " বিভক্তি শুরু হয়েছে। ইসলামে #মাজহাব বলে কিছু নেই ৬:১৫৯ ৩০:৩২ ৭:৩ এক ইমামের সাথে অন্য ইমামের মতামতের কোন মিল নেই।অথচ ৪:৫৯ মতে কোন মতভেদ দেখা দিলেই আল্লাহ ও রাসুলের দিকে ফিরে যেতে হবে। . ♦কিন্তু এইসব মাজহাবিদের কাছে সত্য প্রকাশ পাওয়ার পরেও শুধু মাত্র তাদের মাজহাবে না থাকার কারনে সেটা তারা মানতে নারাজ। . ♦এদের উদ্দেশ্যে আল্লাহ বলেন... তাদের মধ্যে ফয়সালা করার জন্য যখন তাদেরকে আল্লাহ ও রসূলের দিকে আহবান করা হয তখন তাদের একদল মুখ ফিরিয়ে নেয়। (২৪:৪৮) . ♦#মাজহাবিদের ৭:২০৪ #নিয়ে_অপপ্রচারের_জবাব .... . .আসুন এবার ৭:২০৪ এ কি আছে দেখে নেয়া যাক.. "যখন কুরআন তেলাওয়াত করা হয়,তোমরা তা মনযোগ দিয়ে শোনো এবং চুপ থাকো যাতে তোমাদের উপর রহম করা হয় "(৭:২০৪) . ♦এই আয়াতের সংগে সালাতে ইমামের পিছনে সুরা ফাতেহা পড়া বা না পড়ার কোনো সম্পর্ক নেই। কারণ এ আয়াত মক্কায় নাজিল হয়েছে, আর নামাজে সুরা ফাতেহা পড়ার নির্দেশ হিযরতের পর রাসুল (সঃ) দিয়েছেন মদিনায়। আমরা হতিহাস থেকে জানি যে আবু হুরায়রা(রাঃ) ৭ম হিজরীতে মদিনায় মুসলমান হয়েছেন, আর তাকেই সর্ব প্রথম মদিনার ওলীতে গলিতে এ কথা ঘোষণা দেয়ার জন্যে রাসুল (সাঃ) আদেশ করেন, যে ব্যক্তি সালাতে সুরা ফাতেহা পড়েনা তার নামাজ হবে না। . ♦সহিহ মুসলিমের বর্ণনায় আছে, ঐ সময় ১ ব্যক্তি আবু হুরায়রার হাত ধরে বলেনঃ আমরা যদি ইমামের পিছনে থাকি তাও কি পড়া লাগবে? তিনি বলেন তাও.… রাসুল (সাঃ) বলেনঃ আমি যখন জোরে কেরাত পড়ি তখন তোমরা সুরা ফাতেহা ছাড়া আর কিছুই পড়োনা। এই কথার সাক্ষ্য যিনি দিলেন তিনি" উবাদা " তিনি ইমামের পিছনে সুরা ফাতেহা পড়তেন।। . ♦এবার আসুন ৭:২০৪ নাযিলের আসল কারন দেখি.. . ♦রাসুল (সাঃ) মক্কায় যখন সাধারণ ভাবে কাফেরদের কে কুরআন শুনাচ্ছিলেন তখন কাফেররা একে অপরকে বলেছিলো তোমরা তা শুননা, চিল্লা পাল্লা কর। তাহলে তোমরা জয়ী হবে,তখন এই উপরের আয়াত নাজিল হল। যে,রাসুল(সাঃ) যখন কুরআন পড়ে তোমরা ইহুদিরা তখন চুপ থাকো ও মনোযোগ সহ তা শুনতে থাকো হয়তো তোমাদের উপর রহম করা হবে। . ♦৭:২০৪ নাযিলের অন্যতম কারন হল ৪১:২৬. এবার এক নজরে ৪১:২৬ দেখে নেয়া যাক। ৪১:২৬ দেখলেই স্পষ্ট বুঝা যাবে ৭:২০৪ তে আসলে কাদের বলা হয়েছে। . ♦আর কাফেররা বলে, তোমরা এ কোরআন শ্রবণ করো না এবং এর আবৃত্তিতে হট্টগোল সৃষ্টি কর, যাতে তোমরা জয়ী হও(৪১:২৬)। . ♦এবার তো স্পষ্ট বুঝা গেল যে ৭:২০৪ কোন ক্রমেই সালাতে ব্যাপারে বলছে না। যদিও সকল মাজহাবি গন এই ৭:২০৪ কে ইমামের পিছনে মুক্তাদির সুরা ফাতিহা না পড়ার দলিল হিসেবে চালিয়ে দেয় যা আদৌ ভন্ডামি ছাড়া কিছু না। . ♦আর হ্যা,৭:২০৪ সঠিক দলিল বলে তখনই মেনে নেয়া যাবে যদি এটা প্রমানিত হয় এটা মাক্কি নয় সেটা মাদানি আয়াত মানে রাসুলের হিজরতের পরে নাযিল হয়েছে। ''. ♦উপরের আলোচনা থেকে স্পস্ট যে ইমামের পিছনে সর্বাবস্থায় সুরা ফাতিহা পাঠ করতে হবে। যদি পাঠ না করেন তবে নবিজির মত নামায হল না। আর নবিজির মত নামায না হলে আপনার নামাজ কবুল ও হলোনা। . ♦হয়তো অনেকে সেই হাদিস টাকে জাল যইফ বলে চালিয়ে দিতে চাইবেন তাদের জন্য নিচের আয়াত নবী সাঃ নিজ থেকে কোন হাদিস বলতেন না।যা ওহি হত তাই বলতেন ৫৩:৩-৪ ৬৯:৪৪-৪৭. . . ♦অবশেষে একটা আয়াত দিয়ে শেষ করতে চাই.... . ♦প্রকৃতপক্ষে এরাই সত্য প্রত্যাখ্যানকারী। আর যারা সত্য প্রত্যাখ্যানকারী তাদের জন্য তৈরী করে রেখেছি অপমানজনক আযাব(৪:১৫১) . ♦আসুন এতদিন যা করেছি করেছি, সত্যটাকে খুঁজে বের করে আমল করার চেস্টা করি,আল্লাহ আমাদের সবাই কে সঠিক ভাবে আমল করার তাওফিক দান করুন।#আমিন ♦( তথ্যসূত্র- https://free.facebook.com/story.php?story_fbid=2081163708787182&id=100006807181942&refid=46&ref=opera_speed_dial&__xt__=12.%7B%22unit_id_click_type%22%3A%22graph_search_results_item_tapped%22%2C%22click_type%22%3A%22result%22%2C%22module_id%22%3A1%2C%22result_id%22%3A%22100006807181942%3A2081163708787182%22%2C%22session_id%22%3A%224527dd0829ea8767ac6161cea2e7b403%22%2C%22module_role%22%3A%22TOP_PUBLIC_POSTS%22%2C%22unit_id%22%3A%22browse_rl%3Aceec7415-981c-3690-a176-e5d53dff7bb7%22%2C%22browse_result_type%22%3A%22browse_type_story%22%2C%22unit_id_result_id%22%3A2081163708787182%2C%22module_result_position%22%3A1%2C%22result_creation_time%22%3A1508955005%2C%22result_latest_edit_time%22%3A1508986562%7D&__tn__=%2As ,
জবাব:
এক. না। পড়তে হবে না। বরং চুপ থাকবে। কেননা, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, مَنْ كَانَ لَهُ إِمَامٌ فَقِرَاءَتُهُ لَهُ قِرَاءَةٌ ‘যে ব্যক্তির ইমাম আছে তার ইমামের কেরাতই তার জন্য কেরাত বলে ধর্তব্য হবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৮৫০)
ইমামের কেরাতই মুক্তাদির পক্ষে যথেষ্ট- এটি সাহাবা, তাবেয়ীন ও তাবে-তাবেয়ীন-যুগের ‘আমলে মুতাওয়াতির’ (যুগ পরম্পরায় চলে আসা ব্যাপক ও অনুসৃত কর্মধারা)-এর মাধ্যমে প্রমাণিত। এর বিশুদ্ধতা তাঁদের কাছে ছিল এক স্বীকৃত বিষয়। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ, যায়েদ ইবনে ছাবিত, জাবির ইবনে আবদুল্লাহ ও আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাযি. প্রমুখের আমলও এ অনুযায়ীই ছিল। যদি রাসূলুল্লাহ ﷺ মুক্তাদিকে ইমামের পেছনে কুরআন পড়ার নির্দেশ দিতেন, তাহলে তাঁদের সেটা জানা থাকত এবং তাঁরা সে অনুযায়ীই আমল করতেন আর মানুষকে শেখাতেন। অথচ তাঁদের আমল ছিল ইমামের পেছনে কুরআন না পড়া এবং তাঁরা মানুষকে এরই তালীম দিয়েছেন। (উমদাতুল ক্বারী ৬৭:৩ ফাতহুল মুলহিম ২০:২ ইলাউস সুনান ৪৩:৪ তাবারী ৩৭৮ : ১১ তাফসীর ইবনে কাসীর ১ :২৮১)
একারণে এই বিষয়ে হানাফী মাযহাবের ফাতওয়া হলো, যে কোন ধরনের নামাযে মুক্তাদির জন্য যে কোন কিরাত ওয়াজিব নয়। বরং মুক্তাদী চুপ থাকবে। কেউ যদি ইমামমের পিছনে কিরাত পড়ে তাহলে তার নামায আদায় হয়ে গেলেও মাকরূহের সহিত আদায় হবে।
হানাফী মাযহাবের প্রসিদ্ধ আলেম আল্লামা বুরহানুদ্দীন মরগনানী রহ. বলেন,ولا يقرأ المؤتم خلف الإمامঅর্থাৎ, মুক্তাদী ইমামের পিছনে কিরাত পড়বে না। (শরহ বেদায়াতুল মুবতাদী ১/৫৫)
মাউসূআতুল ফিকহিয়্যা-এর মধ্যে রয়েছে ,
وذهب الحنفية إلى أن المأموم لا يقرأ مطلقا خلف الإمام حتى في الصلاة السرية ، ويكره تحريما أن يقرأ خلف الإمام অর্থাৎ, এবং হানাফী মাযহাবের উলামায়ে কিরাম এই দিকে গিয়েছেন যে, মুক্তাদী ইমামের পিছনে কোন অবস্থায় কিরাত পড়বে না। এমন কি নিরবে কিরাত পড়ার নামাযেও। এবং ইমামের পিছনে কিরাত পড়া মাকরূহে তাহরীমী। (আল মাউসূআতুল ফিকহিয়্যা আল কুয়েতিয়্যা ৩৩/৫৩)
দুই. আমলের শুদ্ধি ও গ্রহণযোগ্যতার অন্যতম শর্ত হচ্ছে নিয়ত। উমর রাযি. বলেছেন,لا عمل لمن لا نية له ‘যার নিয়ত নেই, তার কোন আমল নেই।’ (যাদুদ দায়িয়াহ : ৬) তবে নিয়ত মুখের আমল নয়; বরং নিয়ত বলা হয় মনের সংকল্পকে। (যার স্থল হল হৃদয় ও মস্তিষ্ক।) সুতরাং আপনি যে নফল নামায পড়তে যাচ্ছেন, তা মন-মস্তিষ্কে উপস্থিত করবেন। তারপর তাকবীরে তাহরীমা বলে ওই নামায শুরু করবেন। এতেই যথেষ্ট হয়ে যাবে। মুখে কোনও কিছু বলতে হবে না। (রওযাতুত ত্বালেবীন ১/২২৪)
উত্তর দিয়েছেন
মাওলানা উমায়ের কোব্বাদী নকশবন্দী
সূত্রঃ http://quranerjyoti.com