১) যদি স্মরণ থাকে, তাহলে সেহরির পূর্বে গোসল করাই ভালো। আর সেহরির পূর্বে গোসল না করতে পারলে, অবশ্যই ফযরের নামাযের পূর্বে গোসল করতেই হবে। ২) যদি স্মরণ না থাকে, তাহলে সেহরি খেলে অসুবিধা নেই এমনকি ফযরের নামাযের সময়ই স্মরণ না থাকে, আর আপনি নামায পড়িয়াছেন, তাহলে স্মরণ হওয়া মাত্র গোসল করে, নামাযের আবার পড়ে নিবেন। ৩) উভয় সূরতে রোযা হবে। তবে, গোসল না করার কারণে নামাযের ওয়াক্ত চলে গেলে, অতি গোনাহগার হবেন।
গোসল ফরজ হলে দ্রুত গোসল করে নেওয়া কর্তব্য। নাপাক অবস্থায় বেশিক্ষণ থাকা ঠিক নয়। তবে গোসল ফরজ অবস্থায় সাহরি খেয়ে নিলে এতে সাহরি কিংবা রোজার ওপর কোনো প্রভাব পড়ে না। নাপাক অবস্থায় সাহরি খেলে রোজা হয়ে যাবে। কিন্তু ফজরের নামাজ পড়ার স্বার্থে অন্তত নামাজের আগে আগে আপনাকে গোসল করে নিতে হবে। রোজা রাখা যেমন কর্তব্য, নামাজ পড়াও তেমনি কর্তব্য; নামাজের গুরুত্ব আরও বেশি। তাই নামাজ অবশ্যই পড়তে হবে এবং নাপাক অবস্থায় যেহেতু নামাজ হয় না, তাই নামাজের আগে অবশ্যই গোসল করে নিতে হবে। আর যদি রোজা রেখে সারাদিন কিংবা দিনের বেশিরভাগ সময় নাপাক অবস্থায় কাটিয়ে দেন, তাহলে আপনার রোজা মাকরুহ হয়ে যাবে।