রমযান মাসে রাতে স্ত্রী সহবাস,  অথবা স্বপ্নদোষ অথবা ইচ্ছাকৃত  বীর্যপাত ঘটানোর পর সেহরির  সময় গোসল না করে সেহরি খেলে এবং উক্ত অবস্থাতেই   (মনে না থাকার দরুন অথবা আলস্য বশত)  রোযার নিয়ত করে সারাদিন একই ভাবে  থাকলে ওই রোযা কি হবে?  হুকুম জানতে চাই।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

অবশ্যই রোযা হবে। গোছল ফরজ হয়েছে, এখন গোছল না করে এ অবস্থায় সেহরী খেলে রোযার কোনো সমস্যা হবে না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

১) যদি স্মরণ থাকে, তাহলে সেহরির পূর্বে গোসল করাই ভালো। আর সেহরির পূর্বে গোসল না করতে পারলে, অবশ্যই ফযরের নামাযের পূর্বে গোসল করতেই হবে। ২) যদি স্মরণ না থাকে, তাহলে সেহরি খেলে অসুবিধা নেই এমনকি ফযরের নামাযের সময়ই স্মরণ না থাকে, আর আপনি নামায পড়িয়াছেন, তাহলে স্মরণ হওয়া মাত্র গোসল করে, নামাযের আবার পড়ে নিবেন। ৩) উভয় সূরতে রোযা হবে। তবে, গোসল না করার কারণে নামাযের ওয়াক্ত চলে গেলে, অতি গোনাহগার হবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

গোসল ফরজ হলে দ্রুত গোসল করে নেওয়া কর্তব্য। নাপাক অবস্থায় বেশিক্ষণ থাকা ঠিক নয়। তবে গোসল ফরজ অবস্থায় সাহরি খেয়ে নিলে এতে সাহরি কিংবা রোজার ওপর কোনো প্রভাব পড়ে না। নাপাক অবস্থায় সাহরি খেলে রোজা হয়ে যাবে। কিন্তু ফজরের নামাজ পড়ার স্বার্থে অন্তত নামাজের আগে আগে আপনাকে গোসল করে নিতে হবে। রোজা রাখা যেমন কর্তব্য, নামাজ পড়াও তেমনি কর্তব্য; নামাজের গুরুত্ব আরও বেশি। তাই নামাজ অবশ্যই পড়তে হবে এবং নাপাক অবস্থায় যেহেতু নামাজ হয় না, তাই নামাজের আগে অবশ্যই গোসল করে নিতে হবে। আর যদি রোজা রেখে সারাদিন কিংবা দিনের বেশিরভাগ সময় নাপাক অবস্থায় কাটিয়ে দেন, তাহলে আপনার রোজা মাকরুহ হয়ে যাবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ