শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

আপনি যদি মনে করেন ইজমা-কিয়াস করে ভূল কিছু করা হয়েছে

এবং আপনি যদি সঠিক হয়ে থাকেন এছাড়াও আপনার যুক্তি ও

দলিল তাদের থেকে বেশী ন্যায়সঙ্গত হলে আপনার প্রতিবাদে পাপ হবেনা।


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

এজন্য আগে বুঝতে হবে, ইজমা কিয়াস কোন কোন বিষয়ে চলে। যেসব বিষয় কুরআন হাদিস দ্বারা সমর্থিত, কেবল সেসব বিষয় ও তৎসংশ্লিষ্ট বিষয়েই ইজমা কিয়াস চলে। শরিয়ত বিরোধী কিংবা অসমর্থিত বিষয়ে ইজমা কিয়াস করে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া জায়েজ নেই। যেমন, তারাবির নামাজ সম্বন্ধে আট রাকাত, বিশ রাকাত এবং আটত্রিশ রাকাতের হাদিস রয়েছে। এমতাবস্থায় উমর রাযিয়াল্লাহু আনহুর যুগে বিশ রাকাতের পক্ষে সাহাবীদের সম্মিলিত আমল দ্বারা এ ব্যাপারে ইজমা হয়েছে, আর এটা সঠিক। এই ইজমার বিরোধিতা করলে অবশ্যই পাপ হবে। কেননা, এটা শরিয়ত সম্মত বিষয়, হাদিসের অনুকূলে ইজমা। কিন্তু শূকর খাওয়া কুরআন দ্বারা হারাম সাব্যস্ত হয়েছে। এখন যদি পুরো পৃথিবীর সব মুসলমান এ ব্যাপারে ইজমা করে ফেলে যে, শূকর খাওয়া হালাল, তাহলে এই ইজমা সঠিক নয়, এটা ভ্রান্ত ইজমা। এমতাবস্থায় এই ইজমার বিরোধিতা করলে পাপ হবে না। বরং সোয়াব হবে এবং হারাম কাজের বিরোধিতা করা প্রত্যেক মুসলমানের কর্তব্য। এমনিভাবে সবাই যদি সিদ্ধান্ত নেয় যে, নামাজ ছয় ওয়াক্ত পড়া ফরজ, তাহলে এই ইজমা ভ্রান্ত। কেননা, এটা হাদিস বিরোধী। এমতাবস্থায় এই ইজমার বিরোধিতা করা আপনার জন্য পাপ নয়, বরং সোয়াবের কাজ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ