কুরআন ও হাদীছের মধ্যে ফরয, ওয়াজিব,
সুন্নাত ও নফল বুঝার মাপকাঠি ।
শরী‘আতের দৃষ্টিতে ইবাদত দু’প্রকার : ফরয ও
নফল (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১৬)। অর্থাৎ
আবশ্যিক ও ঐচ্ছিক। সুন্নাত-নফল ঐচ্ছিতের
অন্তর্ভুক্ত। নিম্নে প্রশ্নে বর্ণিত পরিভাষাগুলি
আলোচিত হ’ল।-
১. ফরয : শরী‘আতের যেসব হুকুম অপরিহার্য এবং
অকাট্য দলীল দ্বারা প্রমাণিত। যা অস্বীকার করলে
কাফির হতে হয় এবং ঐ ব্যক্তি ইসলাম থেকে খারিজ
হয়ে যায়। যেমন পাঁচ ওয়াক্ত ফরয ছালাত, রামাযানের
ছিয়াম, যাকাত হজ্জ ইত্যাদি।
২. ওয়াজিব : যা ফরযের কাছাকাছি এবং আমল করা
আবশ্যিক। তবে অনেক বিদ্বান বলেছেন, ফরয ও
ওয়াজিব একই। যেমন ছালাতের তাকবীর সমূহ,
হজ্জের জন্য মীক্বাত থেকে ইহরাম বাঁধা,
বিদায়ী তাওয়াফ করা ইত্যাদি।
৩. সুন্নাত : যা আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) সর্বদা করেছেন।
তবে কখনো কখনো ছেড়েছেন। যেমন
ফরয ছালাতের আগে-পরের সুন্নাত সমূহ ও
মেসওয়াক করা ইত্যাদি।
৪. নফল : অর্থ অতিরিক্ত। যা করলে নেকী
আছে, ছাড়লে গোনাহ নেই। যেমন, ইশরাকের
ছালাত, আছর ও এশার পূর্বে ৪ রাক‘আত ছালাত,
আইয়ামে বীয-এর নফল ছিয়াম রাখা ইত্যাদি।
==============================
সুন্নত/নফল রোজা
1. পবিত্র আশুরা মিনাল মুহররম (১০ মহররম)
উপলক্ষে দুটি রোজা রাখা। অর্থাৎ ৯-১০ অথবা
১০-১১ তারিখে রোজা রাখা।
2. প্রতি মাসে তিনটি রোজা রাখা।
3. শাবান মাসে বেশী রোজা রাখা।
4. শাওয়াল মাসের ৬টি রোজা।
5. জিলহজ মাসের ১-৯ তারিখ পর্যন্ত ৯টি রোজা।
6. প্রতি আরবি মাসের ১৩, ১৪, ১৫ তারিখে রোজা
রাখা।
7. প্রতি সপ্তাহের ইয়াওমুল ইসনাইনিল আজিম তথা
সোমবার এবং বৃহস্পতিবার রোজা রাখা।
8. যে পাঁচ দিন রোজা রাখা নিষিদ্ধ সে পাঁচ দিন
ব্যতীত অন্য যে কোনো দিন রোজা
রাখা।
9. দাউদি রোজা অর্থাৎ প্রতি একদিন পরপর
রোজা রাখা
10. অবিবাহিত যুবকদের রোজা । যারা বিয়ে
করতে পারছে না এবং পাপ হতে বাঁচার জন্য
রোজা রাখছে ।