আমি নফল রোজা এবং নফল ইবাদত  গুলা

করতে চাই

কিন্তূ আমি জানি না ঠিক কোন গুলা নফল ইবাদত

তাই কেউ যদি আমাকে জানান তো খুব ভালো হয়

যে কোন গুলা নফল ইবাদত এর মধ্যে পড়ে...????


আর নফল রোজা সপ্তাহে কয় দিন করা যায়

এবং কী কী বার নলফ রোজা করলে ভালো হয়.????


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

কুরআন ও হাদীছের মধ্যে ফরয, ওয়াজিব,

সুন্নাত ও নফল বুঝার মাপকাঠি । 

শরী‘আতের দৃষ্টিতে ইবাদত দু’প্রকার : ফরয ও

নফল (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১৬)। অর্থাৎ

আবশ্যিক ও ঐচ্ছিক। সুন্নাত-নফল ঐচ্ছিতের

অন্তর্ভুক্ত। নিম্নে প্রশ্নে বর্ণিত পরিভাষাগুলি

আলোচিত হ’ল।-

১. ফরয : শরী‘আতের যেসব হুকুম অপরিহার্য এবং

অকাট্য দলীল দ্বারা প্রমাণিত। যা অস্বীকার করলে

কাফির হতে হয় এবং ঐ ব্যক্তি ইসলাম থেকে খারিজ

হয়ে যায়। যেমন পাঁচ ওয়াক্ত ফরয ছালাত, রামাযানের

ছিয়াম, যাকাত হজ্জ ইত্যাদি।

২. ওয়াজিব : যা ফরযের কাছাকাছি এবং আমল করা

আবশ্যিক। তবে অনেক বিদ্বান বলেছেন, ফরয ও

ওয়াজিব একই। যেমন ছালাতের তাকবীর সমূহ,

হজ্জের জন্য মীক্বাত থেকে ইহরাম বাঁধা,

বিদায়ী তাওয়াফ করা ইত্যাদি।

৩. সুন্নাত : যা আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) সর্বদা করেছেন।

তবে কখনো কখনো ছেড়েছেন। যেমন

ফরয ছালাতের আগে-পরের সুন্নাত সমূহ ও

মেসওয়াক করা ইত্যাদি।

৪. নফল : অর্থ অতিরিক্ত। যা করলে নেকী

আছে, ছাড়লে গোনাহ নেই। যেমন, ইশরাকের

ছালাত, আছর ও এশার পূর্বে ৪ রাক‘আত ছালাত,

আইয়ামে বীয-এর নফল ছিয়াম রাখা ইত্যাদি।


==============================

সুন্নত/নফল রোজা

1. পবিত্র আশুরা মিনাল মুহররম (১০ মহররম)

উপলক্ষে দুটি রোজা রাখা। অর্থাৎ ৯-১০ অথবা

১০-১১ তারিখে রোজা রাখা।

2. প্রতি মাসে তিনটি রোজা রাখা।

3. শাবান মাসে বেশী রোজা রাখা।

4. শাওয়াল মাসের ৬টি রোজা।

5. জিলহজ মাসের ১-৯ তারিখ পর্যন্ত ৯টি রোজা।

6. প্রতি আরবি মাসের ১৩, ১৪, ১৫ তারিখে রোজা

রাখা।

7. প্রতি সপ্তাহের ইয়াওমুল ইসনাইনিল আজিম তথা

সোমবার এবং বৃহস্পতিবার রোজা রাখা।

8. যে পাঁচ দিন রোজা রাখা নিষিদ্ধ সে পাঁচ দিন

ব্যতীত অন্য যে কোনো দিন রোজা

রাখা।

9. দাউদি রোজা অর্থাৎ প্রতি একদিন পরপর

রোজা রাখা

10. অবিবাহিত যুবকদের রোজা । যারা বিয়ে

করতে পারছে না এবং পাপ হতে বাঁচার জন্য

রোজা রাখছে ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

নফল ইবাদত নিষিদ্ধ সময় ব্যাতীত সকল সময়ই করা যায়। নফল ইবাদতের কোন নির্দিষ্ট সময় ও নির্ধারিত নিয়ম নেই। নফলের সওয়াব সুন্নতের সমান। আপনি হয়তো সুন্নত রোজার কথা বলছেন। প্রতি মাসে আইয়ামে বীযের তিন দিনে রোযা রাখা সুন্নত। তবে কোন মাসে একটি রোযা রাখা যাবে না। নবী সাঃ নিষেধ করেছেন। কেননা তাতে ইহুদিদের অনুকরন হয়। রমজান শেষে শাওয়াল মাসে ৬ টি রোযা সুন্নত। শবে বরাত বা শাবান মাসের পনেরো তারিখ রোযা রাখা সুন্নত। মুহররম মাসের ৯, ১০ ও ১১ তারিখ রোযা রাখা সুন্নত। শাবান মাসে বেশী পরিমানে রোযা রাখা সুন্নত। নবী সাঃ সোমবারে রোযা রেখেছেন। সোমবার ছিল তার জন্মদিন। তাই জন্মদিনে (নিজের আবার নবী সাঃ এর জন্মদিনেও রাখতে পারেন) রোযা রাখা সুন্নত। আবার নবী সআঃ সোমবারের সাথে বৃহস্পতিবার রোযা রেখছেন বলে হাদিসে আছে। তাই বৃহস্পতিবার রোযা রাখাও সুন্নত।


নামাজে (পূর্বে ও পরে বলতে ফরজ সালাতকে বুজানো হয়েছে) ফজরের পূর্বে ২, জোহরের পূর্বে ৪ চার ও পরে ২, আসরের পূর্বে ৪ বা ২, মাগরিবের পরে ২ ও ঈশার পূর্বে ৪ ও পরে ২ রাকাত নামায সুন্নত। মসজিদে প্রবেশ করে না বসে ২ রাকাত সালাত সুন্নত। তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত। সুন্নত সালাত বাড়িতে আদায় করা সুন্নত। ঈদের সালাত মাঠে আদায় করা সুন্নত। বেতের ও তারাবীহ তাহাজ্জুদ সালাতের সময় আদায় করা সুন্নত। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ