এমতাবস্থায় শুধু ইমামকেই নামাজ কাজা করতে হবে, বাকিদের নামাজ হয়ে যাবে।
ইবনে কুদআমাহ (র.) বলেছেন-
যদি ইমাম তার অজান্তে ওজু ছাড়া অথবা নাপাক অবস্থায় জামায়াতে নামাজ পড়ায় এবং তার পিছনে যারা নামাজ পড়ছে তারাও নামাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে অজ্ঞাত থাকে, তাহলে তাদের (মুসল্লিদের) নামাজ গ্রহণীয়, কিন্তু ইমামের নামাজ বাতিল বলে গণ্য হবে।
এটি হযরত উমর, উসমান, আলি এবং ইবনে উমর (রা.) হতে বর্ণিত।
উমর (রা.) একবার সকালে ফজর নামাজে ইমামতি করেন এবং নামাজ শেষে তার জামায় ভেজাভাব উপলব্ধি করেন যা কিনা পূর্বের রাতে হওয়া স্বপ্নদোষের ফল। তাই তিনি আবার নামাজ পড়েন, কিন্তু মুসল্লিরা পড়েননি।
উসমান (রা.) একইভাবে একদিন ফজরের নামাজে ইমামতি শেষে বুঝতে পারেন যে তিনি জুনুব অবস্থায় আছেন। তাই তিনি নামাজ পুনরায় আদায় করেন কিন্তু অন্য কাউকে পুনরায় আদায় করতে বলেননি।
আলি (রা.) বলেন কেউ যদি জুনুব অবস্থায় ইমামতি করে এবং নামাজ শেষ করে ফেলে, আমি তাকে পুনরায় নামাজ পড়তে বলবো, কিন্তু তাদের (মুসল্লিদের) বলবোনা।
ইবনে উমর একদিন ফজরের ইমামতি শেষে বলেন যে তিনি ওজু ছাড়া নামাজ পড়িয়েছেন। তাই তিনি পুনরায় ওজু করে ফজর আদায় করেন কিন্তু মুসল্লিরা করেননি।
ঘটনাসমূহ আল-আজরামে বর্ণিত হয়েছে।
আরও দেখুন- ফতোয়া আল-লাজনাহ আল-দা'ইমাহ (৬/২৬৬)
উত্তরের সোর্স- Islamic QA