শহরের একটি মসজিদে একজন ইমাম জোহরের নামাজ পড়ালেন । প্রায় 2-3 দিন পর ইমামের খেয়াল হল যে তাঁর ঐ জোহরের নামাজে অযু ছিলনা ।এখন ইমামকে তো অবশ্যই ঐ জোহরের নামাজ কাজা পড়তে হবে । কিন্তু মুসল্লিরা দূরদূরান্ত থেকে আগত ছিল তাদের কে বিষয় টি জানানো সম্ভব নয় ।এরূপ অবস্থায় ঐ অজানা মুসল্লিদের কি ঐ জোহরের নামাজ হবে ?নাকি অনাদায়ে থেকে যাবে অথচ মুসল্লিরা জানেনা। সঠিক ফতোয়া দিয়ে উপকৃত করুন।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

ইনশাআল্লাহ মুসল্লিদের নামাজ হয়ে যাবে। কারণ একজনের ভুল বা পাঁপের জন্য আরেক জনকে শাস্তি দেওয়া হয়না। আল্লাহ পাক কুরআনে বলেছেন "একজনের পাঁপের বোঝা আরেকজন বহন করবেনা"। (অধ্যায় ৬;আয়াত ১৬৪)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

ফজরের নামাজের পর থেকে জোহরের নামাজ পর্যন্ত যদি ইমাম সাহেবের শরীর পাক-পবিত্র থাকে তাহলে জোহরের নামাযের আগে অযু করা আবশ্যক নয়, প্রয়োজনও নেই। তাছাড়া অযু করা ইমাম সাহেবের ব্যক্তিগত বিষয় যেটার জন্য পিছনের মুসল্লিদের নামাজ না হবার কোন কারন নেই।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Unknown

Call

এমতাবস্থায় শুধু ইমামকেই নামাজ কাজা করতে হবে, বাকিদের নামাজ হয়ে যাবে।

ইবনে কুদআমাহ (র.) বলেছেন-

যদি ইমাম তার অজান্তে ওজু ছাড়া অথবা নাপাক অবস্থায় জামায়াতে নামাজ পড়ায় এবং তার পিছনে যারা নামাজ পড়ছে তারাও নামাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে অজ্ঞাত থাকে, তাহলে তাদের (মুসল্লিদের) নামাজ গ্রহণীয়, কিন্তু ইমামের নামাজ বাতিল বলে গণ্য হবে। 

এটি হযরত উমর, উসমান, আলি এবং ইবনে উমর (রা.) হতে বর্ণিত।

উমর (রা.) একবার সকালে ফজর নামাজে ইমামতি করেন এবং নামাজ শেষে তার জামায় ভেজাভাব উপলব্ধি করেন যা কিনা পূর্বের রাতে হওয়া স্বপ্নদোষের ফল। তাই তিনি আবার নামাজ পড়েন, কিন্তু মুসল্লিরা পড়েননি।

উসমান (রা.) একইভাবে একদিন ফজরের নামাজে ইমামতি শেষে বুঝতে পারেন যে তিনি জুনুব অবস্থায় আছেন। তাই তিনি নামাজ পুনরায় আদায় করেন কিন্তু অন্য কাউকে পুনরায় আদায় করতে বলেননি।

আলি (রা.) বলেন কেউ যদি জুনুব অবস্থায় ইমামতি করে এবং নামাজ শেষ করে ফেলে, আমি তাকে পুনরায় নামাজ পড়তে বলবো, কিন্তু তাদের (মুসল্লিদের) বলবোনা।

ইবনে উমর একদিন ফজরের ইমামতি শেষে বলেন যে তিনি ওজু ছাড়া নামাজ পড়িয়েছেন। তাই তিনি পুনরায় ওজু করে ফজর আদায় করেন কিন্তু মুসল্লিরা করেননি।


ঘটনাসমূহ আল-আজরামে বর্ণিত হয়েছে। 

আরও দেখুন- ফতোয়া আল-লাজনাহ আল-দা'ইমাহ (৬/২৬৬)

উত্তরের সোর্স- Islamic QA

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ