শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

পুরুষ লোকের গণোরিয়া হলে তার লিঙ্গের মুখের কাছাকাছি কয়েকবার দোহন করার মতো টিপতে থাকলে মূত্রপথের ভিতর থেকে ঘন গোছের এক ফোঁটা সাদা পুঁজ মুখের কাছে নিশ্চয় বেরিয়ে আসে তাই দেখে আর কোন সন্দেহ থাকে না যে লোকটির গণোরিয়া হয়েছে। সেই অবস্থায় তার সঙ্গে সঙ্গম করলে ঐ পুঁজের দ্বারাই সঙ্গমিত নারীর শরীরেও গণোরিয়া হয়।পুরুষের পক্ষে গণোরিয়া প্রথম সংক্রামিত হবার পর চব্বিশ ঘন্টা দুই তিন সপ্তাহের মধ্যে তার প্রথম লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে। কিন্তু নারীর শরীরে গণোরিয়ার লক্ষণ দেখা দেয় বিলম্বে। মেয়েদের পক্ষে মূত্রপথের মুখেও গণোরিয়া হতে পারে, কিংবা জরায়ুর মুখেও হতে পারে। ঠিক যোনির মধ্যে সাধারণত গণোরিয়ার ক্ষত হয় না। যদি মূত্রনালীর মুখে হয় তাহলে তার ফলে তাদের মূত্রত্যাগ কালে যথেষ্ট জ্বালা যন্ত্রণা থাকে। কিন্তু জরায়ুর মুখে হলে অনেক সময় তার জন্য কোনো কষ্টই থাকে না, সুতরাং রোগটা স্পষ্টভাবে বোঝাও যায় না। সেই জন্য যে সমস্ত নারীর কাছে গিয়ে পুরুষ রোগজীবাণু সংগ্রহ করে আনে, তারা নিজেরাই জানেনা যে তাদের শরীরে ঐ রোগটি আছে। এমন কি তাদের যৌনস্থান পরীক্ষার দ্বারাই এ রোগ ধরা অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে। কিন্তু রোগ কখনো নিরুপদ্রবে থাকে না। কিছুকাল পরে ওর জীবাণুগুলি ধীরে ধীরে জরায়ুর মধ্যে গিয়ে প্রবেশ করে। সেখান থেকে পরে ডিম্বনালীর মধ্যেও চলে যায় ও সেখানে দারুণ এক প্রদাহের সৃষ্টি করে। তখন স্পষ্টই বোঝা যায় যে গণোরিয়া থেকেই সেই বিশেষ নাড়ির প্রদাহ রোগটি জম্মেছে। এ রোগ তখন তার পক্ষে মারাত্মকও হয়ে উঠতে পারে। স্থানীয় নাড়ি থেকে ক্রমে পেটের ভিতর চলে গিয়ে এই জীবাণু পেরিটোনাইটিসের সৃষ্টি করতে পারে, কিংবা রক্তের মধ্যে প্রবেশ করে সমস্ত রক্তটাকেই বিষাক্ত করে তুলতে পারে। তখন এ রোগ অতি গুরুতর আকার ধারণ করে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ