স্বাস্থ্য কমানোর জন্য যদি রাতের খাবার না খাই তাহলে শরীরের কোন সমস্যা হবে?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

রাত্রের খাবার একেবারে ছেড়ে দিলে অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে, তাই ওজন কমানোর জন্য কিছু টিপস: ক. প্রথমেই ওজন কমানোর জন্য মনস্থির করতে হবে। একটি নির্দিষ্ট দিন থেকে শুরু করার জন্য মনস্থির করুন। যেদিন থেকে শুরু করবেন সেদিনের ওজন নোট করে রাখুন। খ. ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এক গ্লাস পানি (সাথে এক চামুচ মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন) খেয়ে ৩০-৪০ মিনিট জগিং করুন। প্রথমদিকে জগিং করা সম্ভব না হলে হাঁটেন। শরীরে ঘাম না ঝড়া পর্যন্ত জগিং বা হাঁটা চালিয়ে যেতে হবে। জগিং-এর আগে-পরে দু-চার মিনিট স্ট্রেচিং করুন। জগিং শেষে নাস্তা করুন। নাস্তাতে আমিষ জাতীয় খাবার বেশী থাকতে হবে। এমন কিছু দিয়ে নাস্তা করা যাবে না যেটি অল্প সময়ের মধ্যেই হজম হয়ে যায়। এজন্য ওটমিল, ডিম, দুধ, ও whole wheat products জাতীয় খাবার দিয়ে নাস্তা করা উত্তম। সাথে কিছু ফল-মূল ও বাদাম রাখতে পারেন। ওজন কমাতে চাইলে কোনো ভাবেই সকালের নাস্তা এড়ানো যাবে না। গ. দুপুর ও রাতের খাবারে ভাতের পরিমাণ যথাসম্ভব কমিয়ে দিয়ে সেই জায়গা মাছ, মাংশ, মিস্টি আলু, ও সব্জি দিয়ে পুরন করুন। ভাতের সাথে শুধু মাছ বা মাংশ জাতীয় একটি আইটেম না খেয়ে সাথে ৩-৪ রকমের সব্জি রাখেন। ঘ. একবারে পেট ভর্তি করে খাওয়া যাবে না। এজন্য নাস্তা ও লাঞ্চের মাঝে, লাঞ্চ ও ডিনারের মাঝে, এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগ দিয়ে হালকা নাস্তা করতে পারেন।অর্থাৎ সকালের নাস্তা থেকে শুরু করে ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত অল্প অল্প করে ৫-৬ বার খেতে হবে। নাস্তা, লাঞ্চ, ও ডিনার ছাড়া বাকি ছোট মিলগুলোতে বাদাম, সীড, ও ফল-মূল খান। ঙ. ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত তিন ঘণ্টা আগে রাতের খাবার সারতে হবে।রাতের খাবারে শর্করা জাতীয় খাবার কমিয়ে দেন। আর ঘুমাতে যাওয়ার আগ দিয়ে ক্ষুধা লাগলে কিছু বাদাম ও এক গ্লাস দুধ খেয়ে নিতে পারেন। চ. দুটি মিল-এর মাঝে ক্ষুধার ভাব জাগলে এক গ্লাস পানি খেয়ে কিছুক্ষণ দেখুন ক্ষুধা যায় কি-না। এর পরও যদি মনে করেন পেটে ক্ষুধা আছে তাহলে কিছু খেয়ে নিন। ছ. ঘুমানোর সময় ছাড়া বাকি সময়টা নিজেকে মুভমেন্ট-এর উপর রাখার চেষ্টা করেন। বসার সুযোগ পেলেই অথর্বের মতো বসে না পড়ে বরং আশেপাশে পায়চারি করুন। হাত-পা ও শরীর স্ট্রেচিং করুন। একজন সুস্থ-সবল মানুষের প্রতিদিন ন্যূনতম ১০,০০০ ধাপ হাঁটা উচিত। কাজেই প্রতিদিন ১০,০০০ ধাপ হাঁটতে হলে নিজেকে অনেকটা সময় ধরে মুভমেন্ট-এর উপর রাখতে হবে। জ. প্রায় প্রতি ঘণ্টায় এক গ্লাস করে পানি পান করেন। প্রতি অর্ধ ঘণ্টায় অর্ধ গ্লাস করেও পান করতে পারেন। খাওয়ার সময় প্রয়োজন ছাড়া পানি পান না করা হজমের জন্য ভালো। তবে প্রতিদিন কমপক্ষে ২ লিটার পানি পান করতেই হবে – দৌহিক গঠন ও কাজের উপর ভিত্তি করে কিছু বেশীও পান করতে হতে পারে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ