অনুচ্ছেদটি ৭ম শ্রেণীর জন্য ৫ মাক্রের জন্য লিখবেন


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
tusarmia80

Call

শহীদ মিনার ভাষাশহীদদের উদ্দেশে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভ। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারির ভাষা আন্দোলনে নিহত শহীদদের স্মৃতি অমর করে রাখার উদ্দেশ্যে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হোস্টেল প্রাঙ্গণে এই স্তম্ভ নির্মিত হয়, যা বর্তমানে ‘শহীদ মিনার’ নামে পরিচিত। এই মিনার প্রথম নির্মিত হয় ১৯৫২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি। এর পরিকল্পনা, স্থান নির্বাচন ও নির্মাণকাজ—সবই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রদের উদ্যোগে সম্পন্ন হয়। বর্তমান শহীদ মিনারের পূর্ব-দক্ষিণ কোণে শহীদদের রক্তেভেজা স্থানে সাড়ে দশ ফুট উঁচু এবং ছয় ফুট চওড়া ভিত্তির ছোট স্থাপত্যটির নির্মাণকাজ শেষ হলে এর গায়ে ‘শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’ লেখা একটি ফলক লাগিয়ে দেওয়া হয়। নির্মাণের পরপরই এটি শহরবাসীর আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে প্রতিবাদী আন্দোলনের প্রতীকী মর্যাদা লাভ করে। ২৬ ফেব্রুয়ারি সকালে দৈনিক আজাদ পত্রিকার সম্পাদক আবুল কালাম শামসুদ্দীন আনুষ্ঠানিকভাবে শহীদ মিনারটি উদ্বোধন করেন। ওই দিনই বিকেলে পুলিশ হোস্টেল ঘেরাও করে এটি ভেঙে ফেললেও পাকিস্তানি শাসকরা শহীদদের স্মৃতি মুছে ফেলতে পারেনি। সারা দেশের শিক্ষাঙ্গনগুলোতে অনুরূপ ছোট অসংখ্য শহীদ মিনার গড়ে ওঠে এবং ১৯৫৩ সাল থেকে দেশের যুবসমাজ ২১শে ফেব্রুয়ারি দিনটিকে ‘শহীদ দিবস’ হিসেবে পালন করতে থাকে। ১৯৫৬ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয়বার শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তত্কালীন মুখ্যমন্ত্রী ও ভাষাশহীদ আবুল বরকতের মা হাসিনা বেগম। তখনই ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আনুষ্ঠানিকভাবে শহীদ দিবস ও সরকারি ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এর পর ১৯৫৭ সালে শিল্পী হামিদুর রহমানের পরিকল্পনা ও নকশা অনুযায়ী মেডিক্যাল হোস্টেল প্রাঙ্গণের একাংশে শহীদ মিনার তৈরির কাজ শুরু হয়। ১৯৬৩ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি এ মিনার উদ্বোধন করেন শহীদ বরকতের মা হাসিনা বেগম। এই শহীদ মিনারই একুশের চেতনার প্রতীকরূপে জনমানবে পরিচিত হয়ে ওঠে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ