আমি মেহেদি হাসান নিলয়। আমার বয়স ১৭ বছর। কিছু দিন আগে আমার মুখে অনেক ব্রণ ছিল। পরে তা ধীরে ধীরে কমে যায়। সাথে সাথে মুখের ব্রণের দাগও দূর হয়ে যায়। কিন্তু কিছুদিন যাবৎ এই ব্রণের সমস্যা আবার দেখা দিয়েছে। আমার মুখের ডান গালে অস্বাভাবিকভাবে ব্রণ ও ব্রণের কাল দাগ দেখা দিয়েছে। মাঝে মাঝে এগুলা চুলকায়ও। এক জায়গার ব্রণ যেতে না যেতে আরেক জায়গায় ব্রণ দেখা দেয়। এবং বণ চলে গেলেও এগুলোর দাগ অনেকদিন যাবৎ থেকে যায়। আমার মুখে হঠাৎ ব্রণ বেড়ে যাওয়ার কারণ কি? আর এই সমস্যা চিরতরে সমাধানের কোনো উপায় আছে কি? 


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

ব্রন ও ব্রনের দাগ দুর করতে রয়েছে সেরকমই কিছু টিপস : * কাঁচা হলুদ এবং চন্দনকাঠের গুঁড়ো ব্রণের জন্য খুবই কার্যকর দুটো উপাদান। সমপরিমাণ বাটা কাঁচা হলুদ এবংচন্দন কাঠের গুঁড়ো একত্রে নিয়ে এতে পরিমাণ মত পানি মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করতে হবে।এরপর মিশ্রণটি ব্রণ আক্রান্ত জায়গায় লাগিয়ে রেখে কিছুক্ষণ পর শুকিয়ে গেলে মুখঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই মিশ্রণটি শুধুমাত্র ব্রণদূর করার কাজ করে না বরং ব্রণের দাগ দূর করতেও সাহায্য করে। * আপেল এবং মধুর মিশ্রণ হচ্ছে ব্রণের দাগ দূর করার সবচেয়ে জনপ্রিয় ঘরোয়া পদ্ধতি। প্রথমে আপেলের পেষ্ট তৈরি করে তাতে ৪-৬ ফোঁটা মধু মিশাতে হবে। মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষন অপেক্ষা করেএরপর মুখ ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। এটি ত্বকের টানটান ভাব বজায় রাখে এবং গায়ের রঙ হালকা করে। সপ্তাহে ৫-৬ বার এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। আপনি কয়েকদিনের মধ্যে পরিবর্তনটা অনুভব করতে পারবেন। * ব্রণের জন্য তুলসি পাতার রস খুব উপকারী। কারণ তুলসি পাতায় আছে আয়ূরবেদিক গুণ। শুধুমাত্র তুলসি পাতার রস ব্রণ আক্রান্ত অংশে লাগিয়ে রেখে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। * চন্দন কাঠের গুড়োঁর সাথে গোলাপ জল মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করুন। এরপর এতে ২-৩ ফোঁটা লেবুর রস মিশাণ। গোলাপজল অনেকের ত্বকের সাথে এডজাষ্ট হয় না। তারা সেই ক্ষেত্রে গোলাপ জলের পরিবর্তে মধু ব্যবহার করতে পারেন। এই মিশ্রণ আপনার ব্রণের দাগ দূর করতে সাহায্য করবে। সপ্তাহে ৩-৪দিন ব্যবহার করতে পারলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। * কমলা লেবুর খোসা শুকিয়ে মিক্সিতে গুঁড়ো করে নিন। মসুরির ডাল আর চাল ভিজিয়ে ভালো করে পিষে নিন। ঐ পেস্টের মধ্যে চন্দন পাউডার, মুলতানি মাটি, কমলালেবুর খোসার গুঁড়ো মিশিয়ে ভালো করে মিলিয়ে নিন। এই মিশ্রণের মধ্যে দুই চামচ দুধও মিশিয়ে নিতে পারেন। মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রাখার পর ধুয়ে নিন। এই প্যাকটা নিয়মিত মুখে লাগান। ত্বকের জেল্লা বাড়বে। ব্রণের দাগও দূর হয়ে যাবে। * চার-পাঁচটা নিম পাতা ভালো করে ধুয়ে পিষে নিন। এর মধ্যে এক চামচ মুলতানি মাটি, অল্প গোলাপ জল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। প্যাকটা যদি গাঢ় হয়ে যায় তাহলে এর মধ্যে গোলাপ জল মিশিয়ে নিন। মুখে লাগিয়ে বেশ কিছুক্ষণ রেখে দিন। প্যাকটা মুখে শুকিয়ে গেলে হালকা পানি দিয়ে মুখটা ধুয়ে ফেলুন। * উপটান ১চা চামচ, কাঁচা হলুদ বাটা ১ চা চামচ ,তাজা নিম পাতা বাটা, লেবুর রস বা কমলা লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগান। আপনি চাইলে একটু বেশি পরিমাণে নিয়ে করতে পারেন এবং ৩/৪ দিন পর্যন্ত রেফ্রিজারেটরে রেখে ব্যবহার করা যাবে। প্রতিবার মুখ ধোয়ার সময় অল্প পরিমাণে নিয়ে মুখে ম্যাসাজ করে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই মিশ্রণটি মাত্র ৭ দিন ব্যবহার করলে আপনার মুখের ব্রণ থেকে মুক্তি পাবেন। * কাচা দুধ , কাচা হলুদ, অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে হালকা হাতে ম্যাসাজ করে ৫ মিনিট পর ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে ত্বকের কোমলতা বাড়বে এবং ব্রন সমস্যাও দূর করবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

ব্রণের সুনির্দিষ্ট কারণ সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত না হলেও সাধারণত দেখা যায় হজমের গোলমাল, সুরাপান, বয়ঃসন্ধিকালে কিংবা অন্যান্য কারণে অনেকের মুখে ব্রণ হয়।আবার অনেকেই বিশেষজ্ঞ মনে করেন, ব্রনের অনেকগূলো কারণের ভিতর বংশগত কারণ একটি অন্যতম কারণ। প্রোপাইনি ব্যাকটেরিয়াম একনিস নামক এক ধরনের জীবাণু স্বাভাবিকভাবেই লোমের গোড়াতে থাকে। এন্ড্রোজেন হরমনের প্রভাবে সেবাম-এর নিঃসরণ ( মাথা, মুখ, ইত্যাদি জায়গায় তেলতেলে ভাব ) বেরে যায় এবং লোমের গোড়াতে উপস্থিত জীবাণু সেবাম থেকে ফ্রী ফ্যাটি অ্যাসিড তৈরি করে। অ্যাসিডের কারণে লোমের গোড়ায় প্রদাহের সৃষ্টি হয় এবং লোমের গোড়ায় কেরাটিন জমা হয়ে ব্রণ হতে পারে।

দুর করার ঔষধ হচ্ছে:-ক্লীনডাসিন প্লাস ব্যাবহার করুন।এবং ছাফি সেবন করুন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

বেশি বেশি পানি পান করুন আয় ঠিক মত সঠিক সময়ে ঘুমান

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ