বাংলাদেশ কোন সক্ষমতা অর্জন করলে পারমানবিক, হাইড্রোজেন বোমা সহ সামরিক শক্তিশালী রাষ্টে পরিণত হতে পারবে বলে আপনি মনে করেন ???
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Unknown

Call
এটি কোন সক্ষমতার উপর নির্ভর করেনা। উদাহরণস্বরূপ অস্ট্রেলিয়া নর্থ কোরিয়ার চেয়ে সবদিক থেকে এগিয়ে, কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার কোনো পারমানবিক বোমা নেই, নর্থ কোরিয়ার আছে।

বর্তমানে যতটি দেশে নিউক্লিয়ার বা ম্যাস ডিসট্রাকটিভ বোমা আছে তাদের সবাই বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন কিংবা পরবর্তীতে শক্তিশালী দেশের হুমকির সম্মুখীন হয়েই এগুলো তৈরি করেছিলো। তখন এ বিষয়ে কোনো আন্তর্জাতিক আইনও ছিলোনা, কিন্তু বর্তমানে NPT চুক্তির বরাতে যেকোনো দেশের নিউক্লিয়ার অস্ত্র তৈরি করা আন্তর্জাতিক আইনবিরুদ্ধ। কোনো দেশ এই আইন অমান্য করলে স্যাঙ্কশনের সম্মুখীন হতে হবে, ফলে উক্ত দেশের অর্থনীতি খুব দ্রুত ভেঙ্গে যাবে (যেমনটা নর্থ কোরিয়ার সাথে হচ্ছে)।

নিউক্লিয়ার বা বিধ্বংসী যেকোনো অস্ত্র তৈরিতে প্রয়োজন প্রচুর অর্থ, প্রতিটি নিউক্লিয়ার অস্ত্র তৈরিতে খরচ হয় প্রায় ২০-৫০ মিলিয়ন ডলার, এগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ করতে প্রতিবছর আরও কয়েকশ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়। একটি হাইড্রোজেন বোমা তৈরি থেকে যুদ্ধ ক্ষেত্রে ফেলা পর্যন্ত প্রায় ২৭০ মিলিয়ন ডলার খরচ হয়।
এত বিশাল খরচ আর অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড ভাঙ্গার ভয়ে কোনো দেশই এই পথে পা বাড়াতে চায়না।

বর্তমান বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছে এরকম কোনো দেশ নেই। কারো সাথে কোনোরকম যুদ্ধ বাঁধার সম্ভাবনাও নেই, এরকম পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ যদি ইউরেনিয়ামের খনি নিয়েও বসে থাকে তবুও কোনো নিউক্লিয়ার অস্ত্র তৈরি করতে পারবেনা।
আন্তর্জাতিক আইন উপেক্ষা করে অস্ত্র তৈরির কার্যক্রম শুরু করলে প্রথমে জাতিসংঘ থেকে সতর্ক করা হবে, তাদের সতর্কতা উপেক্ষা করলে বাংলাদেশের সাথে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ বন্ধ করে দেয়া হবে, তবুও অস্ত্র তৈরির কার্যক্রম অব্যাহত রাখলে নিউক্লিয়ার শক্তিধর রাষ্ট্রসমূহ- বিশেষ করে পার্শ্ববর্তী দেশ ইন্ডিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিবে যার চূড়ান্ত ফলাফল যুদ্ধ দিয়েও শেষ হতে পারে।



একাধিক শক্তিধর রাষ্ট্র কোনো কারনে বাংলাদেশের পক্ষ নিলে তবেই নিউক্লিয়ার বোমা তৈরি করা সম্ভবপর হবে। কিন্তু এরকম কিছু কারো দুঃস্বপ্নেও ঘটবেনা।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ