- মহরম মাসের ৯, ১০, ১১ তারিখে যে রোজাগুলি আমরা দেই। সেগুলি নফল না সুন্নাত। আর এই রোজাগুলো কিসের নিয়তে থাকব অর্থাৎ মুসা আঃ এর খুশির জন্য না ইমাম হোসাইন আঃ এর মৃত্যুর শোক দিবসের জন্য।
আশুরার রোজা নফল।
এই নফল রোজা রাখবেন আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্ঠির জন্য এবং আশুরার নিয়তে।
হাদিস শরীফ রয়েছেঃ-
মদিনায় হিজরতের পর রাসুলুলল্লাহ (সা.) লক্ষ্য করেন যে, ইহুদিরা আশুরার দিন রোজা রাখছে। তিনি তাদের জিজ্ঞেস করলেন, এটা কোন দিন যাতে তোমরা রোজা রেখেছ? তারা বলল, এটা এমন এক মহান দিবস, যেদিন আল্লাহ তায়ালা হজরত মুসা (আ.) ও তার সম্প্রদায়কে মুক্তি প্রদান করেছিলেন, ফেরাউনকে তার সম্প্রদায়সহ ডুবিয়ে মেরেছিলেন। তাই হজরত মুসা (আ.) কৃতজ্ঞতা স্বরূপ এদিন রোজা রাখেন, এজন্য আমরাও রোজা রাখি। একথা শুনে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমাদের চেয়ে আমরা মুসা (আ.)-এর অধিকতর ঘনিষ্ঠ ও নিকটবর্তী। অতঃপর রাসুলুল্লাহ (সা.) রোজা রাখেন এবং অন্যদেরও রোজা রাখার নির্দেশ দেন’ (সহিহ মুসলিম, ১/৩৫৯)।
অন্য হাদীসেঃ-
হজরত আবু হোরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘রমজানের পর সব রোজার (নফল) মধ্যে আশুরার রোজা সর্বশ্রেষ্ঠ’ (জামে তিরমিযি ১/১৫৬)।
পবিত্র আশুরার দিন রোজা রাখার ফযিলত সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, ‘আমি আশা করি যে ব্যক্তি ‘আশুরা’ দিবসে রোজা রাখবে তার এক বছরের গুনাহের কাফ্ফারা (ক্ষমা) হয়ে যাবে’ (মুসলিম, ১/৩৬৭)।
আশুরার দিন রোজা রাখলে ইহুদিদের সঙ্গে সাদৃশ্য হয়ে যায় বিধায় রাসুলুল্লাহ (সা.) তার আগের দিন বা পরের দিন আরেকটি রোজা রাখার পরামর্শ দেন (মুসনাদে আহমদ)।
হাদিস শরীফ থেকে জানা যায়, আশুরার রোজা নফল এবং তা দুইটি রাখা সুন্নত। একটি রাখলে ইহুদিদের সাদৃশ্য হওয়ার সম্ভাবনায় দুইটি রাখতে হবে।