ব্রণের কারণঃ ১.বেশি ঘামলে নাকের সেবেশাস ও তেলগ্রন্থির নালি বন্ধ হয়ে ব্রণ হতে পারে। ২.নানা কসমেটিক্স ব্যাবহারে ব্রণ হতে পারে। ৩.অতিরিক্ত তেলের খাবারে ব্রণ হতে পারে। ৪.মানসিক চাপে ব্রণ হতে পারে। ৫.পর্যাপ্ত ঘুম না হলে ব্রণ হতে পারে। ৬.তাছাড়া পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার অভাবেও ব্রণ হতে পারে। ব্রণ থেকে বাঁচতে কিছু উপায়ঃ ব্রণ আমাদের চেহারার সৌন্দর্যকে অনেকাংশে কমিয়ে দেয়।কিন্তু জানলে অবাক হবেন যে আমরা অনেক ছোট কিছু জিনিস পরিহার করার মাধমেই ব্রণ থেকে বাঁচতে পারি।যেমন- ১.ব্রণ হলে একেবারেই টক আচার খাবেন না। তবে মিষ্টি চাটনি খেতে পারেন। ২.সবজি সব রোগের ঔষধ।তাই ব্রণ হলে বেশি পরিমাণে নিরামিষ খাবার খান। আমিষ খাবার যতটা সম্ভব না খাওয়ার চেষ্টা করুন। ৩.ডেইরি প্রোডাক্টসের মধ্যে হরমোনাল উপাদান বেশি পরিমাণে থাকে বলে তা খুব সহজে রক্তের সঙ্গে মিশে যায়। এ কারণেই পনির, দুধ এবং দই কম খান। ৪.কোল ড্রিঙ্কস খাওয়া একেবারেই বন্ধ করে দিন। ৫.খুব বেশি পরিমাণে পানি খান। দিনে যদি দু লিটার পানি খেতে পারেন তা আপনার স্বাস্থ্য এবং ত্বকের ক্ষেত্রে ফলদায়ক হবে। পানি বেশি খাওয়ার ফলে শরীর থেকে পিত্ত বেরিয়ে যাবে। আপনি ব্রণের সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাবেন। ৬.আয়ুর্বেদের মতে অতিরিক্ত ক্রোধের ফলে শরীরে পিত্ত সঞ্চিত হয়। তাই ক্রোধ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখুন। ব্রণের দাগ দূর করার উপায়ঃ বাজারে ব্রণ দূর করার জন্য অনেক ক্রিম পাওয়া যায়।কিন্তু সেসব ব্যাবহার করলে তার অনেক সাইড এফেক্ট থাকার সম্ভবনা থাকে।তাই ভেষজ উপায়ে এর চিকিৎসা করাই উত্তম বলে মনে করেন। ১.কমলা লেবুর খোসা শুকিয়ে মিক্সিতে গুঁড়ো করে নিন। মসুরির ডাল আর চাল ভিজিয়ে ভালো করে পিষে নিন। ওই পেস্টের মধ্যে চন্দন পাউডার, মুলতানি মাটি, কমলালেবুর খোসার গুঁড়ো মিশিয়ে ভালো করে মিলিয়ে নিন। এই মিশ্রণের মধ্যে দুই চামচ দুধও মিশিয়ে নিতে পারেন। মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রাখার পর ধুয়ে নিন। এই প্যাকটা নিয়মিত মুখে লাগান। ত্বকের জেল্লা বাড়বে। ব্রণের দাগও দূর হয়ে যাবে। ২.চার-পাঁচটা নিম পাতা ভালো করে ধুয়ে পিষে নিন। এর মধ্যে এক চামচ মুলতানি মাটি, অল্প গোলাপ জল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। প্যাকটা যদি গাঢ় হয়ে যায় তাহলে এর মধ্যে গোলাপ জল মিশিয়ে নিন। মুখে লাগিয়ে বেশ কিছুক্ষণ রেখে দিন। প্যাকটা মুখে শুকিয়ে গেলে হালকা পানি দিয়ে মুখটা ধুয়ে ফেলুন।