রাসুল (সাঃ) যেই নামাজে শুনিয়ে কিরাআত পাঠ করেছেন, আমরা বা ইমাম সাহেব সেই নামাজে শুনিয়ে কিরাআত পাঠ করি। তিনি যে নামাজে আওয়াজ না করে চুপিসারে কিরাআত পাঠ করেছেন, আমরা বা ইমাম সাহেব সেই নামাজে না শুনিয়ে নিম্নস্বরে কিরাআত পাঠ করি। এভাবেই আল্লাহ পাক রাসুল (সাঃ) কে কিরাআত পাঠের আদেশ করেছেন। আর আমরা রাসুল (সাঃ) কে অনুসরণ করি বলেই যোহর ও আসরের নামাজে ইমাম সাহেব মনে মনে কেরাআত পড়েন। ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেখানে কিরাআত পাঠের জন্য আদেশ পেয়েছেন সেখানে পড়েছেন। আর যেখানে চুপ থাকতে আদেশ পেয়েছেন সেখানে চুপ থেকেছেন। আল্লাহ তাআলার বাণীঃ তোমার প্রতিপালক ভুল করেন না। (সূরাহ মারইয়াম ১৯/৬৪) নিশ্চয় তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূল এর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ। (সূরা আল-আহযাব ৩৩/২১) [সহীহ বুখারী, হাদিস নম্বরঃ ৭৭৪]
রাসুল্লুলাহ সাল্লালাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম যেভাবে নামাজ পড়েছেন এবং সাহাবা আজমাইনদেরকে যেভাবে নামাজ পড়তে শিখিয়েছেন সেভাবেই নামাজ পড়তে হবে। এখানে ইমাম সাহেবের ইচ্ছা অনিচ্ছার কোন বিষয় নেই। উল্লেখ্য যে যহর এবং আছরের নামাজে মহানবী সাল্লালাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম কেরাত উচ্চস্বরে পড়েন নাই তাই সবাইকে সেভাবে পড়তে হবে।