বয়স 22 ওজন 56 উচ্চতা 5.7 "
মোটা স্বাস্থ মানেই হচ্ছে রোগের স্বাস্থ। আর আপনার বয়স এবং উচ্চতার সাথে ওজন যথেষ্ট। তাই বলছি মোটা হওয়ার চিন্তা বাদ দিন। তারপরও বলছি আপনার স্বাস্থ যদি রোগাটে হয়ে থাকে অর্থাৎ ভিটামিন এর অভাবজনিত সমস্যার কারনে বা খাওয়ার প্রতি অনিহার কারনে স্বাস্থ খারাব দেখায় তাহলে আপনি- ভিটামিন জনিত শিরাপ শিনকারা খেতে পারেন। অথবা রুচির জন্য রুচিটেব ট্যাবলেট খেতে পারেন। তাহলে ভালো খেতে পারবেন এতে স্বাস্থ বাড়বে।
মোটা হওয়ার নিরাপদ কোনো ঔষধ নাই। মোটা হওয়ার যে ঔষধ গুলো পাওয়া যায়, সে গুলোতে অবৈধ ভাবে স্টেরয়েড মিশিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা বাজারজাত করে!! এগুলো সেবন করলে খাওয়ার অতিরিক্ত রুচি বেড়ে যাবে ফলে বেশি খাওয়া হবে। তাই বেশি খাওয়ার ফলে শরীরে অতিরিক্ত পানি ও চর্বি জমে সাময়িক ভাবে শরীর মোটা দেখাবে, এর ফলে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ সমূহ, লিভার কিডনির সমস্যা হবে। এই সব ঔষধ খাওয়া বন্ধ করলে আবার শরীর চিকন হয়ে যাবে। তখন অরুচি, খাওয়ার চাহিদা একেবারেই কমে যাবে। খিটখিটে মেজাজ ঘুমের সমস্যা, বিষন্নতার মতো উপসর্গ দেখা দিবে। মোটা স্বাস্থ্য বংশগত, জেনেটিকভাবে পাওয়া। অনেকের শরীরে হরমোন পরিবর্তন, খাদ্যাভ্যাস পরিবেশগত কারণে যে কোন সময় মোটা হয়ে যেতে পারে। এর জন্য মোটা হওয়ার কোন ঔষধ খেতে হয়না। কোন রিজিস্টার্ড ডাক্তার কাউকেই মোটা হওয়ার পরামর্শ বা ঔষধ দিবেনা। যে যতো চিকন ই হোক না কেনো তার শরীরে কোন রোগ না থাকলে পৃথিবীর কোন ডাক্তার কাউকে মোটা হওয়ার ঔষধ দিবেনা, শরীর সুস্থ মানেই স্বাস্থ্য। আমাদের বাংলাদেশ বলে নয়! পৃথিবীর কোন ডাক্তার যদি মোটা হওয়ার ঔষধ বিক্রি করতো তাহলে তিনিই পৃথিবীর 1 নাম্বার ধনী হয়ে যেতো। >এই পর্যন্ত লাখ লাখ মানুষ মোটা হওয়ার জন্য ডাক্তারের কাছে গিয়েছে, কিন্তু কেউ মোটা হওয়ার ঔষধ আনতে পারেনি/ ডাক্তার দেয়নি। তবে হাতুড়ে ডাক্তারগন স্টেরয়েড মিশ্রিত ঔষধ দিয়ে থাকে, যা ক্ষতিকর। তাই মোটা হওয়ার চিন্তা বাদ দিয়ে দৈনন্দিন পুষ্টিকর খাবার দাবার, দুধ ডিম, ব্যায়াম আর পর্যাপ্ত ঘুমের প্রতি নজর দিন। শারীরিক কোন রোগ থাকলে একজন রেজিস্টার্ড চিকিত্সকের পরামর্শ নিবেন। ওজন বাড়াতে একজন পুষ্টিবিধের পরামর্শও নিতে পারেন। মোটা কে স্বাস্থ্যবান বলেনা। শারীরিক মানসিক ভাবে পরিপূর্ণ সুস্থতাই হলো স্বাস্থ্য।