আমার বয়স ২১ বছর। ১৪ বছর থেকে আমার অধিক স্বপ্নদোষ হতে। পরে ধিরে ধিরে কমে যায়। প্রায় দুই বছর এই অবস্থা ছিল। গত তিন সপ্তাহ থেকে আবারো ১/২ দিন পর  পর স্বপ্নদোষ হচ্ছে। আমি পর্ণগ্রাফি দেখিনা। এখন আমার কি করণীয়? আমার লিঙ্গের গোরার দিকটা কিছুটা চিকন।


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

* স্বপ্নদোষ থেকে মুক্তির পথ ও পদ্ধতির মধ্যে প্রথমটি হল নিজের খেয়াল ও ধ্যান ধারণাকে সব সময় পাক সাফ রাখবে। নিজের মনকে নিজের আয়ত্বে রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা করবে। সৎ ও ভালো লোকদের সাথে চলাফেরা করবে। এসবের সাথে সাথে খাবার ও পেট ভালো রাখাও অধিক গুরুত্বপূর্ণ।


* অধিক মসলাজনিত খাবার, যেসব খাবার বিলম্বে হজম হয়, সেগুলো যথাসম্ভব কম খাবে। যেমন-গোশত, কাবাব, ডিম, অধিক পরিমাণে চা পান, কফি পান, বেগুন, মশুরির ডাল ইত্যাদি।


* খাবার দাবারে বিশেষ করে রাতের খাবার কমিয়ে দিবে এবং শোয়ার কমপক্ষে দুই ঘণ্টা পূর্বে খাবে। শোয়ার সময় অধিক পরিমাণে পানি ও চা পান করবে না। শোয়ার পূর্বে পেশাব পায়খানার প্রয়োজন সেরে ঘুমাবে। মূত্রথলীতে পেশাব জমা হয়ে স্বপ্নদোষ হওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করে। নরম ও গরম বিছানায় শয়ন করা অনুচিত। বরং এমন ঘরে শোবে, যে ঘরে আলো বাতাস প্রবেশ করে।


* চিত হয়ে শয়ন করাও স্বপ্নদোষ হওয়ার সহায়ক।


* শেষ রাতে পেশাবের বেগ হলেই উঠে পেশাব করবে।


* গরমকালে রাতে অধিক গরম লাগলে এবং মেজাজও গরম থাকলে যদি গোসল করার দ্বারা কোনো সমস্যা না হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাহলে গোসল করে নেওয়া অনেক লাভ জনক।


* স্বপ্নদোষ প্রতিরোধক ওষুধ বেশি দিন সেবন করবে না। এতেও উল্টা এ্যাকশন হতে পারে। আজিবনের জন্য ধ্বজভঙ্গ রোগ হতে পারে।


* স্বপ্নদোষ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি শয়নকালে কখনো লিঙ্গে কোনো প্রকার মলম বা মালিশ ব্যবহার করে শয়ন করবে না। অন্যথায় স্বপ্নদোষের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।


* স্বপ্নদোষ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি স্বপ্নদোষের চিকিৎসার পূর্বে হেকিমের নিকট নিজের পেটের হালত বর্ণনা করবে। চিকিৎসা চলাকালিন যৌন চাহিদা বৃদ্ধকারী কোনো প্রকার খাবার বা ওষুধ ব্যবহার করবে না।


* এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি রাতের খাবারে কাঁচা পেঁয়াজ খাবে না। অন্যথায় এ রাতেই স্বপ্নদোষ হবে।


* তামাক, বিড়ি, সিগারেটও সেবন করবে না। যদি এসব পান করতে অভ্যস্ত থাকে, তাহলে ধীরে ধীরে তা পরিত্যাগ করবে। কেননা, তামাক মানুষের দেমাগ ও বীর্যের জন্য অধিক ক্ষতিকর। বিষ যেমন মানুষের ক্ষতি করে, তামাক মানুষকে তাঁর চেয়েও বেশি ক্ষতি করে। এটা যদি মাত্রায় একটু বেশি সেবন করা হয়, তবেই তাঁর প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। সমস্ত শরীরকে দুর্বল বানানো, মাথা ঘেমে পানি পড়া, মাথা ঘুরা, বমি , চোখে সরিষার ফুল দেখা, দৃষ্টিশক্তি কম, শ্রবণশক্তি হ্রাস, হাত পায়ে জ্বলন, শ্বাস প্রশ্বাসে কষ্ট, হজম শক্তি দুর্বল এমনকি আত্মভোলা হয়ে যায়। হেকিমদের মতে তামাক অধিক পরিমাণে ব্যবহার করলে এক সময় মানুষের ফোফরাও নষ্ট হয়ে যায়। দিলে ধুক ধুকানি বৃদ্ধি পেতে থাকে। এ জাতীয় আরো অনেক রোগ দেখা দেয় যা একজন সুস্থ মানুষের জন্য খুবই ক্ষতিকর। অভিজ্ঞিদের মতে তামাক গ্রহণকারীদের সন্তানও দুর্বল হয়ে থাকে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

যতটুকু সম্ভব স্বাস্থ্য সম্মত খাবার গ্রহন করুন। যেহেতু খারাপ কোনো মানসবকতা নেই, তাই পারলে এর জন্য ডাক্টার দেখান কারন এখন না দেখালে পরে সমস্যাটা বাড়বে। আর এই কথাটা একটু গেঁয়ো হলেও বলছি, যদি পারেন যারা গাছালী  ঔষধ বানায় তাদের ঔষধটা নেওয়া কারন ডাক্টারি চিকিৎসার চেয়ে এ রোগের এ চিকিৎসা বেশি ভালো হয়। আর ভুয়া কবিরাজ ও প্রচুর আছে, তাই নিজের কাছের কোনো পরিচিত ব্যক্তির মাধ্যমে এ ঔষধের সন্ধান করুন।

 (অভিজ্ঞতা থেকে বললাম)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

আপনি হামর্দদের জানরাইড সিরাপটি ১ থেকে ২ মাস খেতে পারেন আশা করি উপকিরিত হবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

দৈনিক কায়িক পরিশ্রম করুন।পরিমিত ও পুষ্টিকর খাবার খান। খারাপ ও কু-চিন্তা মাথায় আনবেন না। দৈনিক ব্যয়াম করুন।সমস্যার উন্নতি না হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ