Call

জিনতত্ত্বের উপর ভিত্তি করে আমরা বেশিরভাগ মানুষ ভেবে থাকি যে আমদের বৃদ্ধি সম্পূর্ণ নির্ভর করে আমাদের বংশের উপর। অর্থাৎ আমরা বংশগত ভাবে ঠিক যতটুকু বৃদ্ধি পাবো তার থেকে এক চুলও বেড়ে উঠা সম্বভ নয়। তবে বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমানিত যে আপনার বৃদ্ধির ৮০% নির্ভর করে আপনার বংশের উপর। আর বাকি ২০% ই আপনার উপর বা অন্যান্য কিছু কৌশল বা পরিবেশের উপর। তাহলে দাঁড়ায় যে যদি একজন ব্যক্তির উচ্চতা হয় ৫ফুট তাহলে তার উচ্চতা ২০% করলে হয় ১ফুট আর এর থেকে পরিবেশ গত ভাবে ৬ ইঞ্চি ধরলেও আরও ৬ইঞ্চি নিজে বাড়ার জন্য থেকে যায়। The School of Medicine of the University of Southern California in Los Angeles এর একদল চিকিৎসক যাদের দলনেতা ডঃ মিচেল ই জেনিফার, তারা কয়েক বছর ধরে পরীক্ষা চালিয়ে একটি চূড়ান্ত উচ্চতার পূর্বাভাস সূত্র প্রকাশ করেছেন। তা হলঃ- মেয়েদের জন্য: [(পিতার উচ্চতা - 5 ইঞ্চি) + মা এর উচ্চতা] দুই দ্বারা বিভক্ত ছেলেদের জন্য: [(মায়ের উচ্চতা + 5 ইঞ্চি) + পিতার উচ্চতা] দুই দ্বারা বিভক্ত তবে সকল ক্ষেত্রে যে তা হবে সেটা কিন্তু নয়। আপনারা সবাই জানেন যে জেনেটিক্স এবং পুষ্টির মাধ্যমে উচ্চতা রয়েছে। বেশী পরিমাণ ক্যালরি, প্রোটিন, খনিজ পদার্থ এবং প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন খাদ্যাভ্যাস যা আপনার নতুন কোষ এবং হাড় নির্মাণ 'উপকরণ' এবং সেলের গঠন নির্মাণে সহায়তা করবে। এছাড়াও দিনে আট ঘন্টা ঘুম আপনার বৃদ্ধি ক্ষমতা বাড়াতে আরো সহায়তা করবে। এখন ব্যপার হল আপনি দিনে আট ঘন্টা কেন ষোল ঘন্টা ঘুমান তারপর আবার পরিমান মত খাবারও খান এর পর যথাযত উচ্চতা লাভ হচ্ছে না বা আপনি তার উপর সন্তুষ্ট না। তাই এবার আপনাদেরকে দেখানো হবে কিভাবে আপনি আপনার শরীরের ৯৯% উচ্চতা বৃদ্ধি করবেন। আসলে এটি একটি প্রক্রিয়া যা আপনি আপনার সর্বাধিক সম্ভাব্য বৃদ্ধি নিতে সাহায্য করবে। এই উপাদান কি? আপনার উচ্চতা বাড়ার মূল উপাদান হল একটি পদার্থ যা আমাদের শরীরের প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট এবং এটাকে বলা হয়: মানুষের গ্রোথ হরমোন। এটি একটি হরমোন যে আপনার শরীরের উত্পাদন (ভালো টেসটোসটের এবং ইস্ট্রজেন) শুধু তাই নয় উচ্চতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকরী - এই বায়োকেমিক্যাল রসূল যার মাধ্যমে আপনি লম্বা হন, এটি আপনার শরীরের হাড় বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় এবং আপনার কোষ প্রয়োজনিও সেল গুলিকে দ্রুততর বিভক্ত করে। এটা 1920 এর মধ্যে প্রথম আবিষ্কৃত হয় এবং এর উচ্চতা বৃদ্ধির উপকারিতা শুধুমাত্র সম্প্রতি আবিষ্কৃত হয়েছে। আপনি কি জানেন যে দ্রুত বড় হওয়া শিশুদের হরমোন স্বাভাবিক বড় হওয়া শিশুদের থেকে খুব উচ্চ স্তরের আছে। তাই, এখানে আপনাদেরকে বলা হবে কিভাবে আপনি আপনার হরমোনকে সেই স্তরে নিয়ে যাবেন যা আপনার পরিপূর্ণ বৃদ্ধির জন্য সহায়ক। হরমোনের ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধি সংক্রান্ত মাত্রা পদ্ধতি খুব কার্যকর, বৈজ্ঞানিকভাবেও প্রমাণিত যে এটি সম্পূর্ণ নিরাপদ! ৮সহজ স্বাভাবিকভা উপায়ে উচ্চতা বৃদ্ধি ১. এই বৃদ্ধি পদ্ধতিটি সবচেয়ে কার্যকর উপায়। এই পদ্ধতিতে ইঞ্জেকশন দ্বারা মানবদেহে হরমোন বৃদ্ধি করা হয়, কিন্তু এটি সম্পূর্ণ বেআইনি যার কারনে একজন ডাক্তার কখনই আপনাকে এরকম কিছু প্রেস্ক্রাইব করবে না, এবং এটি খুবই ব্যায়বহুল যার কারনে আমিও আপনাকে সাজেশ করব না। ২. দুধ পান আপনাকে লম্বা হওয়ায় অনেক সাহায্য করবে কারণ ক্যালসিয়াম আপনার শরীররের হাড় এর বৃদ্ধি ঘটায়, আরেকটা বেপার যা আমাদের দেশে নেই সেটা হল আমেরিকায় তাদের গরু মধ্যে বিভিন্ন হরমোন ইনজেকশন দেওয়া হয় যার মাধ্যমে - হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি হয়, এবং সেই প্রকিয়াজাতকরন দুধ হয় সাধারণ দুধ এর বিকল্প। ৩. নিয়মিত কিছু নির্দিষ্ট ব্যায়াম (ওজন উদ্ধরণ) হরমোন (HGH) বৃদ্ধি করে। এটি বৃদ্ধি সংক্রান্ত হরমোনের মাত্রা আরও উন্নত করার জন্য বহুল পরিচিত এবং পদ্ধতি খুবই কার্যকর. আর অতিরিক্ত পেশী আপনাকে আরো সাহয্য করবে আকর্ষণীয় চেহারার অধিকারী হতে। ৪. তীব্র sprinting ব্যায়াম মানব বৃদ্ধির হরমোনে একটি বিস্ফোরণ ঘটায় এছাড়াও আপনার হরমোনকে আরও উন্নত করে। আসলে, যে কোনো কঠিন শারীরিক ব্যায়াম আপনাকে লম্বা হতে সাহায্য করবে। তবে অবশ্যই সেটা ২১বছর বয়স হওয়ার পর। ৫. Niacin supplementation : Niacin একটি প্রাকৃতিক ভিটামিন নামক ভিটামিন B3. একটি গবেষণা থেকে জানা যায়, ৫০০গ্রাম নিয়াসিন নেওয়া মানুষের থেকে সাধারণ মানুষের বৃদ্ধি কম ঘটে। ৬.মানসিক চাপ কমানঃ স্ট্রেস বা মানসিক চাপ যা হচ্ছে আপনার লম্বা বৃদ্ধি হওয়ার ক্ষেত্রে একটি বাঁধা। যাতে আপনার হরমোনের মাত্রা কমে যায় এবং করটিসল উত্পাদিত হয়। ভিটামিন C সম্পূরকসমূহ যা করটিসল কমাতে জোর সহায়তা করে। ৮. ঘুমঃ কমপক্ষে ৮ ঘন্টা ঘমানো । এটি সবচেয়ে সহজ এবং অনেক কার্যকরী উপায়। সঠিক এবং সুন্দর ভাবে ঘোমানো আপনার দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি মাত্রা আরো বাড়িয়ে তোলে। তবে আপনাকে বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কিছু জিনিস এড়িয়ে চলতে হবে ঃ ড্রাগ এবং এলকোহল এই ২টিই আপনার বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অনেক বড় বাঁধা। ধূমপান যেমনি সাস্থের জন্য ক্ষতিকর তেমনি দেহের হরমোন গঠনও কমিয়ে ফেলে। ( জানি এ বেপারটা আপনাদের অনেকেরই ভাল লাগেনি। তবুও এটি সত্য) তবে ১৮ বছরের পর যারা তাদের উচ্চতা বারানোর জন্য বিস্তারিত এখানে দেখে আসতে পারেন। নেট এ সার্চ দিয়ে আরও অনেক ফলাফল পাবেন। এবার আপনাদের লম্বা হওয়ার জন্য বায়মের কিছু স্টেপ দেখাব যেগুলো আপনি প্রতিদিন করলে মাত্র ৬ সপ্তাহের মাথায় আপনার উপকারিতা দেখতে পাবেন। স্টেপ ১ স্টেপ ২ স্টেপ ৩ স্টেপ ৪ আপানাদের আরো সুবিদার জন্য এই ভিডিও লিঙ্কটি দেওয়া হল। তথ্য সৃএ:www.techtunes.com.bd

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

অপমান হওয়ার কিছুই নেই, আল্লাহ আপনাকেও এমন কিছু দিয়েছে যা অন্যদের দেইনি। এখন আপনি খুঁজে বের করুন আল্লাহতালা আপনাকে কি দিয়েছে এবং সেটা দিয়ে আপনিও অন্যদের আকৃষ্ট করতে পারেন। তখন হয়তো বুঝতে এবং বুঝাতে পারবেন যে আল্লাহ্‌ সবাইকে সবকিছু দেয়না। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

উচ্চতা বাড়াতে শুধু দরকার নিম্নোক্ত সাতটি ব্যায়াম অভ্যাস করার। সঠিক নিয়মে পালন করতে পারলে আপনার উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে অনেকাংশেই। তবে ঠিকভাবে করতে না পারলে ফল হবেনা কোনভাবেই।

এই ব্যায়ামগুল করার আগে হাল্কা একটু পরিশ্রম করে নিতে ভুলবেন না যেন। এতে ব্যায়াম করতে গিয়ে হঠাত ব্যাথা পেয়ে বিপদ ঘটার সম্ভাবনা কমে আসবে। এবার আসুন জেনে নেই এই ব্যায়ামগুলো সম্পর্কে-

১. দেয়ালের সাথে পিঠ লাগিয়ে দাঁড়ান। এভাবে দাড়িয়ে নিজেকে দেয়ালের সমান্তরালে সোজা রাখবার চেষ্টা করুন। সেই সাথে চেষ্টা করতে হবে, আপনার শরীরের পেছন দিকটির পায়ের গোড়ালি থেকে শুরু করে মাথা পর্যন্ত যেন দেয়াল স্পর্শ করতে পারে। এভাবে দেয়াল স্পর্শ করে সোজা হয়ে স্ট্রেচ করার চেষ্টা করুন। এভারে ৮ থেকে ১০ বার করুন ব্যায়ামটি।

২. প্রথম ব্যায়াম শেষ হবার পরে এই পর্যায়ে রিং বা বারের সাহায্যে হাতের ভরে ঝুলে পড়ুন। শরীররের ভার ছেড়ে দিন। পা দুটিকে দুলতে দিন পেন্ডুলামের মত। অনুভব করুন মধ্যাকর্ষণ শক্তি নিজের উপরে।

এভাবে ১০ সেকেন্ড পর্যন্ত ঝুলে থেকে ছেড়ে দিন নিজেকে। আবার একই প্রক্রিয়ায় করুন এই ব্যায়াম। এক সেটে ৮ থেকে ১০ বার করতে পারেন।

৩. এবার আবার রিং ধরুন। তবে এবার ঝুলে থাকতে হবেনা। বরং রিং ধরে নিজেকে উপরে উঠানোর চেষ্টা করুন। এভাবে একবার উপরে উঠতে পারলে তারপর নিজের শরীরের ভার ছেড়ে দিন। ছেড়ে দিয়ে প্রায় ৩ মিনিট পর্যন্ত ঝুলে থাকুন।

এভাবে এই ব্যায়ামটি ৬ সেটে শেষ করুন। মনে রাখবেন শুরুতেই ৩ মিনিট ধরে ঝুলবেন না। আপনার শরীর যে পরিমাণ নিতে পারবে সে পরিমাণ করবেন। ধীরে ধীরে সময় বাড়িয়ে ৩ মিনিট করুন।

৪. এই পর্যায়ে এসে শুধুমাত্র রিং বা বার ধরে ৩ মিনিট করে ঝুলে থাকুন। এভাবে ৬ বার করুন।

৫. এই পর্যায়ে এসে ব্যায়ামটি একটু কঠিন মনে হবে। এবার আপনাকে রিঙে বা বারে উল্টা হয়ে পায়ের হাঁটুর ভাজের সাহায্যে ঝুলতে হবে। উল্টা হয়ে ঝুলে নিজের শরীর ছেড়ে দিন। হাত দুটিকে ঝুলতে দিন। এভাবে ১ থেকে ১০ পর্যন্ত গুনতে থাকুন।

গোনা শেষ হলে নেমে পড়ুন। এই পর্যায়টি সম্পন্ন করতে কারো সাহায্য নিন। ধীরে ধীরে করার চেষ্টা করুন। একবারে না পারলে জোর খাটাবেন না নিজের প্রতি। ধীরে ধীরে শেখার চেষ্টা করুন। তারপরও আয়ত্তে আনতে না পারলে এই ব্যায়ামটির সব থেকে কাছাকাছি যতটুকু করতে পারবেন তাই করবেন। তাতে কিছুটা হলেও সাহায্য হতে পারে।

৬. আপনি যদি এই পর্যায়ে এসে পড়েন তবে আপনার জন্য সুখবর হল, সব থেকে কঠিন পর্যায় পার করে এসেছেন আপনি। এরপরে আর রিং বা বারে ঝুলতে হবেনা আপনাকে।

এবার যা করতে হবে তা হল আপনি যেখানে দাড়িয়ে আছেন সেখান থেকে আপনার বাম দিকে দীর্ঘ একটি লাফ দিন প্রথমে। সেই সাথে চেষ্টা করুন ডান পায়ের ভরে অবতরন করতে।

অর্থাৎ লাফ দিয়ে নামার সময় ডান পা আগে মাটি স্পর্শ করবে। লাফ দেয়ার সময় চেষ্টা করবেন যত দীর্ঘ সম্ভব তত দীর্ঘ লাফ দিতে।

৭. এই পর্যায়ে আমরা আমাদের ব্যায়াম রুটিনের শেষ ধাপে পৌঁছে গেছি। এই পর্যায়ে আপনি আপনার পেটের ভরে মাটিতে শুয়ে পড়ুন। আপনার শরীর এবং পা থাকবে সোজা এবং টানটান।

হাতদুটোকে তুলে দিন আপনার পেছন দিকে এবং টানটান অবস্থায় রাখুন। এবার এই অবস্থায় থেকে নিজেকে যতটা সম্ভব বাঁকা করে তুলে ধতে চেষ্টা করুন। আপনার মাথা এবং ঘাড় থাকবে সামনের দিকে সোজা অবস্থায়। এভাবে ৮ থেকে ১০ বার চেষ্টা করুন।


মনে রাখবেনঃ

এভাবে সপ্তাহে ৩ দিন করে নিয়মিত ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন। এগুলো মূলত স্ট্রেচিং ব্যায়াম যা আপনার শরীরের আড়ষ্টতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে। শরীরের আড়ষ্টভাব কেটে গেলে উচ্চতা বাড়তে শুরু করে।

তবে এ সবই সম্ভব হবে যদি আপনার বয়স ২৫ এর নিম্নে হয়ে থাকে তবেই। কারণ ২৫ বছর পর্যন্তই কেবলমাত্র আমাদের দৈহিক বৃদ্ধি হয়ে থাকে। তবে যখনই ব্যায়াম করবেন না কেন আগে কিছু ফ্রি হ্যান্ড বা হাল্কা দৌড়ে শরীর ব্যায়াম করার উপযোগী করে নিতে ভুলবেন না যেন।

সেই সাথে আরও খেয়াল রাখবেন যে অতিরিক্ত কোন কিছুই ভাল নয়। মাত্রাতিরিক্ত ব্যায়াম করলে দ্রুত উচ্চতা বাড়বে তা যদি ভেবে থাকেন তবে ভুল করবেন। বরং অতিরিক্ত ব্যায়াম অনেক সময় উচ্চতার বৃদ্ধি রোধ করে দেয়।

তবে শুধু ব্যায়াম করলেই হবেনা। সুষম খাদ্যও গ্রহন করতে হবে। সেই সাথে জীবনযাত্রায় আনতে হবে পজিটিভ মনোভাব। এসবের সাথে ত্যাগ করতে হবে সব খারাপ জীবনাচার এবং খারাপ অভ্যাসগুলোকেও। তবেই সম্ভব হবে সুস্থতার সাথে আপনার উচ্চতার বৃদ্ধি।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ