আমি আমার আপন ফুপাত বোনের মেয়ে কে ভালবাসি. সমাজ বলছে এই তা তুমি কি করলা? এই বিয়ে জায়েজ না। ফুপাত বোন কে বিয়ে করা জায়েজ. তার মেয়ে কে বিয়ে করা যাবে না।। ফুপাত বোনের মেয়ে তখন মায়ের জাত হয়ে যাবে. তারা বলে সৌদি আরব এর কালচার আর আই তা এক না।। নবিজি এর সময় মেয়ে বেশি ছিল। এই তা হারাম।। এই বিয়ে করলে বাসায় আসা যাবে না। ত্যাজ্য পুত্র করা হবে।সমাজ থেকে আলাদা হতে হবে.. আমি কি করব? আমি কি কোন পাপ কাজ করেছি?


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

আপনি পারবেন।এতে কোন সমস্যা নেই।ইসলামে যে ১৪ জনকে বিবাহে নিষেধ করা হয়েছে তাতে ফুফাত বোনের মেয়ে নেই। যাদেরকে বিবাহ করা নিষেধ তারা হল 1মা2নিজ কন্যা 3আপন বোন 4আপন ফুফু 5আপন খালা 6ভাইয়ের কন্যা 7বোনের কন্যা 8দুধ মা 9 দুধ বোন 10শাশুড়ী 11সৎ মা 12সৎ বোন 13 স্ত্রীর পূর্ব স্বামীর কন্যা 14 স্ত্রীর আপন বোনকে যখন স্ত্রী জীবিত থাকে এবং তাকে তালাক ও দেওয়া হয়নি।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

ইসলামী দৃষ্টি অনুযায়ী বিয়ে করতে পারবেন ৷ কোন অসুবিদা নেই ৷ তবে তা দেশীয় কালচারে দৃষ্টিকটু ৷

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

Call

হ্যা আপনি আপনার ফুফাতো বোনের মেয়েকে বিয়ে করতে পারবেন।

,যাদের বিবাহ করা যাবেনা

এখাান থেকে পড়ুন,

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

হ্যা বিয়ে করতে পারবেন জায়েজ আছে এ সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন: তোমাদের জন্যে হারাম করা হয়েছে তোমাদের মাতা, তোমাদের কন্যা, তোমাদের বোন, তোমাদের ফুফু, তোমাদের খালা, ভ্রাতৃকণ্যা; ভগিনীকণ্যা তোমাদের সে মাতা, যারা তোমাদেরকে স্তন্যপান করিয়েছে, তোমাদের দুধ-বোন, তোমাদের স্ত্রীদের মাতা, তোমরা যাদের সাথে সহবাস করেছ সে স্ত্রীদের কন্যা যারা তোমাদের লালন- পালনে আছে। যদি তাদের সাথে সহবাস না করে থাক, তবে এ বিবাহে তোমাদের কোন গোনাহ নেই। তোমাদের ঔরসজাত পুত্রদের স্ত্রী এবং দুই বোনকে একত্রে বিবাহ করা; কিন্তু যা অতীত হয়ে গেছে। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাকরী, দয়ালু। (সুরা নিসা আয়াত ২৩-২৪) যে সমস্ত মহিলাদেরকে বিবাহ করা হারাম তাদেরকে দু'টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। • স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ মহিলা : তারা তিন শ্রেণীর। ক.বংশগত কারণে নিষিদ্ধ: তারা হচ্ছেন- ১. মাতা ২. দাদী ৩. নানী ৪. নিজের মেয়ে, ছেলের মেয়ে, মেয়ের মেয়ে যত নিচেই যাক না কেন। ৫. আপন বোন, বৈমাত্রেয় বোন ও বৈপিত্রেয় বোন। ৬. নিজের ফুফু, পিতা, মাতা, দাদা, দাদী, নানা ও নানীর ফুফু। ৭. নিজের খালা, পিতা, মাতা, দাদা, দাদী, নানা ও নানীর খালা। ৮. আপন ভাই, বৈমাত্রেয় ভাই ও বৈপিত্রেয় ভাই ও তাদের অধঃতন ছেলেদের কন্যা। ৯. আপন বোন, বৈমাত্রেয় বোন ও বৈপিত্রেয় বোন ও তাদের অধঃতন মেয়েদের কন্যা। খ. দুগ্ধ সম্বন্ধীয় কারণে নিষিদ্ধ: বংশগত কারণে যাদেরকে বিবাহ করা নিষিদ্ধ দুগ্ধ সম্বন্ধের কারণেও তারা নিষিদ্ধ। তবে, শর্ত হচ্ছে- গ. বৈবাহিক সম্বন্ধের কারণে নিষিদ্ধ: ১. পিতা, দাদা ও নানা (যতই উপরে যাক না কেন) যাদেরকে বিবাহ করেছেন। ২. কোন পুরুষের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর দৈহিক সম্পর্ক স্থাপিত হোক বা না হোক উক্ত পুরুষের পুত্র-পোত্র বা প্রপোত্রের সাথে মহিলার বিবাহ নিষিদ্ধ। ৩. কোন পুরুষের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর দৈহিক সম্পর্ক স্থাপিত হোক বা না হোক উক্ত পুরুষের পিতা-দাদা বা নানার সাথে মহিলার বিবাহ নিষিদ্ধ। ৪. শাশুড়ী। মহিলার সাথে বিবাহ হলেই তার মাতা ও দাদী বা নানী হারাম হয়ে যাবে। দৈহিক সম্পর্ক স্থাপিত হোক বা না হোক। ৫. স্ত্রীর সাথে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপিত হলেই তার কন্যা, তার পুত্রের কন্যা ইত্যদি হারাম হয়ে যাবে। •সাময়িক ভাবে নিষিদ্ধ মহিলা: সাময়িক কারণে কখনো কখনো মহিলাকে বিবাহ করা নিষিদ্ধ হয়ে থাকে। উক্ত কারণ দূর হয়ে গেলে তাকে বিবাহ করা বৈধ হবে। ১. কোন মহিলাকে বিবাহ করলেই তার আপন বোন, ফুফু, খালাকে বিবাহ করা হারাম গণ্য হবে। তবে, তাকে যখন তালাক দিয়ে দেবে কিংবা, স্বামী মারা যাবে এবং সে ইদ্দত শেষ করবে, তখন তাকে সে বিবাহ করতে পারবে। ২. যে মহিলা অন্যের বিবাহাধীনে ছিল। তাকে স্বামী তালাক দিয়েছে কিংবা মারা গেছে এবং সে ইদ্দত পালন করছে; এমতাবস্থায় তাকে বিবাহ করা নিষিদ্ধ। ইদ্দত শেষ হয়ে গেলেই বিবাহ করতে পারবে। অনেকে জিজ্ঞাসা করে থাকেন যে,খালাতো,মামাতো,ফুফাতো বা চাচাতো বোনকে বিবাহ করা যাবে কিনা? তার উত্তর হচ্ছে- আসলে আল্লাহ তায়ালা উপরোক্ত আয়াতে যাদের সাথে বিবাহ করা নিষিদ্ধ সকলের কথাই বলে দিয়েছেন। খালাতো,মামাতো,ফুফাতো বা চাচাতো বোন তাদের মধ্যকার কেউ নন। অতএব, তাদেরকে বিবাহ করা বৈধ। তাই বিবাহ করতে পারবেন আপনি কোন পাপ কাজ করেননি। আপনার সমাজ ও পরিবার হয়ত বিয়ে মেনে নেবে না তাই আপনাকে এরকম বুঝাচ্ছে। আপনার পরিবার ও সমাজ যেহেতু বিয়েটা মেনে নিচ্ছে না তাই আপনার উচিত বিয়েটা না করা এমতাবস্থায় যদি আপনি বিয়েটা করেন তাহলে আপনার বিয়েটা শরীয়ত সম্মত হবে না বিয়েটা বাতিল বা হারাম হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ