কোনো মেয়ের সাথে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করাকেই
ধর্ষণ বলে, ইংরেজিতে রেপ।
ধর্ষিত হলে মেয়েটির সব শেষ হয়ে যায় না, তবে সমাজের
মানুষ মেয়েটিকে নিয়ে কটাক্ষ করে থাকে যার ফলে মেয়েটির
স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যাহত হয়, অনেকেই আত্মহত্যা
করে ফেলে।
ধর্ষিত হলে এখানে ধর্ষিতার কোনো অপরাধ/দোষ নেই।
আইনের চোখে ও স্বাভাবিক দৃষ্টিতে সবার মতো সে ও মানুষ।
কিছু মূর্খ, অসাধু ব্যাক্তিদের মতো নিশ্চয় ধর্ষিত নারীদের
দেখবেন না।
কোনো নারী ধর্ষিত হলে ধর্ষকের শাস্তি দেওয়ার জন্য যথেষ্ঠ
চেষ্টা করতে হবে আমাদের এবং দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে।
না শেষ না। আমাদের মাথায় একটা চিন্তা থাকা দরকার, কোনো মেয়ে ইচ্ছাকৃত ভাবে রেপ হয় না। তাকে তিরস্কার মূলক কিছু না বলে এবং তাকে ছোটো চোখে না দেখে, তার জন্য আফসোস করা দরকার। আমাদের কোনো আপনজন যদি রেপ হত তখন আমারা কি করতাম? আর যে মেয়েটি রেপ হয়েছে তাকে অবশ্যই মনোবল শক্ত রাখতে হবে। অনেকে হয়ত তিরস্কার মূলক কথা বলতে পারে বা ছোটো চোখে দেখতে পারে, তাই বলে তাদের সাথে বিরোধী আচরণ করা যাবে না। বরং তাদের সাথে ভালো ব্যাবহার করতে হবে যাতে তারা আপনার (ধর্ষিতা) প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে ওঠে। আর সবসময় এমন কৃতকর্ম করার চেষ্টা করতে হবে যাতে মানুষ আপনার (ধর্ষিতা) কলঙ্ক কে ভুলে গিয়ে আপনার (ধর্ষিতা) কৃতকর্মকে শ্রদ্ধা করে।