অত্যন্ত দুঃখের সাথে আপনাকে বলছি কালো থেকে সুন্দর হওয়ার কোন উপায় নেই।বাজারে রমরমা বিজ্ঞাপন যা ৪ সপ্তাহে আপনার চেহারার পরিবর্তন করে দিবে এগুলো বিশ্বাস করবেন না।আপনি নিয়মিত শাকসবজিসহ পুষ্টিকর খাবার খাবেন।ঠিক মত ঘুম ঠিক মতো পুষ্টিকর খাবার খেলে আপনার শরীর এ প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল্য ভাব চলে আসবে।আর যতটুকু সম্ভব রৌদ্র থেকে বেচে থাকার চেষ্টা করবেন।
কালো থেকে সুন্দর হওয়ার উপায় আছে।
সূর্যরশ্মি, পরিবেশ দূষণ , স্বাস্থ্যগত সমস্যা , শুষ্ক ত্বক , মানসিক চাপ, । অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন আর লম্বা সময় ধরে ত্বক ফর্সা করার ক্রীম ব্যবহারে যা রাসায়নিক নির্ভর প্রসাধন সামগ্রী, ব্যবহারের ফলে আপনার ত্বক আর ও কালো ও প্রাণহীন হয়ে উঠতে পারে। আর এই ত্বকের রঙ উজ্জ্বল করার জন্য আমরা অনেক চেষ্টাই করি।
এখন বাজারে ভুড়ি ভুড়ি ত্বক ফর্সা আর উজ্জ্বল করার ক্রিম পাওয়া যায়। কিন্তু অধিকাংশ পণ্যেই রয়েছে উচ্চ মাত্রার রাসায়নিক যা আসলে আপনার ত্বকের ক্ষতি করছে। আবার এসব পণ্য অনেক দামীও বটে।
তাই আপনি ঘরোয়া উপায়ে প্রাকৃতিক বা ভেষজ উপাদানে ত্বক পরিচর্চা করতে পারেন যাতে সত্যিকার অর্থেই আপনার ত্বকের রঙ ফর্সা আর উজ্জ্বল হয়ে ওঠে স্থায়ী ভাবে। ত্বক সুন্দর করার উপায় আজকাল শুধু মেয়েরাই করে না ছেলেদের ত্বকের রঙ উজ্জ্বল করার জন্য ও নীচের ধাপ গুলো কার্যকর।
টক দই
টক দইয়ে অনেক ধরণের উপাদান আছে যা ত্বকের জন্য খুব ভাল। এতে আছে ল্যাকটিক এসিড যা ব্লিচিং উপাদান হিসেবে কাজ করে। আর এই উপায়টি আপনি সব ধরণের ত্বকেই ব্যবহার করতে পারেন। তাই ত্বক সুন্দর করার উপায় এর একটি ভাল উপাদান হল টক দই।
টক দই হাতে নিয়ে আলতো করে আপনার মুখের ত্বকে ঘষে নিন। কিছুক্ষন রাখার পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন এই টক দই এভাবে লাগান আর কয়েক সপ্তাহ পরে দেখুন আপনার ত্বকের রঙ্গে কি পরিবর্তন এসেছে।
আবার এক টেবিল চামচ ফ্রেস টক দই , আধা চামচ মধু একসাথে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ মুখে ও গলায় লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটা প্রতিদিন করলে আপনার ত্বকের রঙ ও টোন পরিবর্তন হবে।
টক দইয়ের সাথে লেবুর রস অ্যান্ড ওটমিল মিশিয়ে ঘন পেস্ট করুন আর এই পেস্ট ফেইস মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করুন। এটি ত্বক নরম রাখবে ও ময়েসচারাইজ করবে।
ময়দা
ময়দা দিয়েও আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে পারেন। এর ভিতরের উপাদানগুলি ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে ও ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। নিচে উল্লেখিত উপায়ে আপনি ময়দা একদিন পর পর ব্যবহার করলে ত্বকের অতিরিক্ত তেল সরিয়ে ত্বক প্রাকৃতিক ভাবে ময়েসচারাইজ করে।
ময়দার সাথে অল্প গোলাপ জল মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট হাতে, পায়ে ও মুখের ত্বকে লাগান। পেস্টটি শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর থাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
মধু
ত্বকের যত্নে মধু ত্বকে একদিকে ব্লিচিং এর কাজ করে অন্য দিকে ময়েসচারাজিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। এতে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান আছে যা ত্বকের দাগ দূর করে ও একনে সারাতে কাজ করে।
খাঁটি মধু ত্বকে লাগিয়ে কয়েক মিনিট রাখুন। এটি আপনার ত্বকের মৃত কোষ দূর করবে। ত্বক উজ্জ্বল করবে আর ফ্রেস লাগবে । ত্বকে লাগানোর কয়েক মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন।
এক চা চামচ মধু, লেমন রস, গুড়া দুধ আর আধা চামচ আমন্ড তেল মিশিয়ে ফেইস মাস্ক তৈরি করুন। আলতো করে ত্বকে লাগান আর ১০-১৫ মিনিট ত্বকে এই মাস্ক রেখে পরে ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন এই মাস্ক ব্যবহার করুন।
লেবু
লেবু এর এসিটিক উপাদান প্রাকৃতিক ব্লিচিং এর এজেন্ট হিসেবে ও কাজ করে। আবার লেমন এ এন্টিঅক্সিডেন্টও রয়েছে যা ত্বকের রঙ উজ্জ্বল করার জন্য দরকারী।
একটি কটন বল নিয়ে লেমনের রসের মধ্যে ডুবিয়ে আপনার ত্বকে লাগান। লেবু এর টুকরোও ত্বকে লাগাতে পারেন । অন্তত ১ ঘণ্টা আপনার ত্বকে রাখুন আর এরপর ত্বক ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন এই পদ্ধতিতে লেমন রস লাগান। এটি আপনার ত্বকের উজ্জলতা বাড়াবে আর ত্বকে একনে প্রতিরোধ করবে।
৩ টেবিল চামচ লেমন রসের সাথে এক টেবিল চামচ হলুদ গুড়া মিশিয়ে এই পেস্ট ত্বকে ৩০ মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন একবার এটি ব্যবহার করুন।
লেমন রস, গুড়া দুধ চায়ের চামচের এক চামচ করে নিয়ে মধুর সাথে মিশান। ১৫ থেকে ২০ মিনিট এই মাস্ক ত্বকে লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন। একদিন পর পর এই মাস্ক লাগান । ত্বক উজ্জ্বল হবে।
তবে একটি বিষয় লক্ষ্য রাখবেন তা হল, আপনার ত্বকে কোথাও কাটা থাকলে এটি ব্যাবহার করবেন নয়া আক্রন ত্বকের কাটা জায়গায় লেমন জুস এর আসিতিক প্রকৃতির কারনে বেথা হতে পারে। তবে সংবেদনশীল ত্বকের জন্য লেম রস সঠিক নয় । এতে ত্বকে এলারজি দেখা দিতে পারে।
ডিম
আপনার ত্বক যদি তেলতেলে হয়,ফর্সা হাত পা পাওয়ার সেরা উপায় ডিম।ডিমের সাদা অংশ সপ্তাহে দুবার লাগান ও ফল দেখুন।